মানুষ কানে আঙুল ঢুকিয়ে দ্রব্যমূল্যের কথা শোনাচ্ছে: নানক

নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম কমিয়ে আনতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন খোদ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক। তিনি নিজের বাজার পরিদর্শনের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেছেন, মানুষ এখন কানে আঙুল দিয়ে দাম বাড়ার কথা শোনাচ্ছে।

নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি রোধে ব্যবসায়ীদের করণীয় নিয়ে এক আলোচনা সভায় নানক এসব কথা বলেন। আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপ কমিটি রাজধানীর একটি হোটেলে আজ মঙ্গলবার এ সভার আয়োজন করে। এতে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি ও আওয়ামী উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য কাজী আকরাম উদ্দীন আহমদ, শিল্প-বাণিজ্য বিষয়ক উপ কমিটির সদস্যসচিব আবদুছ সাত্তারসহ এফবিসিসিআইয়ের কয়েকজন পরিচালক, বিভিন্ন পণ্যের ব্যবসায়ী ও দোকান মালিক সমিতির নেতারা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নির্দেশে অল্প সময়ের মধ্যে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

আজ নিজের বক্তব্যের শুরুতে অনুষ্ঠান আয়োজনের কারণ তুলে ধরেন নানক। তিনি বলেন, বাজার ব্যবস্থাপনায় অসুস্থ অবস্থা বিরাজ করছে। দায়িত্বশীল ও জনবান্ধব রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগ চুপচাপ বসে থাকতে পারে না।

এরপরে নানক সম্প্রতি লুঙ্গি পড়ে সাধারণ মানুষ হিসেবে গভীর রাতে কুমিল্লার নিমসা বাজারে ঘোরা, মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটে যাওয়া এবং সচিবালয়ের পাশে টিসিবির পেঁয়াজ বিক্রির লাইন দেখার অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘কৃষি মার্কেটে মানুষের কথা শুনলাম। মানুষ কানের ভেতরে আঙুল দিয়ে দাম বাড়ার কথা শোনাল। দূর থেকে অনেকে উচ্চ স্বরেও কথা বলল।’ তিনি বলেন, ‘সচিবালয়ের পাশে টিসিবির লাইনের দিকে তাকিয়ে দেখার চেষ্টা করলাম লাইনে কী তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারীরা দাঁড়িয়েছে। দেখলাম সব শ্রেণির মানুষ লাইনে।’ দেশের মধ্যবিত্ত শ্রেণি ক্ষয়িষ্ণু শ্রেণিতে পরিণত হচ্ছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) বিক্রি করা পেঁয়াজ কিনতে সব শ্রেণির মানুষ লাইনে দাঁড়াচ্ছে বলে মন্তব্য করেন নানক।

বাজার ঘোরা ও টিসিবির ট্রাকের সামনের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা তুলে ধরে সাবেক মন্ত্রী নানক বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের রাজনৈতিক দল। এই সরকার জনবান্ধব। এমন পরিস্থিতি মেনে নেওয়া যায় না।

নানক আরও বলেন, বাজারে এই অস্থিরতা রয়েছে। লাগামহীন পাগলা ঘোড়া হতে দেওয়া যাবে না। জনগণের সরকার এটা মেনে নিতে পারে না। তিনি বলেন, নিমসায় যে ফুলকপি ৭ টাকা, সেটা কারওয়ান বাজারে এসে তিন হাত বদলে ২০ টাকা, খুচরা ৪০-৫০ টাকা হয়ে যায়। এটা মেনে নেওয়া যায় না।

ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে নানক বলেন, মানুষের মুখের দিকে তাকিয়ে দাম কমিয়ে আনুন। আগামীকাল থেকে যেন দাম কমে যায়।

বার্তাবাজার/এইচ.আর

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর