পার্ট টাইম ইয়াবা ব্যবসায়ী ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের দুই ছাত্র

প্রায়ই কক্সবাজার-ঢাকা উড়োজাহাজে চলাফেরা করে মো. জামিউল ইসলাম (২১) ও মো. আরিফ শিকদার (২৩)। ক্যাম্পাসে তাদের দেদারছে টাকা খরচ দৃষ্টি কাড়ে সবার। তাদের এতো জৌলুস দেখে অনেকের মনেই জাগে কৌতূহল। দীর্ঘদিন রহস্যভেদ করা সম্ভব না হলেও অবশেষে জানা গেছে, মাদকের ভয়াবহ সিন্ডিকেটের সঙ্গে রয়েছে তাদের সম্পৃক্ততা। আটককৃত দুইজন ফরিদপুর পলিটেকনিকের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র।

সোমবার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এলাকা থেকে বিপুল পরিমাণ ইয়াবাসহ তাদের আটক করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

বিমানবন্দর আর্মড পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) আলমগীর হোসেন জানান, বেলা আড়াইটার সময় তারা বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ টার্মিনালের বহির্গামী রাস্তার গাড়ি পার্কিং এলাকায় সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করছিল। এ সময় আর্মড পুলিশ তাদের চ্যালেঞ্জ করলে ঘাবড়ে যায় তারা। পরে তল্লাশি করে উদ্ধার হয় ২ হাজার ৮৫০ ইয়াবা।

তিনি জানান, তারা মূলত ইয়াবার বাহক। মাদক কারবারিরা অর্থের প্রলোভন দেখিয়ে সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে মাদক পরিবহনের কাজে ব্যবহার করে থাকে। এরাও সেরকমই। আটক দুই ছাত্র প্রতি চালানে পেতো ২০ হাজার টাকা। এরা মূলত পড়াশোনার আড়ালেই জড়িয়ে পড়ে মাদক কারবারে।

জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা জানায়, তারা দুইজনেই ফরিদপুর পলিটেকনিকের ছাত্র। ফরিদপুরের শাহিন নামের একজন তাদের এই কাজে নিযুক্ত করেছে। এছাড়া কক্সবাজারের টেকনাফের হোয়াইকং এলাকা থেকে ব্যবসায়ী বাবুর থেকে ইয়াবা সংগ্রহ করে বলে জানিয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানিয়েছে নভোএয়ারের একটি ফ্লাইটযোগে কক্সবাজার থেকে এসব ইয়াবা তারা ঢাকায় নিয়ে আসে।

আটক জামিউল ইসলাম ফরিদপুর জেলার সালথা থানার কাজির বল্লবদি গ্রামের মো. আবুল হোসেনের ছেলে এবং আরিফ শিকদার গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী থানার খায়েরহাট গ্রামের মো. আশরাফের ছেলে।

বার্তাবাজার/ডব্লিওএস

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর