চলতি মাসেই নির্বাচন কমিশন (ইসি) ঘেরাও করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইসির নিবন্ধন না পাওয়া রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা। সরকারি দলের বাধায় ইসি তাদের নিবন্ধন দেয়নি বলে অভিযোগ করেছেন তারা। সোমবার (১৭ জুলাই) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ হুঁশিয়ারি দেন নিবন্ধন না পাওয়া দলগুলোর নেতারা।

সংবাদ সম্মেলন সঞ্চালনা করেন আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু। এসময় নিবন্ধন না পাওয়া ১০টি দলের পক্ষ থেকে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না।

১০টি দলের নেতাদের অভিযোগ, গত এক বছর ধরে যাচাই-বাছাইয়ের নোটিশ দিয়ে আসছে ইসি। এর মধ্যে কোথাও কোথাও আচমকা দলগুলোর কেন্দ্রীয় অফিস, জেলা-উপজেলা অফিস পরিদর্শন করেছে ইসির প্রতিনিধিরা। পরিদর্শনের নামে ইসি কর্মকর্তারা যেভাবে আমাদের তৃণমূল অফিসের দলিল, সাইন বোর্ড ও ১০টি দলের নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে তাতে মনে হয়েছে, তারা যেন রাজনৈতিক দল নয় বরং আসামিদের তালিকা হালনাগাদ করছেন।

সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের কাছে প্রশ্ন রেখে মান্না বলেন, এতগুলো সুপরিচিত, সক্রিয় এবং রাজপথে সংগ্রামরত রাজনৈতিক দল বাদ দিয়ে যাদের নিবন্ধন দেওয়া হয়েছে তাদের নাম আপনারা কয়জন শুনেছেন? তাদের কি আপনারা চেনেন? তাদের কি আদৌ কোনো অফিস, নেতাকর্মী আছে?

ইসির সমালোচনা করে মান্না বলেন, এ প্রতিষ্ঠানটি ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠনে পরিণত হয়েছে। অবসরপ্রাপ্ত কিছু সরকারি কর্মকর্তাকে পুরস্কৃত করার জন্য এখানে নিয়োগ দেওয়া হয়। ভবিষ্যতে আরও বড় পুরস্কারের লোভে তারা দালালের মতো ফ্যাসিস্টদের স্বার্থে যেকোনো বেআইনি কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সভাপতি নুরুল হক নুর, বিএলডিপির চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন আল আজাদ, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মুস্তাফিজুর রহমান ইরান, বাংলাদেশ পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান বাবুল সর্দার চাখারী, গণঅধিকার পরিষদের অপর অংশের নেতা ফারুক হোসেন, বাংলাদেশ মাইনরিটি জনতা পার্টির (বিএমজেপি) সভাপতি সুকৃতি কুমার মন্ডল ও ডেমোক্রেটিক পার্টির সভাপতি আশিক বিল্লাহ।

সংবাদ সম্মেলনে নুরুল হক নুর, মজিবুর রহমান মঞ্জু, মুস্তাফিজুর রহমান ইরান নিজ নিজ দলের নিবন্ধন না পাওয়ায় ইসি কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচির কথা জানান। পরে অন্যরাও তাতে সুর মেলান।

বার্তা বাজার/জে আই