আইপিএলের জন্য মামলা করলেন স্টার্ক

বিশ্ব ক্রিকেটে সবচেয়ে লোভনীয় ক্রিকেট লিগ হচ্ছে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ। খেলার মান ও অর্থের ঝনঝনানিতে এর ধারেকাছে নেই কেউ। আইপিএলে খেলার জন্য মুখিয়ে থাকেন সব বড় তারকা। অস্ট্রেলিয়ান ফাস্ট বোলার মিচেল স্টার্কও এর ব্যতিক্রম নন। কিন্তু ভাগ্যের পরিহাসে টানা দ্বিতীয়বারের মতো আইপিএল খেলা হচ্ছে না তাঁর। ফলে সম্ভাব্য আয়টাও অনেক কমে গেছে তাঁর। সে ধাক্কা সামলাতেই ক্ষতিপূরণের মামলা করেছেন স্টার্ক।

এ বছর বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে দলের অনেক গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়কেই আইপিএলে যেতে দেয়নি অস্ট্রেলিয়ান বোর্ড। এ নিয়ে চুক্তিবদ্ধ খেলোয়াড় হিসেবে আপত্তি তোলার সুযোগ নেই স্টার্কের। তবে এই পেসার মামলা করেছেন ২০১৮ আইপিএলের চুক্তি নিয়ে। সেবার স্টার্ককে নিয়ে রীতিমতো কাড়াকাড়ি শুরু হয়েছিল। ১৮ লাখ ইউএস ডলারে কলকাতা নাইট রাইডার্স তাঁকে দলে টেনেছিল। কিন্তু গত টুর্নামেন্টে কলকাতার হয়ে একটি বলও করতে পারেননি স্টার্ক। চোট যে তাঁকে আগেই কেড়ে নিয়েছে।

অস্ট্রেলিয়ার দক্ষিণ আফ্রিকা সফরটি বিখ্যাত হয়ে আছে স্টিভ স্মিথ, ডেভিড ওয়ার্নার ও ক্যামেরন ব্যানক্রফটের বল টেম্পারিং বিতর্কের জন্য। এ কারণে স্মিথ ও ওয়ার্নারের চুক্তিটা বাতিল হয়েছিল। দুজনেই হাতছাড়া করেছেন ২৪ লাখ ডলার। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকা সফর স্টার্কের কপাল থেকেও কেড়ে নিয়েছে ১৮ লাখ ডলার। সে সিরিজে দ্বিতীয় টেস্টে ঊরুর পেশিতে ব্যথা পেয়েছিলেন স্টার্ক। আর তৃতীয় টেস্টে ডান টিবিয়াল হাড়ই ভেঙে গিয়েছিল তাঁর। ফলে আইপিএলেই খেলা হয়নি তাঁর।

আদালতে সমর্পিত নথি অনুযায়ী, স্টার্ক ওই সিরিজের আগে ১ দশমিক ৫৩ মিলিয়ন ডলারের বিমা করিয়েছিলেন। সে চুক্তির শর্ত ছিল, যদি চোটের কারণে আইপিএল খেলতে না পারেন স্টার্ক, তবে তাঁকে এই অর্থ দেবে বিমা প্রতিষ্ঠান। সে চুক্তি অনুযায়ীই স্টার্কের আইনজীবী মিলস ওকলি লন্ডনের লয়েড সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে মামলা করতে যাচ্ছেন। লন্ডনের এই প্রতিষ্ঠানটি সাধারণ বিমা প্রতিষ্ঠান করতে রাজি নয় এমন বিশেষ ধরনের বিমা করার জন্য বিখ্যাত।

মামলার রিটে বলা হয়েছে, স্টার্ক ফেব্রুয়ারি ২৭ থেকে মার্চ ৩১-এর জন্য ৯৭ হাজার ৯২০ ডলার প্রিমিয়াম দিয়েছিলেন। স্টার্কের দাবি, মার্চ ১০ তারিখেই তিনি ডান ঊরুতে ব্যথা অনুভব করেছেন, ‘ক্ষয়ে যাওয়া উইকেটে অসমান ফুটওয়ার্কে বল করে বাদী ডান ঊরুতে হঠাৎ ব্যথা পেয়েছেন। এরপরের বোলিং সেশন ও পরের টেস্টে সে ব্যথা আরও বেড়েছে। এর ফলে বাদী চতুর্থ টেস্ট খেলতে পারেননি।’ চুক্তির আগে স্টার্ককে বিমা প্রতিষ্ঠানের মেডিকেল দল পরীক্ষা করেছিল এবং তাঁর আগের চোটগুলোও হিসাবে রাখা হয়েছিল। সেটাকেই এখন ঢাল বানাতে চাইছে বিমা প্রতিষ্ঠান। রিটে বলা হয়েছে, ‘বাদীর দাবি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে কথা হয়েছে, যার ফলে ২০১৮ সালের ২২ নভেম্বর বিবাদীর পক্ষ থেকে একটি চূড়ান্ত জবাব পাওয়া গেছে। সেই ই-মেইলে বলা হয়েছে, বিবাদী মনে করে অক্ষমতাজনিত অর্থ পাওয়ার দাবি রাখে না বাদী।’

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর