শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে শিশু ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে আদিবাসী যুবকের মৃতুদন্ড

শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী উপজেলার সীমান্তঘেষা পানিহাতা গ্রামে এক আদিবাসী শিশুকে ধর্ষণ এবং ধর্ষণ শেষে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার দায়ে কান্তি মারাক (৪০) নামে এক আদিবাসী যুবককে মৃত্যুদন্ডাদেশ দিয়েছে আদালত।

৯ এপ্রিল মঙ্গলবার দুপুরে শেরপুরের নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক মো. আকতারুজ্জামান আসামীকে এ মৃত্যুদন্ডাদেশ প্রদান করেন। একই সাথে এক লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আদেশ দেওয়া হয়।

আদালত ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, বিগত ২০১৩ সালের ৩০ মার্চ সন্ধ্যা ৭টার দিকে শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী উপজেলার গারো পাহাড় এলাকার পানিহাতা গ্রামের নিতিশ মান্দার ছেলে তিন সন্তানের জনক কান্তি মারাক প্রতিবেশী গ্রাবিয়েল দিউয়ার ৮ বছর বয়সের শিশু কন্যা সম্পর্কে ভাগিনী ওই শিশুকে নিজ ঘরে ডেকে নিয়ে জোড়পূর্বক ধর্ষণ করে।

এক পর্যায়ে শিশুটি ডাক-চিৎকার শুরু করেলে পাষন্ড ধর্ষক কান্তি মারাক তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে বাড়ির পাশের পানির সেচের ড্রেনে ফেলে পালিয়ে যায়।

এ ঘটনায় ধর্ষিতার নানা প্রজিন্দ্র মারাক বাদী হয়ে পরের দিন ৩১ মার্চ নালিতাবাড়ি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করলে পুলিশ ওই দিন ময়মনসিংহ জেলার পার্শ্ববর্তী ফুলপুর উপজেলায় ধর্ষকের বোনের বাড়ি থেকে ধর্ষক কান্তি মারাককে গ্রেফতার করে।

নালিতাবাড়ী থানার এসআই (উপ-পরিদর্শক) হাফিজ আল আসাদ মামলার তদন্ত শেষে আদালতে আসামী কান্তি মারাকের বিরুদ্ধে চার্জশীট দাখিল করে। পরবর্তীতে ২০১৩ সালের ৪ জুন মামলার চার্জগঠন শেষে বিচারের কাজ শুরু করা হয়। ১১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহন এবং আসামীর জবানবন্দিতে নিজের দোষ স্বীকার করায় আদালত এ রায় প্রদান করেন।

রাষ্ট্র পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন, পিপি এ্যাডভোকেট গোলাম কিবরিয়া বুলু ও আসামী পক্ষে ছিলেন, এ্যাডভোকেট আবু জর গাফ্ফারী। রাষ্ট্র পক্ষের পিপি এ্যাডভোকেট গোলাম কিবরিয়া বুলু মামলার রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর