ঢাকা–১৭ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ এ আরাফাতের কেন্দ্রে ভোট শুরুর পর প্রথম ৪ ঘণ্টায় মাত্র ২ শতাংশ ভোট পড়েছে। সোমবার (১৭ জুলাই) সকাল আটটায় এই আসনের উপনির্বাচনে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। বিকেল চারটা পর্যন্ত টানা ভোট গ্রহণ চলবে। ভোট হচ্ছে কাগজের ব্যালটে।

সকাল সোয়া ১১টার দিকে গুলশান মডেল হাইস্কুল ও কলেজ কেন্দ্রে ভোট দেন মোহাম্মদ এ আরাফাত। এখানকার ৫টি কেন্দ্রের ভোটার সংখ্যা ১৩ হাজার ৯০৩। দুপুর ১২টা পর্যন্ত এখানে মোট ৩৩২টি ভোট পড়েছে। এ হিসাবে ৪ ঘণ্টায় ভোট পড়েছে ২ শতাংশের কিছু বেশি।

সকাল ৮টায় ভোট শুরু হলেও সাড়ে ৯টা পর্যন্ত গুলশান মডেল হাইস্কুল ও কলেজের একটি কেন্দ্রে কেউ ভোট দিতে আসেননি। কেন্দ্রটির ভোটার সংখ্যা ৩ হাজার ৫৮। দুপুর সোয়া ১২টার দিকে কেন্দ্রটির প্রিসাইডিং অফিসার আতাউর রহমান বলেন, দুপুর ১২টা পর্যন্ত তাঁর কেন্দ্রে ৩৪টি ভোট পড়েছে।

ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি একেবারেই কম। নির্বাচনী দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা অলস বসে আছেন। ভাষানটেক এলাকার সরকারি হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ কেন্দ্রে সকাল ১০টার দিকে তোলা

দুপুর ১২টার দিকে কেন্দ্রটিতে গিয়ে দেখা যায়, পাঁচটি ভোটকক্ষের একটিতে ভোটার নেই। প্রার্থীদের পোলিং এজেন্ট ও নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ ও আনসার সদস্যরা অলস সময় পার করছেন।

একই প্রতিষ্ঠানের ভেতর থাকা আরেকটি কেন্দ্রে ভোট শুরুর পর প্রথম দুই ঘণ্টায় মাত্র দুজন ভোট দিয়েছেন। কেন্দ্রটির ভোটার সংখ্যা ৩ হাজার ১২৯। কেন্দ্রটির প্রিসাইডিং কর্মকর্তা লতিফ সরকার দুপুর ১২টার দিকে প্রথম আলোকে বলেন, পৌনে ১২টা পর্যন্ত তাঁর কেন্দ্রে ২২টি ভোট পড়েছে।

এখানকার আরেকটি কেন্দ্রে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ভোট দিয়েছেন ১৪৮ জন। গুলশান মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভেতরে থাকা পাঁচটি কেন্দ্রের প্রতিটিতে পুলিশ ও আনসার সদস্যের পাশাপাশি গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যদের উপস্থিতি লক্ষ করা গেছে। প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের আশপাশে তিন থেকে চারজন পুলিশ সদস্যকে সবসময় থাকতে দেখা গেছে।

জানতে চাইলে পুলিশের বিশেষ শাখার এক সদস্য বলেন, প্রত্যেক কেন্দ্রে তাঁদের একজন সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন, এমন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে গুলশান জোনের পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, অন্য কোনো অ্যাসাইনমেন্ট না থাকায় আজ ভোটকেন্দ্রে গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন রয়েছেন।

গুলশান মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভেতরে থাকা পাঁচটি কেন্দ্রের একটিতেও স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলমের কোনো পোলিং এজেন্ট ছিলেন না।

এ বিষয়ে একটি কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা আবদুর রহমান বলেন, রোকসানা নামের এক নারী হিরো আলমের এজেন্ট হিসেবে এসেছিলেন। তাঁর দায়িত্ব ছিল কালাচাঁদপুরে। কিন্তু তিনি ভুলে এই কেন্দ্রে চলে আসেন। পরে কালাচাঁদপুরে চলে গেছেন।

আরেক কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা লতিফ সরকার বলেন, সকালে হিরো আলমের একজন এজেন্ট এসেছিলেন। তবে তিনি এনআইডি কার্ড দেখাতে পারেননি। পরে চলে গেছেন।

আরেকটি কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ইমরান ইবনে রাজ্জাক বলেন, সকালে তাঁর কেন্দ্রে হিরো আলমের একজন এজেন্ট এসেছিলেন। কিন্তু তিনি এই এলাকার ভোটার নন। তাই পরে ওই ব্যক্তি চলে গেছেন।

বার্তাবাজার/এম আই