মাগুরার শ্রীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের দুই নেতার আধিপত্য বিস্তারের দ্বন্দ্বে নিঃস্ব হয়ে পড়ছেন সাধারণ মানুষ। গতকাল বুধবার সকালে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাসিম বিল্লাহ সংগ্রামের ও যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক কাজী তারিকুল ইসলাম তারেক সমর্থকদের মধ্যে বরিশাট গ্রামে দফায় দফায় হামলা-ভাংচুর লুটপাটের ঘটনা ঘটে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ৬০টি বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়।

এ সময় হামলাকারীরা ঘরের আসবাবপত্র, গরু-ছাগল, নারীদের শরীর থেকে গহনা, মোটর সাইকেল, ভ্যান, স্যালো মেশিন ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাবার বুলেট ছোড়ে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ৮ জন আহত হয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৩ জনকে আটক করেছে।

সরেজমিন গিয়ে জানা গেছে, সকাল সাড়ে ৫টার দিকে মোস্তাসিম বিল্লাহ সংগ্রামের সমর্থকেরা বরিশাট গ্রামের জামিরুল ইসলাম,ছামিরুল ইসলাম, আমিরুল ইসলাম, জাকির মোল্যা, গোলাপ, আলী মোল্যা, ওয়াজেদ, জনি শেখ, হাসান, মিলনসহ অন্তত ৩০ জনের বাড়িঘর, আসবাবপত্র ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট করে।

এ সময় হামলাকারীরা ঘর থেকে নগদ টাকা ও আসবাবপত্র, মোটরসাইকেল ও দুটি গরু ও তিনটি ছাগল নিয়ে যায়। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই কাজী তারেকের লোকজন একত্রিত হয়ে একই গ্রামের হারেজ মুন্সী, কোবাদ মুন্সী, রায়হান, আয়নাল, বিল্লাল, সোহেল, মিন্টু খন্দকার, রুবেল, শফিউল্লাহ, আতিয়ার, ফারুকসহ অন্তত ৩০ টি বাড়ি-ঘর ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। এসময় হামলাকারীরা ঘরের আসবাবপত্র, ফসলা ও নগদ অর্থ নিয়ে যায়।

ভুক্তভোগিরা আবেগজড়িত কণ্ঠে বলেন, সারাজীবনের আয় দিয়ে দুইটা ঘর করেছিলেন তা মাত্র ৫ মিনিটের মধ্যে ভেঙে চুরমার করে দিয়েছে এবং নিয়ে গেছে। এখন তার ঘরে আর কোনো জিনিসপত্রই নাই।

খরব পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ, ডিবি ও শ্রীপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এতে কমপক্ষে ৮ জন আহত হয়। আহতরা মাগুরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতাল ও বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এ ব্যাপারে শ্রীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ কাঞ্চন কুমার রায় জানান, ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। সকালে উভয় পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করতে কয়েক রাউন্ড রাবার বুলেট ছোড়া হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে।

বার্তাবাজার/রাহা