সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার সড়াই হাজিপুর গুচ্ছ গ্রামে স্বামীর পরকীয়া প্রেমে বাঁধা দেওয়ায় গৃহবধূ রেনুকা খাতুনকে (২৮) মারপিট ও শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠেছে।
মামলা নথি সূত্রে জানা যায়,সোমবার (১৮ মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে স্বামী মো.জাহাঙ্গীর আলমসহ (৩৩) আরও ৬ জন লোক মোছাঃ রেনুকা খাতুনকে হত্যার উদ্দ্যেশ্যে স্বামীর নিজ ঘরে ডাকিয়া নিয়ে বিছানার উপর ফেলিয়া নাক-মুখ গলা ও দুই হাত পা চাপিয়ে ধরে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার চেষ্টা করে।
এক পর্যায়ে রেনুকার গেংরানি শব্দে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে পৌছার আগেই নির্যাতনের বিষয় ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য মিছামিছি ডাক ও চিৎকার করিয়া লোক জড় করে স্বামী জাহাঙ্গীর।
পরে স্থানীয়রা রেনুকাকে অচেতন অবস্থায় তাহার মুখে,গলায়,চোয়ালে,চোখের নিচে স্পষ্ট নির্যাতনের চিহ্ন দেখে সিএনজি যোগে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুননেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালের জরুলি বিভাগে ভর্তি করলে কতব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষনা করে।
পরে রেনুকার মৃত দেহের সিরাজগঞ্জ সদর থানার পুলিশ সুরুতহাল রিপোট প্রস্তুত করে লাশ ঐ দিনই ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করে।
এ ঘটনায় ১৯ মার্চ ২০১৯ ইং তারিখে সিরাজগঞ্জ সদর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। মামলা নাম্বার ২২/১৯।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়,প্রায় ৭ বছর আগে রায়গঞ্জ উপজেলার সড়াই হাজিপুর গুচ্ছ গ্রামের মৃত নূর কবিরাজের ছেলে মো.জাহাঙ্গীর আলমের (৩২) সঙ্গে অত্র উপজেলার চকনুর গ্রামের মো.ইউনুস আলীর(৫৫) মেয়ে রেনুকা খাতুনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর সন্তান জন্মগ্রহনের পর থেকে দাম্পত্য কলহ চলে আসছিল।
স্বামী পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়ায় রেনুকাকে প্রায়ই শারীরিক ভাবে নির্যাতন করত। এরই এক পর্যায়ে এই হত্যাকান্ড।
সোমবার (৮ এপ্রিল) সরজমিনে গেলে স্থানীয়রা জানায়,রেনুকার গেংরানির শব্দ শুনে ঐ বাড়িতে যাই। সেখানে গিয়ে দেখি ওর শ্বাশুড়ি কান্নাকাটি করছে। আর বলছে বউ গলায় দড়ি দিয়েছে। তবে কোনো দড়ি কিম্বা ওড়না দেখতে পায়নি। এমনকি তার গলায় কোনো দড়ির দাগও দেখা যায়নি।
এ প্রসঙ্গে প্রতিবেশীদের অভিযোগ,তারা কেউই রেনুকাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখিনি। তার গলায় ফাঁস নেবার কোন চিহ্ন পাওয়া যায়নি বরং কানের নীচে কাল দাগ এবং থুতনীতে কাটা দাগ ছিল।
এ ব্যাপারে স্বামী মো. জাহাঙ্গীর আলমের সাথে কথা বলতে গেলে তিনি এ বিষয়ে কোন কথা বলবেন না বলে মন্তব্য করেন।