তারুণ্যের স্বনির্ভরতা ও সুশৃঙ্খল জাতি গঠনে শিক্ষার বিকল্প নেই

শিক্ষার কোন বিকল্প নাই। সুশিক্ষাই পারে দেশ ও জাতিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে। কিন্তু আমাদের দেশে পড়াশোনা করার ক্ষেত্রেও এক ধরনের সুপ্ত মানসিকতা বা উদ্দেশ্য কাজ করে।বাবা মা সন্তানের পড়াশোনা করান এই ভেবে যে তার সন্তান ভবিষ্যতে ভালো কোন চাকুরিতে যোগদান করবে।অনেক ক্ষেত্রে এই সূত্রটি বাবা মা নিজের অজান্তেই সন্তানের মনের গভীরে পৌছে দেন। আর সন্তানও তার মনের সফটওয়্যার এ ফিক্সড করে ফেলে যে আমাকে বুঝি চাকুরিই করতে হবে। এভাবেই চোখ কান বুজে তারা পড়াশোনা করে ঠিকই কিন্তু হারিয়ে ফেলে নিজের সৃজনশীল মেধা।যে মেধা তাকে নিয়ে যেতে পারে অন্য এক উচ্চতায়। তাই বলে চাকুরি করা খারাপ তা কিন্তু নয়,তবে সৃজনশীল মেধাশক্তি নিজের যোগ্যতা সম্পর্কে যাচাই করার সুযোগটা তৈরি করে দেয়।আর এসব বিষয় নিয়েই মোহাম্মদ আরিফুজ্জামান (ব্যবস্থাপনা পরিচালক,রিয়েল ক্যাপিটা গ্রুপ)জানালেন বেশ চমকপ্রদ তথ্য।

যেখানে তিনি বলেছেন যে, তার নিজের জীবনও গতানুগতিক ধারায় শুরু হয়েছিলো অর্থাৎ তিনিও পড়াশোনা শেষ করে চাকুরি জীবনে প্রবেশ করেন।বাবা আবুল বাসার ছিলেন একজন সৎ ও নিষ্ঠাবান সরকারী অডিট কর্মকর্তা। বাবার সততাকে নিজের মধ্যে ধারণ করে গতানুগতিক ধারা থেকে বেরিয়ে তরুন বয়সেই সফল এ উদ্যোক্তা ডি-প্রজন্মের কাছে খুলে বলেছেন নিজের জীবনের শুরু থেকে এই পর্যায়ে আসার গল্প।২০০৪ সালে ব্যাংকে চাকুরির মাধ্যমে শুরু করেন চাকুরি জীবন।

এরপর ২০০৮ সালে ব্যাংকের চাকুরি ছেড়ে, ভালো লাগার জায়গা থেকে শুরু করেন রিয়েল এস্টেট কোম্পানীতে চাকুরি। এখানে এসে উপলব্ধি করেন মানুষ নিজের জন্য একটি স্থায়ী ঠিকানার স্বপ্ন লালন করে নিজের অজান্তেই, আর তাই চাকুরি জীবনের শেষ সম্বল টুকু রেখে দেন নিজের একটি আবাসস্থলের আশায়।মানুষের এ স্বপ্নটুকুই তাকে নাড়া দেয়।ঠিক এ ভাবনা থেকেই মোহাম্মদ আরিফুজ্জামান ভাবতে থাকেন ভিন্ন পথের ও খুঁজতে থাকেন আবাসন সমস্যা সমাধানের নতুন এক সূত্র।যে সূত্রে একজন ক্রেতা জমির মূল্যেই বাড়ি সহ জমির মালিকানা বুঝে পাবে।

এ প্রসঙ্গে মোহাম্মদ আরিফুজ্জামান বলেন, আবাসন শিল্প এমন একটা সেক্টর যার ব্যাপ্তি অসীম। মানব জীবনের মৌলিক চাহিদা গুলো হলো খাদ্য,বস্র,বাসস্থান,শিক্ষা ও চিকিৎসা।যেখানে তৃতীয় অবস্থানে আছে “আবাসন” মানে বাসস্থান। আর নিজের একটি বাসস্থান প্রতিটি মানুষেরই প্রাথমিক চাহিদা যা সৃস্টি হতে শেষ অবধির প্রয়োজন হবেই। বর্তমানে রিয়েল এস্টেট সেক্টর বিশ্বব্যাপী এক নম্বর অবস্থানে আছে এবং এই একটি সেক্টর যেখানে সবচেয়ে বেশি বেকারত্বের কর্মসংস্থানের সমাধান করা সম্ভব।

তিনি আরো বলেন, আধুনিক পরিকল্পিত নগরী গড়ে তুলতে এবং নতুন করে,নতুন আঙ্গিকে ,নতুন কিছু গড়ার স্বপ্ন থেকেই রিয়েল এস্টেট সেক্টরে উদ্যোক্তা হিসেবে আমার প্রবেশ। চাকুরি জীবন থেকে এক প্রকার জোড় করে তার খুব কাছের একজন মানুষ তাকে রিয়েল এস্টেট সেক্টরে উদ্যোক্তা হিসেবে উৎসাহিত করেন বর্তমানে সেই মানুষটি রিয়েল ক্যাপিটা গ্রুপের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে তার (মোহাম্মদ আরিফুজ্জামান) সাথে সর্বদাই চিরন্তন। শুরু করেন আর.সি.মায়া.কানন ও আর সি রিভারী ভিলেজ নামক দুটি আবাসন প্রকল্প।

এছাড়াও রয়েছে প্রিয়জন গৃহায়ন নামক ব্যতিক্রমী আরেকটি আবাসন সমাধান। এই প্রজেক্টগুলো সাঁজানো হয়েছে সব ধরনের আয়ের মানুষ যেন নিজের একটি বাসস্থান নিশ্চিত করতে পারে সেই বিষয় বিবেচনা করে।ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সঞ্চয়ের বিনিয়োগ তাকে এগিয়ে নেবে নিশ্চিত মাথা গোঁজার ঠাঁইয়ের দিকে।

তরুনদের উদ্দেশ্যে মোহাম্মদ আরিফুজ্জামান বলেন, তরুনদের আমি একটা কথাই বলবো ‘চাকুরির জন্য চাকুরি’ না করে দক্ষ কর্মজীবী হওয়া জরুরী। যখন যেখানেই যে কাজ করি না কেন সেই কাজে যেন ভালো লাগাটা থাকে। আমারও রিয়েল এস্টেট ভালোলাগা ছিলো সঙ্গে ছিলো অদম্য মনোবল।সেটা ভালোভাবে রপ্ত করেছি বলেই হয়ত আমি আজ আমার জায়গায় শক্ত আসন গড়তে সক্ষম হয়েছি।এই সেক্টর নিজের দক্ষতার বহিঃপ্রকাশের একটি বড় প্লাটফর্ম।

এখানে মার্কেটিং -সেলস,প্রোমশন,ক্রিয়েটিভিটি ,প্রেজেন্টারসহ নানা সেক্টরের দক্ষতার এক সমন্বয় সূচক কর্মক্ষেত্র অর্জন করা সম্ভব ।আর বর্তমানে এই সেক্টরের স্মার্ট বেতন স্কেল ও প্রনোদনা যে কোন মূল্যেই একজন পরিশ্রমী দক্ষ কর্মীকে সচ্ছলতার চরম শিখরে পৌঁছে দিতে পারে বলে আমি বিশ্বাস করি। সততা আর সামনে এগিয়ে যাওয়ার আকাঙ্খা এবং কাজের প্রতি শ্রদ্ধা মানুষকে উন্নতির শিখরে নিয়ে যায়। স্বপ্ন বড় হলে আর লক্ষ্য স্থির থাকলে যে কোন অসাধ্যই বশে আনা সম্ভব, যারফলে দেশ ও জাতি গঠনে একধাপ এগিয়ে যাওয়া সহজতর হবে।

বার্তাবাজার/ডব্লিওএস

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর