নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) অভ্যন্তরে এবারের রোজায় ইফতার পার্টি আয়োজন না করার অনুরোধ জানিয়ে এক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ।

সোমবার (১১ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার ড. মুহাম্মদ আলমগীর সরকার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়,মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে নোবিপ্রবি প্রশাসন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের এ সিদ্ধান্তে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন জায়গায় এ নিয়ে আলোচনা সমালোচনা শুরু হয়। এ বিজ্ঞপ্তি মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করছে বলে জানিয়েছেন অনেকে।

ইফতার পার্টিতে নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার ড. মুহাম্মদ আলমগীর সরকার স্বাক্ষরিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আসন্ন পবিত্র রমজান মাসে ইফতার পার্টির আয়োজন না করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

এ বিজ্ঞপ্তির ব্যাখ্যা দিয়ে মঙ্গলবার (১২ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক মো. দিদার-উল-আলম নোবিপ্রবি ক্যাম্পাস সাংবাদিকদের বলেন, ” যাতে করে পবিত্র মাহে রমজানে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা না হয়, শান্তি-শৃঙ্খল পরিবেশে যেন এ রমজান অতিবাহিত হয়— সরকার আসলে সেটিই চাচ্ছে।

তিনি বলেন, ‘ইফতার পার্টির নামে কেউ যেন উশৃঙ্খলতা-অরাজকতা করতে না পারে, এজন্য সরকারের পক্ষ থেকে এমন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ধর্মীয় অনুষ্ঠানকে ঘিরে অনেকের অনেকরকম উদ্দেশ্য থাকে, তারা এসব অনুষ্ঠানের সুযোগ নিতে পারে।’

নোবিপ্রবি উপাচার্য বলেন, সরকারের পক্ষ থেকেও এ বিষয়ে নজরদারি রয়েছে, যারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চায়, তাদের ছাড় দেওয়া হবে না। আর যারা সুষ্ঠু পরিবেশে রোজা রাখবে, নামাজ পড়বে, ইফতার করবে— তাদের বিষয়ে কোনো বিধিনিষেধ নেই। এ বিষয়ে তাদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে উল্টো সহায়তার ব্যবস্থা রয়েছে।

এর আগে, গত রবিবার ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে ইফতার পার্টি আয়োজন না করার অনুরোধ জানিয়ে একই ধরনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। শাবিপ্রবি প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুরু হয় সমালোচনা। পরে শাবিপ্রবি প্রশাসন জানায়, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিজ উদ্যোগে ইফতার মাহফিল করতে পারবে। তবে প্রশাসন এতে কোনো ধরনের আর্থিক সহায়তা দেবে না।

শাবিপ্রবির একই বিজ্ঞপ্তির বিষয়টি উপাচার্যের ‍দৃষ্টি আকর্ষণ করলে নোবিপ্রবি উপাচার্য বলেন, এ ধরনের বড় ধরনের কোনো প্রোগ্রাম করলে অবশ্যই আমাদের অনুমতি নিতে হবে। অনুমোদন সাপেক্ষে অনুষ্ঠান করা যাবে। আর আর্থিক অনুদানের বিষয়টি আগে দেখতে হবে, কি ধরনের অনুষ্ঠান হচ্ছে। এটা পরিস্থিতি বিবেচনায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।