‘দিনে ঘুমাতে দিলেও সারারাত পুরুষ দিয়ে জ্বালাতন করত’

গত ১০ মাসে সৌদি আরব থেকে দেশে ফেরত এসেছেন ২০ হাজার ৬৯২ বাংলাদেশি শ্রমিক। ফেরত আসা শ্রমিকদের বেশিরভাগেরই অভিযোগ, ভিসা ও আকামার মেয়াদ থাকা সত্ত্বেও জোর করে ফেরত পাঠিয়েছে সৌদি সরকার। সেই সঙ্গে শারীরিক নির্যাতন ও কারাবন্দি হতে হয়েছে। আর নারী শ্রমিকরা হয়েছেন পাশবিক নির্যাতনের শিকার।

চোখে স্বচ্ছলতার স্বপ্ন নিয়ে দেশ ছেড়ে, সৌদি আরবে পাড়ি জমিয়েছিলেন কুমিল্লার মিলন শেখ । কিন্ত এখন তার দুচোখে ভর করেছে সর্বস্ব হারানোর হতাশা। মিলনের মতো হাজারও বাংলাদেশি শ্রমিক সৌদি আরবে ভাগ্য ফেরাতে গিয়ে, নিঃস্ব হয়ে দেশে ফিরছেন। এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় সৌদি এয়ারলাইন্সের এসভি-এইট জিরো ফোর ফ্লাইটে, দেশে ফেরত এসেছেন আরও ৮৭ শ্রমিক।

বাংলাদেশে জোর করে ফেরত পাঠানোর এসব শ্রমিকের অভিযোগ, ভিসা ও আকামার মেয়াদ থাকলেও অজ্ঞাত কারণে তাদের ফেরত পাঠানো হয়েছে। পাওয়া গেছে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগও।

মিলন শেখ বলেন, ৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা খরচ করে গিয়ে আমি না খেয়ে দেয়ে জেল খেটে আসলাম।

আরেকজন ভুক্তভোগী নারী বলেন, দিনে ঘুম পাড়িয়ে রাখত, রাতে জাগিয়ে রাখত। রাতে পুরুষরা এসে আমাদের জ্বালাতন করতো। তখন তাদের কথা না শুনলে মারত।

অবস্থার উন্নয়নে সরকারকে এ বিষয়ে জোরালো পদক্ষেপ নেয়ার তাগিদ দিচ্ছেন, মানবাধিকার ও উন্নয়ন কর্মীরা।

ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রাম তথ্য কর্মকর্তা আল-আমিন নয়ন বলেন, ১০ মাসে ২০ হাজারের বেশি কর্মী দেশে ফিরেছে। এছাড়া নারী কর্মী ফিরেছে ১২০০ জন।

এছাড়াও শুক্রবার সৌদি থেকে দেশে ফেরার অপেক্ষায় আছেন আরও শতাধিক নারী শ্রমিক।

বার্তাবাজার/কে.জে.পি

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর