আঙ্গুর ফল চাষ করে সফল হয়েছেন মজলু মিয়া

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলায় শখের বসে আঙ্গুর ফল চাষ করে সফল হয়েছেন মজলু মিয়া।আলফাডাঙ্গা উপজেলার ১নং বুড়াইচ ইউনিয়নের হেলেঞ্চা গ্রামের আক্তার মিয়ার পুত্র মজলু মিয়া’র বাড়ীতে এই প্রথম আঙ্গুর ফলের চাষ করে এলাকায় আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন।

জানা গেছে, আলফাডাঙ্গা উপজেলায় কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন এলাকায় আঙ্গুর গাছ লাগানো হচ্ছে এবং গাছগুলো বেশ বড় হয় কিন্তু গাছে কোন ফল ধরেনি। এ বছর এই প্রথম উপজেলার মধ্যে আঙ্গুর গাছে ফল ধরেছে।

মজলু মিয়া বলেন, প্রায় এক বছর পূর্বে শখের বসে পার্শ্ববর্তী বাজার থেকে একটি আঙ্গুর গাছের চারা ক্রয় করে বাড়ীতে রোপণ করেন।বর্তমানে গাছটিতে প্রচুর পরিমাণে থোকায় থোকায় আঙ্গুর ফল ধরেছে।ফলগুলো বেশ বড় এবং রসালো।আঙ্গুর গাছের ফল দেখার জন্য প্রতিদিন লোকের ভিড় থাকে।

কৃষি অফিসের সহযোগিতা ছাড়াই মজলু মিয়া স্বাভাবিক নিয়মেই গাছের গোড়ায় পানি, গোবর, ইটের সুরকি ও সার দিয়েই পরিচর্যা করা হচ্ছে।এ যাবৎ পোকা মাকড়ে গাছ ও ফলের কোন ক্ষতি করেনি বলে তিনি জানান।

সরকারী ও বেসরকারীভাবে চাষীদের মধ্যে আঙ্গুর চাষের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থার মাধ্যমে সহযোগিতা করা হলে অল্প সময়ে আর্থিক লাভবান এবং গ্রামের বেকার যুবকদের স্বাবলম্বী হওয়ার পথ সুগম হবে বলে মনে করেন উদ্যোক্তা মজলু মিয়া।

মজলু মিয়া জানান, প্রথম গাছে আঙ্গুর প্রাপ্তির পর থেকে ফল চাষের মাধ্যমে বড় কিছু করার স্বপ্ন তৈরি হয়েছে।এখন আমার শুধু স্বপ্ন পূরণের পালা।কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শ ও সহায়তা পেলে আমি বাণিজ্যিকভাবে মালটা ও আঙ্গুরের চাষ শুরু করবো।

এবিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আফতাব উদ্দিন মাহমুদ বলেন, “এ অঞ্চলের মাটিতে আঙ্গুর ও মালটা চাষ কিছুটা অনুপযোগী তবে চাষাবাদ করা যায়।বাণিজ্যিকভাবে আঙ্গুর বা মালটা চাষের ব্যাপারে তিনি বলেন, মাটির গুণাগুণ আঙ্গুর চাষের কিছুটা অনুপযোগী থাকার কারণে বাণিজ্যিকভাবে সফলতার সম্ভবনা কম”।তিনি আরো জানান, উদ্যোক্তা মজলু মিয়াকে এখন থেকে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের পক্ষ থেকে সার্বিক পরামর্শ ও সহযোগিতা দেওয়া হবে।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর