বিপিএল মাতাতে বিদেশি কোচ এবং খেলোয়াড়রা কে কবে আসবেন?

‘আচ্ছা ভাই! দলগুলোর বিদেশি ক্রিকেটার ও কোচরা আসবেন কবে? বঙ্গবন্ধু বিপিএলের অফিসিয়াল প্র্যাকটিস শুরু কোন দিন থেকে?’

উৎসাহি ক্রিকেট ভক্তদের কৌতুহলি প্রশ্ন। এ প্রশ্নের জবাবে কেউ কেউ হয়ত বলবেন, ‘কেন প্রস্তুতি তো শুরু হয়ে গেছে! ঢাকা প্লাটুনসহ কোন কোন দলের প্রস্তুতি তো চলছে।’

তা চলছে। তবে সেটা আনুষ্ঠানিক অনুশীলন নয়। কারণ ঢাকা প্লাটুনের কয়েকজন ক্রিকেটার হেড কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দীনের সাথে কাজ করছেন বেশ কয়েকদিন ধরেই। ওটাকে ঠিক টিম প্র্যাকটিস বলা যাবে না। হাতে গোনা কয়েকজন ক্রিকেটারকে ঝালিয়ে নেয়ার কাজ বলাই যুক্তিযুক্ত হবে।

সেই কাজটি সবার আগে শুরু করেছেন ঢাকা প্লাটুনের কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দীন। প্রায় দিন দশেক আগেই শেরে বাংলার পশ্চিম উত্তর দিকের বিসিবি একাডেমি মাঠে কয়েকজন স্থানীয় ক্রিকেটার নিয়ে ব্যক্তিগত পর্যায়ের অনুশীলন শুরু করেছেন ঢাকার এবারের কোচ সালাউদ্দীন। ধীরে ধীরে সেই প্রস্তুতি পর্বে যোগ দিয়েছেন মাশরাফি বিন মর্তুজা ও তামিম ইকবালরা।

সত্যিকার অর্থে এখন পর্যন্ত দুই থেকে তিনটি দলের ক্রিকেটারদের মাঠে নিজেদের তৈরি করতে দেখা যাচ্ছে। এ কয়দিনে নিয়মিত চোখে পড়েছে ঢাকার ক্রিকেটারদের আনাগোনা। আজ ৪ ডিসেম্বর বুধবার হোম অফ ক্রিকেটের একাডেমি মাঠে অনুশীলন করলেন রংপুর রেঞ্জার্স ও সিলেট থান্ডারের কয়েকজন ক্রিকেটারও।

বলার অপেক্ষা রাখে না, আজ রাত অবধি কোন দলের একজন বিদেশী ক্রিকেটারও আসেননি ঢাকায়। ৬ বিদেশি কোচের কেউ এখন পর্যন্ত রাজধানী ঢাকায় পা রাখেননি।

মোটকথা, সপ্তাহের বেশি সময় ধরে চলা ঢাকা প্লাটুনের প্র্যাকটিস এবং আজ বুধবার নিজেদের ঝালিয়ে নিতে মাঠে আসা রংপুর ও সিলেটও স্থানীয় কোচের অধীনে দেশি ক্রিকেটারদের দিয়েই প্র্যাকটিস করেছে।

আসলে হার্শেল গিবস (সিলেট থান্ডার্স), ওটিস গিবসন (কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স), জেমস ফস্টার (খুলনা টাইগার্স), ওয়াইজ শাহ (রাজশাহী রয়েলস), পল নিক্সন (চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স) আর মার্ক ও’ডনেল (রংপুর রেঞ্জার্স)- এই ৬ বিদেশি কোচের কেউ আজ অবধি ঢাকায় আসেননি। আগামী দুই দিনেও কারো এসে পৌছানোর সম্ভাবনা নেই।

সব দলের সাথে কথা বলে জানা গেছে, কারো কোচই ৮ ডিসেম্বরের আগে ঢাকায় আসছেন না। কয়েকজন ৯ ডিসেম্বরও আসবেন। গড়পড়তা ৯ থেকে ১০ ডিসেম্বর শুরু হবে বিদেশি কোচদের অধীনে দলগুলোর প্র্যাকটিস।

তার আগে যদিও সব দলেরই প্র্যাকটিস শুরু হয়ে যাবে। তবে ঢাকা প্লাটুন ছাড়া সব দলকে স্থানীয় কোচের অধীনেই অনুশীলন করতে হবে। এক্ষত্রে হেড কোচ সালাউদ্দীন বাংলাদেশি বলেই ঢাকার ক্রিকেটাররা এখন পর্যন্ত কয়েকদিন অনুশীলন করতে পেরেছেন।

যে সুযোগটা বাকি ৬ দলের ক্রিকেটারদের নেই। তারা এখন পর্যন্ত হেড কোচকে পাননি। শুধু কোচের কথা বলা কেন? বিদেশী ক্রিকেটাররাও কেউ আগামী ৪৮ ঘন্টার ভিতরে আসবেন না।

তারপরও আজ বুধবার ঢাকা প্লাটুনের পাশাপাশি রংপুর রেঞ্জার্স আর সিলেট থান্ডার্সের স্থানীয় ক্রিকেটারদের দিয়েই অনুশীলন শুরু করেছে। রংপুর প্র্যাকটিস করলো প্রধান সহকারি কোচ মিজানুর রহমান বাবুলের অধীনে। রংপুরের হেড কোচ মার্ক ও’ডনেল কবে আসবেন?

দলটির সহকারি কোচ মিজানুর রহমান বাবুল ঠিক জানাতে পারেননি, কবে আসবেন। তবে বাবুল জানালেন, ‘আমি ঠিক নিশ্চিত করে বলতে পারছি না। তবে ৮ থেকে ৯ ডিসেম্বরের মধ্যে আসবেন বলে শুনেছি।’

হার্শেল গিবস না আসায় টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজার সারোয়ার ইমরান সিলেটের প্রস্তুতি কাজ তদারক শুরু করেছেন। সারোয়ার ইমরান জানালেন, হার্শেল গিবস আসবেন ৯ ডিসেম্বর। একইভাবে কুমিল্লার হেড কোচ ওটিস গিবসনও রাজধানীতে আসছেন ৮ থেকে ৯ ডিসেম্বরের মধ্যে।

মোটকথা, কোন দলেরই বিদেশী কোচ ৮ ডিসেম্বরের আগে আসছেন না। একইভাবে বিদেশী ক্রিকেটাররা সেভাবে কেউই ৮ তারিখের আগে আসছেন না।

তাই শেরে বাংলার আশপাশ ও প্র্যাকটিস গ্রাউন্ড একাডেমি মাঠ বিদেশী কোচ ও ক্রিকেটারে সরব হতে আরও তিন-চারদিন। সব বিদেশীর আনাগোনা শুরু হবে ৮ ডিসেম্বর রাত থেকে।

জানা গেছে ৭ দলের পাঁচ তারকা হোটেলে চেক ইনের তারিখও ৮ ডিসেম্বর। সেদিন থেকেই আসলে দলগুলোকে হোটেল বুকিং করেছে। কারণ তাদের বিদেশী কোচিং স্টাফ ও প্লেয়াররা আসলে সেদিন থেকেই আসতে শুরু করবেন।

বার্তাবাজার/ডব্লিওএস

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর