শীত বাড়ার সঙ্গে বাড়ছে পিঠা বিক্রেতাদের ব্যস্ততা

শীতের অন্যতম জনপ্রিয় খাবারের তালিকায় পিঠার স্থান রয়েছে প্রথমে।ছোটবেলায় ঠাকুরমার কাছে টোনা-টুনির গল্পে জেনেছিলাম টোনাটুনির পিঠা খাওয়ার গল্প।

বর্তমানে শীতের জনপ্রিয় পিঠা ভাপা পিঠা। হেমন্তের শুরুতে গোধূলী বেলায় হালকা কুয়াশা নেমে আসতে না আসতেই দেশের প্রতিটি শহরে রাস্তার ধারে এবং গ্রামের হাটে ভাপা বানাবার মাটির ছোট্ট চুলায় মাটির পাতিলে পানি ভরে মুখ লেপে ছোট করে তার ওপর পাতলা কাপড়ের আস্তরণ দিয়ে বসে পড়ে পিঠার কারিগর। সঙ্গে থাকে চালের আটা, গুড়, নারকোল আর ছোট্ট বাটি (মাপ অনুযায়ী)।
বিকেলের আলো ক্ষীণ হয়ে যেতে শুরু করলেই শহরের পিঠা বিক্রির দোকান গুলোতে ক্রেতাদের ঢল নামে।শীতের সন্ধায় মুখরোচক নানান রকমের পিঠা পরিবেশন করে ক্রেতাদের মুগ্ধ করেন পিঠা বিক্রেতারা।

শহুরে জীবনে শীতের পিঠা অনেকটা ‘আর্টিফিশিয়াল’। অর্থাৎ শীতের সময়টায় হোটেল রেস্তোরাঁগুলোতে প্রায় সকল ধরনের পিঠা বিক্রি শুরু হয়। পৌষ মাস পড়লেই বিভিন্ন সংগঠনে হয় পিঠা উৎসব। উৎসবের আয়োজনকারীরা নতুন পুরনো সকল ধরনের পিঠা বানিয়ে আনার কথাটি অংশগ্রহণকারীদের আগেভাগেই বলে দেয়। ফলে দেখা যায় আগের রাতে পিঠা বানানোর শিল্পীরা (পরিবারের সকল সদস্যই) নানা জাতের পিঠা বানাতে কোমর বেঁধে নেমে পড়ে।পিঠা বিক্রয়ের দোকান গুলোতেও বাহারী রকম পিঠা দেখা যায়। এইসব পিঠার নামও সুন্দর। প্রকৃতির অনুষঙ্গের সঙ্গে মিল রেখে নামকরণ করা হয়। দেখা যায়,একই ধরনের পিঠা নানা ফর্মে বিচিত্র নামে পরিবেশিত হয়েছে।
এই বাহারি পিঠাগুলোই গ্রামীন সংস্কৃতি কে বহন করছে যুগযুগ ধরে।

বার্তাবাজার/ডব্লিওএস

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর