হাসিনা-মমতা বৈঠকে কাটল না তিস্তা জট

সৌজন্যের মোড়কে শেষ হল হাসিনা-মমতা বৈঠক। শুক্রবার প্রায় এক ঘন্টা বৈঠক শেষে দু’জনেই সংবাদমাধ্যমকে জানালেন, এটা সৌজন্য সাক্ষাৎ। ঘরোয়া পরিবেশে খুব ভালো কথা হয়েছে। যদিও, বৈঠক ঘিরে সবার নজর ছিল বাংলাদেশকে তিস্তার জলবন্টনের বিষয়ে। সে নিয়ে অবশ্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং এ রাজ্যের (পশ্চিমবঙ্গ) মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-কেউই টু-শব্দটি করেননি। যাতে স্পষ্ট এই বৈঠকেও খুলল ন তিস্তা পানিবন্টন জট।

প্রতিবারেই হাসিনা-মমতা বৈঠকের আকর্ষণ হয়ে ওঠে তিস্তা। এদিন সন্ধ্যায় দক্ষিণ কলকাতার তাজ বেঙ্গল হোটেলে বৈঠক ঘিরে তাই সাংবাদিকদের মূল প্রশ্ন ছিল তিস্তাকে কেন্দ্র করে। কিন্তু, দু-জনেই সে বিষয়ে মুখ না খুলে বৈঠককে সৌজন্যের মোড়কে বেঁধে দেন।

শেখ হাসিনা,‘গোলাপি বলে দিন-রাতের খেলা দেখতে এসেছিলাম। প্রতিবেশী এই দুই দেশের সম্পর্ক চমৎকার। আমরা চাই, এই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক সবসময় বজায় থাকুক। মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারত যেভবে আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছিল, সে কথা আমরা কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করি। মুক্তিযুদ্ধের সময় ১ কোটি শরনার্থীকে ভারত আশ্রয় দিয়েছিল। ” ক্রিকেট নিয়ে তিনি বলেন, “আমরা ক্রিকেটে হয়ত ততটা ভালো করতে পারছি না। আগামীদিনে আশাকরি নিশ্চয় ভালো করব।’
মমতার মন্তব্য, ‘ঘরোয়া পরিবেশে আলোচনা হয়ে হয়েছে। বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক সবসময় ভালো। দু-দেশের নানা বিষয়ে কথা হয়েছে।’

বাইরে না বললেও বৈঠকে কথার ছলে হাসিনা-মমতা বৈঠকতুলেছিলেন শেখ হাসিনা। মুখে হাসি ধরে রেখেই মমতা বলেছেন যে তিনি তো আগেই বলেছেন রাজ্যের স্বার্থ ক্ষুন্ন করে তিনি কিছু করবেন না। সে’সময় মমতা একথাও শেখ হাসিনাকে বলেছেন যে বিকল্প কিছু করা যায় কি না ভাবা হোক না। সমস্যা না হলে তো তাতে আপত্তি নেই। কিন্তু কি সেই বিকল্প? তার সদুত্তর বৈঠকে মেলেনি

বার্তাবাজার/এইচ.আর

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর