পঞ্চম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়ের পেট উঁচু দেখে টিউমার সন্দেহে স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গিয়েছিলেন মা। চিকিৎসক পরামর্শ দেন আল্ট্রাসনোগ্রামের। এরপর দেখা যায় কিশোরীটি ২৮ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা। এ খবর শুনেই হার্টঅ্যাটাক হয়ে মারা যান মা।
ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় গত বুধবার এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরের দিন বৃহস্পতিবার কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।
মামলায় দুইজনকে আসামি করা হয়। মামলায় বলা হয়, কয়েক মাস আগে এলাকায় ট্রাক্টরে ইট আনা-নেয়ার কাজ করত দুলাল। স্কুলে যাওয়ার পথে কিশোরীটির ওপর তার নজর পড়ে। পরে টাকার বিনিময়ে এলাকার এক নারীর সহযোগিতায় ওই কিশোরীকে নেশার ট্যাবলেট খাইয়ে ধর্ষণ করে দুলাল।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মোহাইমেনুল ইসলাম জানান, মামলার পরে ছাত্রীকে ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়েছে। আদালতে নিয়ে বিচারকের সামনে জবানবন্দি দিয়েছে। অভিযান চালিয়ে প্রধান আসামি দুলালকে শুক্রবার ভোরে গ্রেফতার করা হয়েছে। দুই নম্বর আসামিকেও আটকের চেষ্টা চলছে। দুলালের বাড়ি লালমোহন উপজেলার ফরাজগঞ্জ ইউপিতে।
বোরহাউদ্দিন থানার ওসি এনামুল হক জানান, দুলাল এখনো থানা হেফাজতে রয়েছেন। শনিবার তাকে আদালতে পাঠানো হবে।
বার্তাবাজার/কে.জে.পি