রোহিঙ্গা নারীর স্বামী জেলা মুক্তিযোদ্ধা লীগের সভাপতি

রোহিঙ্গা নারীর স্বামী সেজে তাকে পাসপোর্ট করিয়ে দিতে গিয়ে ধরা পড়েছেন মানিকগঞ্জ জেলা মুক্তিযোদ্ধা লীগের সভাপতি রেজাউল করিম।
এঘটনায় মানিকগঞ্জ সদর থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলায় আসামি করা হয়েছে রেজাউল করিম, রোহিঙ্গা নারী এবং আরও দুজনকে।
এদের মধ্যে গ্রেপ্তার তিনজনকে বৃহস্পতিবার কোর্টে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার শুনানি না হওয়ায় আগামী রবিবার এ বিষয়ে শুনানি হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

মামলার আসামিরা হলেন- রোহিঙ্গা নারী আসমা, তার কথিত স্বামী জেলা মুক্তিযোদ্ধা লীগের সভাপতি রেজাউল করিম, আইনজীবী মো. মনোয়ার হোসেন এবং সাটুরিয়া উপজেলার দিঘলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মতিয়ার রহমান মতি।

মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রকিবুজ্জামান বলেন, বুধবার রাতেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে এদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন মানিকগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সুপারিনটেন্ড মো. মনিরুজ্জামান।
এর আগে গত বুধবার মতিউর রহমান ছাড়া বাকি তিনজনকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তদন্তে আরও কারও সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে তাদেরকেও আসামি করা হবে বলে জানান ওসি।

উল্লেখ্য, গত বুধাবর বাংলাদেশি পরিচয়ে জান্নাত আক্তার মানিকগঞ্জ পাসপোর্ট করতে আসলে অসংলগ্ন কথা বার্তায় সন্দেহ হয় মানিকগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক মাকসুদুর রহমানের।

মাকসুদুর রহমান জানান, বুধবার বেলা ১২টার দিকে সাটুরিয়া উপজেলার রেজাউল করিম তার স্ত্রী পরিচয়ে ওই নারীকে নিয়ে পাসপোর্ট করাতে আসেন। ওই রোহিঙ্গা নারী জান্নাত আক্তারের নাগরিক সনদ নিয়ে পাসপোর্ট ফরম দাখিল করেন।

বার্তাবাজার/এইচ.আর

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর