আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রহমান বলেছেন, একক ভাবে কেউ বাংলাদেশের ওপর কোনো সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিলে সেটি গ্রহণযোগ্য হবে ব্যাপারটি এরকম আর নাই। বিএনপি না আসলে নির্বাচন সুষ্ঠু হলো না বা গ্রহণযোগ্য হলো না, অংশগ্রহণমূলক হলো না তাও নয়, কারণ দরকার অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন, বহুদল এই নির্বাচনে অংশ নেবে।

নির্বাচন প্রশ্নে বিদেশি চাপের কাছে নতি স্বীকার করবে না আওয়ামী লীগ, প্রয়োজনে বিএনপিকে ছাড়াই বর্তমান সরকারের অধীনে আগামী জাতীয় নির্বাচন করতে চায় ক্ষমতাসীন দলটি। দলের নেতারা বলছেন, কোনো দেশ যদি মনে করে বিএনপি ছাড়া নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না, তাহলে বিএনপিকে নির্বাচনে আনার দায়িত্ব ওই দেশকেই নিতে হবে।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে সরগরম দেশের রাজনীতি। একদিকে রাজপথে শক্তির জানান দিচ্ছে দলগুলো, অন্যদিকে দফায় দফায় বৈঠক চলছে বিদেশি প্রতিনিধিদের সাথে।

বিদেশি বন্ধু ও উন্নয়ন সহযোগীরা সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চায়। আওয়ামী লীগের দাবি, বর্তমান সরকারের অধীনেই তা সম্ভব। যদিও বিএনপির তাতে আস্থা নেই।

আওয়ামী লীগ নেতারা জানান, বিশ্বের ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তন হয়েছে। কোনো দেশ সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিলে তা অগ্রাহ্য করার ক্ষমতা সরকারের রয়েছে।

আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রহমান বলেছেন, ‘ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বদলে গেছে। শক্তিধর রাষ্ট্রগুলোর নানা ইস্যু নিয়ে কামড়া কামড়ি করছে। একক ভাবে কেউ সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিলে সেটি গ্রহণযোগ্য হবে ব্যাপারটি কিন্ত এরকম আর নাই।’

আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘বিভিন্ন দেশ নির্বাচন কেন্দ্রীক যেসব কথা বলছেন তারা বলতে পারেন, বাধা দেওয়ার উপায় নেই। তবে খেয়াল রাখতে হবে, স্বাধীন সার্বভৌম দেশ বাংলাদেশ। আগের মতো নেই এদেশ। আত্মমর্যাদা রয়েছে, এই জাতি কারো কোনো রক্তচক্ষুকে ভয় পায় না।’

তারা বলছেন, নির্বাচন প্রশ্নে সংবিধানের বাইরে যাবে না আওয়ামী লীগ। নির্বাচন গ্রহণযোগ্য করতে বিএনপি অপরিহার্য নয় বলেও দাবি নেতাদের।

আবদুর রহমান আরও বলেছেন, ‘বিএনপি না আসলে নির্বাচন সুষ্ঠু হলো না বা গ্রহণযোগ্য হলো না, অংশগ্রহণমূলক হলো না, ইটস টোটালি রং কনসেপ্ট। দলটিকে এতো অপরিহার্য করার দরকার নেই। কারণ দরকার অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন, বহুদল এই নির্বাচনে অংশ নেবে’

জাহাঙ্গীর কবির নানক আরও বলেন, বিদেশি যারা আসছেন তারা বলছেন, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করতে হবে। তারা কিন্তু বলছে না যে বিএনপি নির্বাচনে না আসলে অংশগ্রহণমূলক হবে না। বিএনপি অংশ না নিলে আমাদের কিছু করার নেই, হাত পা ধরে নির্বাচনে আনার সুযোগ নেই। বিদেশিরা যদি মনে করে বিএনপি না আসলে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না তাহলে তাদের দায়িত্ব বিএনপিকে নির্বাচনে আনা।

সংকট সমাধানে বিদেশিরা সংলাপে জোর দিলেও তত্ত্বাবধায়ক সরকার বা প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ ইস্যুতে কোনো সংলাপ নয় বলে সাফ জানান আওয়ামী লীগ নেতারা।