নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে নেতাকর্মীর উপস্থিতি কম দেখে আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা স্থগিত করে ফিরে গেছেন বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা। বুধবার (৫ জুলাই) সকালে চরহাজারী ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকাল ১০টায় হাজারীহাট আলীম মাদরাসা মিলনায়তনে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধান অতিথি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা গিয়ে দেখেন কাঙ্ক্ষিত নেতাকর্মী উপস্থিত হননি। পরে ওই সভা স্থগিত করে ফিরে যান তিনি। এসময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদলও উপস্থিত ছিলেন।

ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মো. নুরুল হুদা বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, আমাদের কিছুটা মিসটেক হয়েছে। উপস্থিতি কম দেখে বর্ধিত সভা স্থগিত করে নেতারা ফিরে গেছেন।

ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইউপি চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন সোহাগ বলেন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আমাকে যেভাবে দাওয়াত দিতে বলেছেন আমি সেভাবে দিয়েছি। কিন্তু বর্ধিত সভায় আওয়ামী লীগ নেতারা উপস্থিত থাকলেও সহযোগী সংগঠনের তেমন কেউ উপস্থিত হননি।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদল বলেন, সকালে সভা শুরু করে দুপুরে খাওয়ার ব্যবস্থা করার কথা ছিল। কিন্তু সেই আয়োজন না করায় এবং পর্যাপ্ত নেতাকর্মী উপস্থিত না হওয়ায় তা স্থগিত করা হয়েছে। পরে আবার তারিখ জানানো হবে।

২০২১ সাল থেকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নিজ এলাকা নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে আওয়ামী লীগে দ্বিধা বিভক্তি দেখা দেয়। এর একপক্ষ নিয়ন্ত্রণ করেন ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা, অপরপক্ষ নিয়ন্ত্রণ করেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল।

সম্প্রতি দ্বন্দ্ব কমাতে আবদুল কাদের মির্জাকে সভাপতি এবং মিজানুর রহমান বাদলকে সাধারণ সম্পাদক করে উপজেলা আওয়ামী লীগের নতুন কমিটি গঠন করা হয়। এখন প্রত্যেক ইউনিয়নে নেতাকর্মীদের এক করতে এবং আগামী নির্বাচনে ঐক্যবদ্ধ থাকতে বর্ধিত সভা ডেকে নেতাকর্মীদের শপথবাক্য পাঠ করাচ্ছেন কাদের মির্জা।

বার্তাবাজার/এম আই