মহিলাদের ধর্ষণ করা বা অত্যাচার করা অস্বাভাবিক কিছু নয়: তসলিমা

হায়দরাবাদে এক তরুণীকে নৃশংসভাবে ধর্ষণ ও হত্যা করার ঘটনায় উত্তাল হয়ে উঠেছে গোটা দেশ। এমনকি ওই ধর্ষকের মৃত্যুদণ্ড হওয়া উচিৎ বলে মনে করেছেন একাধিক সাংসদও। এদিকে এই প্রসঙ্গে বিতর্কিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন মনে করেন, ধর্ষকদের মেরে কোনও লাভ নেই। সবার আগে পিতৃতান্ত্রিক শিক্ষাকেই শেষ করতে হবে। আজ বুধবার এক ট্যুইট বার্তায় এমনটাই জানালেন তিনি।

টুইটারে তিনি লিখেন, ‘পিতৃতান্ত্রিক শিক্ষা শেখায় যে মহিলারা মহিলারা নিকৃষ্ট প্রজাতির। শুধু সেক্স অবজেক্ট ছাড়া আর কিছুই নয়।’

তসলিমা আরও বলেন, যৌনবৃত্তিকে আইনি তকমা দিয়ে এ কথা আরও স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে যে পুরুষের কাছে মহিলারা সেক্স স্লেভ ছাড়া কিছুই নয়। সুতরাং মহিলাদের ধর্ষণ করা বা অত্যাচার করা অস্বাভাবিক কিছু নয়।

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার হায়দরাবাদে পশু চিকিৎসক ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়। পরে হায়দরাবাদের মূল শহর থেকে কিছুটা দূরে চাতানপল্লির কাছে একটি কালভার্টের নীচে থেকে তার দেহ উদ্ধার করা হয়। এ নিয়ে সোমবার রাজ্যসভায় নারীদের নিরাপত্তা নিয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন সমাজবাদী পার্টির সাংসদ তথা অভিনেত্রী জয়া বচ্চন। তিনি বলেন, ধর্ষকদের আমজনতার হাতে তুলে দেওয়া হোক। মানুষই ওদের পিটিয়ে প্রকাশ্যে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দিক। জয়ার সেই দাবিকে সমর্থন করেছেন একই রাজ্যের তৃণমূল সাংসদ মিমি চক্রবর্তী, বিজেপি এমপি রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ও।

যাদবপুরের সাংসদ মিমিও টুইট করে জানান, “তাঁর (জয়া বচ্চন) মন্তব্যকে সমর্থন জানাচ্ছি। আমার মনে হয় না, নিরাপত্তা দিয়ে ধর্ষকদের আদালতে নিয়ে যাওয়ার দরকার আছে বা বিচারের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। সঙ্গে সঙ্গে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।”

বার্তাবাজার/কে.জে.পি

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর