অভিজ্ঞতায় সবার চেয়ে এগিয়ে ঢাকা

দেশি ক্রিকেটার : তামিম ইকবাল (এ +), এনামুল হক বিজয় (বি), হাসান মাহমুদ (ই), মেহেদী হাসান (বি), আরিফুল হক (বি), মুমিনুল হক (এ), শুভাগত হোম (বি), মাশরাফি বিন মর্তুজা (এ +), রকিবুল হাসান (সি), জাকের আলি (ডি)। বিদেশি ক্রিকেটার : থিসারা পেরেরা, ররি ইভান্স, ওয়াহাব রিয়াজ, আসিফ আলি, লুইস রিস এবং শহিদ আফ্রিদি।

ডাক যত দেরিতেই আসুক না কেন, শেষ খবর হলো দেশ বরেণ্য ক্রিকেটার মাশরাফি বি মর্তুজা এবারের বঙ্গবন্ধু বিপিএলে ঢাকা প্লাটুনে। সাথে তামিম ইকবাল, মুমিনুল হক, শহিদ আফ্রিদির মত একঝাঁক পরিণত, অভিজ্ঞ ও প্রতিষ্ঠিত ক্রিকেটারের নতুন ঠিকানা এবার ঢাকা।

২৪ ঘন্টা আগে শেষ হয়েছে বিপিএলের প্লেয়ার্স ড্রাফট। এবার আগে থেকে কোন কিছু ঠিক করা ছিল না। কি করে থাকবে? এবার মানে কাল সোমবার রাতে যে দলগুলো প্লেয়ার্স ড্রাফটে অংশ নিলো, তারা আগে ছিল না। এবারই প্রথম স্পন্সর পার্টনার হয়েছে।

আগের বছর খেলা খেলোয়াড় ধরে রাখা (রিটেইন করা) এবং বিদেশি ক্রিকেটার আগেভাগে নিশ্চিত করা কিংবা আগের বছর খেলে যাওয়াদের আগে থেকে চুক্তি করে রাখা- আগের সব কোন নিয়ম কানুনই বাতিল এবার।

কাজেই সব নতুন করে হচ্ছে এবং হলো। প্লেয়ার্স ড্রাফট শেষে কোন দল কেমন হলো? কার শক্তি কতটা? তা নিয়ে চলছে আলোচনা, পর্যালোচনা। ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ।

এককভাবে কোন দলকে চিহ্নিত করা কিছুটা কঠিন। তবে খালি চোখে অনেকেই ঢাকা প্লাটুনকে এগিয়ে রাখছেন। যমুনা ব্যাংক এবার ঢাকার স্পন্সর পার্টনার। তাদের অর্থায়নেই এবার ঢাকা প্লাটুন নামে খেলবে ঢাকা।

গতবারের চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের সফল কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দীন এবার ঢাকা প্লাটুনের নতুন প্রশিক্ষক। নতুন দল সাজানোয় তার ভূমিকাই ছিল বেশি। প্লেয়ার্স ড্রাফটে ঢাকার মধ্যমনি ছিলেন কোচ সালাউদ্দীন।

কেমন হলো দল? প্লেয়ার্স ড্রাফটে কতটা স্বপ্ন পূরণ ঘটেছে? কাঙ্খিত ক্রিকেটারকে দলে ভেড়ানো গেছে কি না? এই দল নিয়ে কতদুর যাওয়া যাবে? নাকি আরও যে দুজন বিদেশি যুক্ত করা যাবে? সেদিকেই তাকিয়ে থাকবে ঢাকা?

আজ নিজ দল সম্পর্কে এসব নিয়েই অনেক খোলামেলা কথা বলেছেন কোচ সালাউদ্দীন। তার চোখে ঢাকা প্লাটুন সবচেয়ে অভিজ্ঞ ও পরিণত দল। যে দলটির মূল শক্তি অভিজ্ঞতা।

আর সালাউদ্দীনের ধারণা, টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে অভিজ্ঞতা এক বিরাট সম্পদ ও শক্তি। তার দল সেই দিক থেকে এবারের বিপিএলে এক নম্বর ও সবার চেয়ে এগিয়ে।

কোচ সাালাউদ্দীন এমন মনে করতেই পারেন। সত্যি দেশী ও বিদেশী মিলে সবচেয়ে অভিজ্ঞ ও পরিণত দল। তিনি বলেন, ‘মোটামুটি ভাল হয়েছে। দলে বেশ কয়েক জন অভিজ্ঞ ও পরিণত ক্রিকেটার আছে। সাথে পারফরমারের সংযোগও ঘটেছে। বেশ কিছু পরিক্ষিত ভাল মানের পারফরমার পেয়েছি। যারা বড় আসরেও পরিক্ষিত পারফরমার। যারা পারফরম করতে পারে।

সব মিলিয়ে একটা অভিজ্ঞ ও পরিণত দল হয়েছে। আসলে টি-টোয়েন্টি মূলতঃ এক্সপেরিয়েন্স পারফরমারদের খেলা। ক্রুশিয়াল স্টেজে অভিজ্ঞদের অভিজ্ঞতা এবং তাদের পারফরমেন্স ও সিদ্ধান্ত কাজে দেয় অনেক। এটা আমার দলের একটা বড় শক্তির জায়গা। আমার মনে হয় অভিজ্ঞতার দিক থেকে আমাদের দল সবার চেয়ে এগিয়ে।’

প্লেয়ার্স ড্রাফটে পরিকল্পনা কতটা পূর্ণ ও সফল হয়েছে? সালাউদ্দীনের জবাব, ‘অনেকটাই পূর্ণ হয়েছে। তবে কোয়ালিটি প্লেয়ারের সংখ্যা কম থাকায় দল সাজানো এবং কম্বিনেশন ঠিক রেখে ভাল মানের পারফরমার পাওয়া সহজ ছিল না। কারণ, ক্রিকেটারের সংখ্যা বেশি হলেও কোয়ালিটি প্লেয়ারের সংখ্যা তুলনামূলক কম এবার।’

সালাউদ্দীন মনে করেন প্লেয়ার্স ড্রাফটে ভাগ্যের আনুকুল্যও লাগে। তার ভাষায়, ‘আমরা ড্রাফটে সেই ফেবারটা পেয়েছি। সাধারণতঃ আমি ততটা পাই না। এবার লাক ফেবার করেছে ড্রাফটে। যা পেয়েছি, এখন প্রথম চেষ্টা থাকবে, সেখান থেকে সেরা একাদশ সাজানো বা সম্ভাব্য সেরা দল সাজানো।’

নিজ দলকে সবচেয়ে অভিজ্ঞ ও অনেক পরিণত পারফরমারে সাজানো বলে দাবি করলেও সালাউদ্দীন এখনো বলতে পারেন না তার দলই সেরা বা দলে কোন ফাঁক-ফোকর ও দুর্বলতা এবং ঘাটতি নেই।

এ সম্পর্কে তার ব্যাখ্যা, ‘কাগজে কলমে যেমনই দেখা যাক না কেন, মাঠে না নামা পর্যন্ত বোঝা যায় না, আসলে দল কেমন হলো? ২/১ টা ম্যাচ গেলে বোঝা যাবে, কোথায় দূর্বলতা, ঘাটতির জায়গা কোনটা।’

সব দলের সামনে আছে দু’জন করে বাড়তি বিদেশী ক্রিকেটার দলে ভেড়ানোর উন্মুক্ত সুযোগ। তবে ঢাকা কোচের কথা, ‘খুব ভাল মানের প্লেয়ার না পেলে আপাততঃ কাউকে আনার ইচ্ছে নাই। এখন টিম ব্যালেন্সড মনে হচ্ছে। খেলা শুরুর পর বোঝা যাবে, কোথায় দুর্বলতা? যদি দেখি দূর্বলতা ও ঘাটতি পরিষ্কার হয়ে পড়ে, তাহলে আমরা বিদেশি প্লেয়ার ট্রাই করবো। এখনো যেহেতু ২ জন বিদেশি প্লেয়ার আনার সুযোগ আছে। দেখা যাক।’

বার্তাবাজার/কেএ

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর