নিয়োগে বিধি লঙ্ঘন, সার্টিফিকেট জালিয়াতি করে ইসলামিক ফাউন্ডেশনে নিয়োগ

১০ বছরে জনবল নিয়োগে নিয়মের তোয়াক্কা করে নি ইসলামিক ফাউন্ডেশন (ইফা) । জাল সার্টিফিকেট, নিয়োগ পরীক্ষার নম্বর পরিবর্তন, অসৃষ্ট পদে নিয়োগ, বিজ্ঞপ্তির শর্ত না মানা, ফিডার পদে মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগেই পদোন্নতিসহ নানা জালিয়াতির ঘটনা উদঘাটিত হয়েছে সরকারি নিরীক্ষায়।

বাছাই কমিটি গঠনে বিধি লঙ্ঘন করে অর্থ, জনপ্রশাসন ও ধর্ম মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিদের রাখা হতো না। কমিটির সদস্যসচিব সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করলে তাকে ছুটি এবং একজন পরিচালককে ভারপ্রাপ্ত সদস্যসচিব দেখিয়ে রেজুলেশনে স্বাক্ষর করিয়ে নিয়োগপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করার ঘটনা ঘটে।

বায়তুল মোকাররমের পেশ ইমাম ও প্রকাশনা বিভাগের সম্পাদক নিয়োগ থেকে শুরু করে দারুল আরকাম মাদরাসার শিক্ষক নিয়োগ পর্যন্ত বিভিন্নপর্যায়ে নিয়োগ ও পদোন্নতিতে এ ধরনের জালিয়াতির ৪০ ঘটনা শনাক্ত হয়েছে। এতে সরকারের আর্থিক ক্ষতি অন্তত ৮২ কোটি টাকা। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার পাশাপাশি আপত্তিকৃত টাকা সরকারি কোষাগারে জমা করার সুপারিশ করা হয়েছে নিরীক্ষা প্রতিবেদনে।

ইফার ২০০৯-১৮ সাল পর্যন্ত ১০ বছরের কার্যক্রমের ওপর বিশেষ নিরীক্ষা চালায় সিভিল অডিট অধিদফতর। এতে ইফার ১২টি কার্যালয়ের ২০০৯-১৮ সালের বরাদ্দ ও ব্যয় খতিয়ে দেখা হয়। ৯৬টি খাতে ৭৯৬ কোটি ৭৮ লাখ টাকার অনিয়ম বেরিয়ে আসে। তার মধ্যে নিয়োগ ও পদোন্নতি এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের ঘটনা সবচেয়ে বেশি। বিচারিক কর্মকর্তা সামীম মোহাম্মদ আফজল ২০০৯ সাল থেকে ইফা মহাপরিচালকের (ডিজি) দায়িত্ব পালন করে আসছেন। আগামী ৩১ ডিসেম্বর তার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের মেয়াদ শেষ হবে।
গত ৯ জুলাই থেকে ১০ অক্টোবর পরিচালিত এই নিরীক্ষার খসড়া রিপোর্টটি গত ২৪ নভেম্বর ধর্ম মন্ত্রণালয়ে অ্যাগ্রিড মিটিংয়ের মাধ্যমে চূড়ান্ত হয়। ধর্ম মন্ত্রণালয়, ইফা এবং অডিট সংশ্লিষ্টরা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তার আগে ১৩৪ খাতে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের জবাব চাওয়া হয় ইফার কাছে। জবাব পাওয়ার পর সেগুলো বিশ্লেষণ করে জবাবসহ অনিয়মের বিষয়গুলোর রিপোর্ট চূড়ান্ত করা হয়।

নিয়োগে অনিয়মের ঘটনাগুলোর মধ্যে বুধবার দেশের জাতীয় দৈনিকে রিপোর্টে বায়তুল মোকাররমের পেশ ইমাম নিয়োগে জালিয়াতি, ডিজির বাড়িতে মাদরাসা দেখিয়ে শিক্ষকের বেতন পরিশোধ, বিধি লঙ্ঘন করে পরিচালক পদে ১৯ জনের পদোন্নতি, অর্গানোগ্রামের বাইরে আইন উপদেষ্টা ও মহিলা কো-অর্ডিনেটর নিয়োগ, পরীক্ষায় অকৃতকার্যকে জাল সনদে প্রথম শ্রেণীর পদে নিয়োগ, দুইবার কার্যবিবরণী তৈরি করে নিয়োগের পৃথক কয়েকটি ঘটনার বিষয় স্থান পায়। অনিয়মের আরো কয়েকটি ঘটনার মধ্যে রয়েছে : শিক্ষা নম্বর ৫-কে ৭ দেখিয়ে প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তা নিয়োগ, স্বীকৃত প্রতিষ্ঠানের সনদ ছাড়াই প্রোডাকশন ম্যানোজার পদকে টেকনিক্যাল কোটায় বিবেচনায় দেখিয়ে প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তা শাহ আলম এবং একইভাবে মো: নূর উদ্দিনকে কারিগরি ডিগ্রি না থাকা সত্ত্বেও নিয়োগ দেয়া হয়। শাহ আলমের নিয়োগের ক্ষেত্রে স্নাতকে তৃতীয় বিভাগ থাকায় শিক্ষাগত যোগ্যতা ৫ নম্বরের স্থলে ৭ নম্বর দেখিয়ে মেধা তালিকায় প্রথম করা হয়। এ ছাড়া রাজস্ব খাতভুক্ত প্রথম শ্রেণীর ৪৭টি পদে নিয়োগের বাছাই কমিটিও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী না থাকায় সঠিক হয়নি। ওই কমিটিতে অর্থ, ধর্ম, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কোনো প্রতিনিধি ছিল না। এমনকি কমিটির সদস্যসচিব ও তখনকার ইফা সচিব রেজাউল করিম রেজুলেশনে স্বাক্ষর করেননি। নিরীক্ষায় দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার পাশাপশি আপত্তিকৃত টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।

মৌখিক পরীক্ষার নম্বর জালিয়াতি করে লাইব্রেরিয়ান পদে নিয়োগ : মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নাজমুস সাকীবকে লাইব্রেরিয়ান পদে নিয়োগ দেয়া হলেও তার পিতা হারুনুর রশীদের কোনো মুক্তিযোদ্ধা সনদ নেই। তদুপরি হারুনুর রশীদ ইফার উপপরিচালক ছিলেন এবং তিনি মুক্তিযোদ্ধা সুবিধা পাননি অর্থাৎ দুই বছর অতিরিক্ত চাকরির সুবিধা পাননি। এ ছাড়া নাজমুস সাকীবের মৌখিক পরীক্ষার নম্বর দু’টি রেজুলেশনে দুই রকম অর্থাৎ একটিতে ১৮ এবং একটি ১১ দেখানো হয়েছে। নিরীক্ষা মন্তব্যে নিয়োগটি স্বচ্ছ হয়নি উল্লেখ করে দায়ী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া, নিয়োগ বাতিল এবং আপত্তিকৃত টাকা আদায় করতে বলা হয়েছে।

পদ নেই তবুও নিয়োগ সম্পাদক ও সহকারী সম্পাদক : ফাহমিদা বেগমকে পদ সৃষ্টি না হওয়া সত্ত্বেও সহকারী সম্পাদক পদে ২৭ জুন ২০১০ সালে নিয়োগ দেয়া হয়। এই নিয়োগে কোনো নিয়মই মানা হয়নি। পরে তাকে সিলেকশন গ্রেডও প্রদান করা হয়। একইভাবে পদ না থাকা সত্ত্বেও ইফার প্রকাশনা বিভাগে মো: ইয়াছিন মিয়াকে ২০১০ সালে সহকারী সম্পাদক পদে এবং মো: আনোয়ার কবিরকে সম্পাদক পদে নিয়োগ দেয়া হয়। পরে পদ সৃষ্টি হওয়ার পর আবারো সরকারি নির্দেশনা লঙ্ঘন করে এই দুইজনকে স্থায়ীভাবে নিয়োগ দেয়া হয়। নিরীক্ষায় ইফার জবাব নাকচ করে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া এবং তাদের বেতনভাতা বাবদ পরিশোধিত টাকা আদায়ের পক্ষে মত দেয়া হয়।

জেলা কোটা নেই তবু নিয়োগ : হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা পদে মেসবাহ উদ্দিনকে নিয়োগ প্রদান করা হয় নিজ জেলা ব্রাহ্মণবাড়িয়া দেখিয়ে। ২৬/১১/২০১৬ তারিখে নিয়োগসংক্রান্ত কমিটির রেজুলেশন অনুযায়ী (যদিও ওই কমিটিও মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী হয়নি) ১১ জন কর্মকর্তা নিয়োগের ক্ষেত্রে জেলা কোটার প্রাপ্যতা পাঁচজন। সেই নিয়োগে এই কর্মকর্তা যুগ্মভাবে পঞ্চম স্থান অধিকার করেন। এর মধ্যে অপরজনকে এই মেধা তালিকায় নিয়োগ দেয়ায় মেধা তালিকায় নিয়োগের সুযোগ রুদ্ধ হয়। অন্য দিকে জেলা কোটায় মেসবাহ উদ্দিনের নিজ জেলা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পদ খালি নেই। এ ক্ষেত্রে একজন প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগের ক্ষেত্রে তথ্য গোপন করে জালিয়াতি করা হয়েছে। নিরীক্ষায় দায়ী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার পাশাপাশি আপত্তিকৃত টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দিতে বলা হয়েছে।

শিক্ষাগত যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও ৯ জনকে নিয়োগ : শিক্ষাগত যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও মো: আলী জিন্নাহকে সহকারী পরিচালক, ফারজীমা মিজানকে আর্টিস্ট, মো: রাসেল মিয়াকে ল্যাব টেকনিশিয়ান, মারিয়াতুল কুবরাহ, শেখ ফাহমিদা হক, সালমা আক্তার, কামরুন নাহার, খালেদা আক্তার লাকী ও খালেদা আক্তারকে লেডি ফার্মাসিস্ট পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এদের কারোরই এসব পদের শিক্ষাগত যোগ্যতা নেই। নিয়োগবিধি অনুযায়ী সহকারী পরিচালকের যোগ্যতা দ্বিতীয় শ্রেণীর সম্মানসহ দ্বিতীয় শ্রেণীর স্নাতকোত্তর ডিগ্রি। অথচ মো: আলী জিন্নাহ বি.এস (সম্মান) পাস।

লেডি ফার্মাসিস্ট পদের জন্য যোগ্যতা এইচএসসি পাসসহ প্যারামেডিক্যালে ডিপ্লোমা অথবা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ডিপ্লোমা থাকার কথা; কিন্তু এসব পদে নিয়োগপ্রাপ্তরা সবাই এসএসসি পাস এবং একজনের সংশ্লিষ্ট বিষয়ে এক বছরের এবং আরেকজনের দুই বছরের সার্টিফিকেট রয়েছে। ফারজীমা মিজান গ্রাফিক্স অ্যান্ড মাল্টি মিডিয়ায় বি.এ (সম্মান) পাস হওয়া সত্ত্বেও তাকে আর্টিস্ট পদে নিয়োগ দেয়া হয়। নিয়োগবিধি অনুযায়ী এই পদে চারুকলায় স্নাতক ডিগ্রির শর্ত রয়েছে। রাসেল মিয়াকে মেডিক্যাল ল্যাবরেটরি টেকনোলজিস্ট ডিপ্লোমা দেখিয়ে ল্যাবরেটরি টেকনিশিয়ান পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে; কিন্তু তার সার্টিফিকেট ইস্যুকারী প্রতিষ্ঠানকে উল্লিখিত ঠিকানায় সরেজমিন যাচাইয়ে পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া চাকরিতে যোগদানের পর গত ২৬/০২/১৮ তারিখে তাকে চার বছর মেয়াদি প্যাথলজি কোর্স করার জন্য ডিজি অনুমোদন প্রদান করেন। অর্থাৎ এর আগে তার কোনো কোর্স করা ছিল না। ইফা নিয়োগ সঠিক হওয়ার দাবি করা হয়। নিরীক্ষার সুপারিশে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় জড়িতদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বলা হয়েছে।

সরকারি আদেশ লঙ্ঘন করে গণশিক্ষায় ১৬৭ কর্মচারী নিয়োগ : মসজিদভিত্তিক গণশিক্ষা প্রকল্পের (ষষ্ঠ পর্যায়) শূন্য পদে ১৬৭ জন কর্মচারীকে সরকারি আদেশ লঙ্ঘন করে বিধিবহির্ভূতভাবে নিয়োগ প্রদান করা হয়। অভিযোগের জবাবে ইফার পক্ষ থেকে বলা হয়, অর্থ ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কাছে প্রতিনিধি চেয়ে চিঠি দেয়া হলেও তারা প্রতিনিধি পাঠায়নি। নিরীক্ষায় এই জবাব প্রত্যাখ্যান করে দায়ী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হয়েছে।

নিয়মবহির্ভূতভাবে ২২৪ জন দৈনিক ভিত্তিতে নিয়োগ : ২০০৮ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ইফায় বিভিন্ন পদে ২২৪ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ঢালাওভাবে দৈনিক ভিত্তিতে নিয়োগ দেয়া হয়। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক এমন নিয়োগের কোনো সুযোগ নেই। ইফা এমন নিয়োগ দিতে পারে দাবি করলেও নিরীক্ষায় তা নাকচ করে নিয়োগের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

দৈনিকভিত্তিক ১৩৫ কর্মচারীকে রাজস্ব খাতে নিয়মিতকরণ : ১৩৫ জন দৈনিকভিত্তিক কর্মচারীকে ২০১৩, ২০১৫ ও ২০১৭ সালে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ছাড়পত্র গ্রহণ না করে এবং পত্রিকায় বিজ্ঞাপন প্রকাশ না করে রাজস্ব খাতে নিয়মিত করা হয়। ইফা এমন নিয়োগের অধিকার রাখে দাবি করে জবাব দেয়। অডিট দল তা গ্রহণ করেনি এবং দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলেছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ছাড়পত্র ছাড়া ৭ কর্মকর্তা নিয়োগ ও পদোন্নতি : ড. মোস্তাক আহমেদ,্ এ বি এম গোলাম সরোয়ার ও এ কে এম কবিরসহ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ছাড়পত্র ছাড়া প্রথম শ্রেণীর সাত কর্মকর্তাকে নিয়োগ ও পদোন্নতি দেয়া হয়। ২০১০ সালের নিয়োগসংক্রান্ত কমিটির রেজুলেশন অনুযায়ী নিয়োগসংক্রান্ত কমিটিও ধর্ম মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক সম্পন্ন হয়নি। পরবর্তী সময়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ২০১০ সালে ছাড়কৃত শূন্য পদে সরাসরি উপযুক্ত প্রার্থী নির্বাচনের মাধ্যমে পূরণের শর্ত দেয়; কিন্তু ইফা উপরিউক্ত অনিয়মিত কর্মকর্তাদের মধ্য থেকেই তিনজনকে ২৬/১১/১১ তারিখের স্মারকের মাধ্যমে ২৭/০১/১০ থেকে নিয়মিত করে। দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা এবং আপত্তিকৃত টাকা সরকারি কোষাগারে জমার সুপারিশ করা হয়েছে রিপোর্টে।
বিধিবহির্ভূতভাবে ৪৭ জন নবম গ্রেডের কর্মকর্তা নিয়োগ : ২০১২ সালে সহকারী পরিচালকসহ অন্য প্রথম শ্রেণীর পদে ৪৭ জনকে নিয়োগ দেয়া হয়, যার রেজুলেশনে বাছাই কমিটিতে কোনো মন্ত্রণালয়ের কারো স্বাক্ষর এমনকি ফাউন্ডেশনের সচিব, যিনি নিয়োগ কমিটির সদস্যসচিব ছিলেনÑ তার স্বাক্ষর নেই।

পদ ছাড়াই গবেষণা সহকারী নিয়োগ : অর্গানোগ্রাম ও নিয়োগবিধিতে কোনো পদ না থাকা সত্ত্বেও গবেষণা সহকারী পদে ২০০৯-১০ অর্থবছরে আনোয়ারুল হককে নিয়োগ দেয়া হয়। ইফা সংশোধিত অর্গানোগ্রামে পদটি অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন বলে জানায়। নিরীক্ষায় এই জবাব অগ্রহণযোগ্য মন্তব্য করে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলেছে।
আবেদনপত্র বাতিলযোগ্য তারপরও নিয়োগ ৪ জন : চাকরির আবেদনপত্র বাতিলযোগ্য হওয়া সত্ত্বেও সালমা আক্তারসহ চারজনকে লেডি ফার্মাসিস্ট হিসেবে নিয়োগ প্রদান এবং পরে স্থায়ী করা হয়। এদের নথিতে আবেদনের সাথে প্রভিশনাল সার্টিফিকেট দাখিল করে এবং তা ইস্যুর পর দুই বছর কার্যকর থাকবে বলে উল্লেখ রয়েছে; কিন্তু তারপরও সেই সার্টিফিকেটের ভিত্তিতেই তাদের নিয়োগ দেয়া হয়। পরবর্র্তী সময়ে চাকরি স্থায়ীকরণের সময়ও তাদের মূল সার্টিফিকেট নেয়া হয়নি, যাচাইও করা হয়নি।

অভিজ্ঞতা ছাড়াই ৫ জন উপপরিচালক : ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন প্রকল্পে উপপরিচালক পদে শিক্ষাগত যোগ্যতার পাশাপাশি পাঁচ বছরের অভিজ্ঞতার শর্ত ছিল; কিন্তু সেই অভিজ্ঞতা না থাকা সত্ত্বেও পাঁজনকে অনিয়মিতভাবে নিয়োগ দিয়ে পরে পরিচালক পদে পদোন্নতিও দেয়া হয়। এসব পদ সৃষ্টি হওয়ার পর উপপরিচালক পদে আট বছরের অভিজ্ঞতার শর্ত রয়েছে। নিরীক্ষায় বলা হয়, চাকরির আবেদনই বাতিলযোগ্য ছিল।

বার্তা বাজার/ডব্লিও.এস

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর