শ্রীবরদী চৌরাস্তায় অবৈধ বাসস্ট্যান্ড ও দোকানপাট ॥ ভোগান্তীতে পরেছে সাধারন মানুষ

শেরপুর জেলার শ্রীবরদী পৌরশহরের চৌরাস্তার মোড় শহড়ের প্রধানতম ব্যস্ত রাস্তা। এই চৌরাস্তাকে পৌর শহরের জিরো পয়েন্ট হিসেবে ধরা হয়। ব্যস্ততম এই চৌরাস্তা মোড় এলাকায় অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে বাস ষ্ট্যান্ড, মাংশের দোকান, টং দোকান সহ ফলের দোকান। আর এ অবৈধ বাস ষ্ট্যান্ডে যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং করার কারণে প্রায় সময়ই যানযটের সৃষ্টি হচ্ছে যার দরুন প্রতিনিয়ত বাড়ছে দুর্ঘটনার মত ঘটনা।

চৌরাস্তা মোড় এলাকায় রয়েছে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার, পৌর অডিটরিয়াম সহ একাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে সড়কের দুই পাশে অবৈধ পার্কিং ও দোকানপাট। পুরো এলাকায় অবাধে যেখানে সেখানে ষ্ট্যান্ড করছে ব্যাটারিচালিত অটোরিক্সা। বাস ষ্ট্যান্ডের কথিত গাড়ি চালকরা অবৈধভাবে গাড়ি রেখে পথচারীসহ ব্যবসায়ীদের ভোগান্তিতে রেখেছে। আর অবৈধ বাস ষ্ট্যান্ডের কারনে অনেকটাই অসহায় পথচারীরা। চৌরাস্তায় বাস ষ্ট্যান্ড করার কারণে যানজটের মাত্রা ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

পৌর শহরের এই চৌরাস্তা ব্যবহার করে সকলকে পৌছতে হয় স্কুল, কলেজ, পৌর অফিস ভবন সহ উপজলোয় অবস্থিত সকল সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক,শিক্ষার্থী এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের। কিন্তু এই প্রধান যাতায়াতের পথটি থাকে সব সময় ব্যস্ত। পৌর শহরের চারদিকে যাতায়াতের একমাত্র পথ হওয়ায় প্রায় সময়ই শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে যেতে নানা অসুবিধার সৃষ্টি হচ্ছে। শ্রীবরদী সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের গেইটের সামনে গড়ে উঠেছে অটো রিক্সার অবৈধ ষ্ট্যান্ড। চৌরাস্তা মোড় এলাকার ব্যবসায়ীরা ক্ষোভের সাথে বলেন, পৌরসভার নির্দিষ্ট বাস ষ্ট্যান্ড থাকলেও সেখানে না গিয়ে আমাদের দোকানের সামনেই যত্রতত্রভাবে বাস, সিএনজি রাখা হয়। এতেকরে প্রতিদিন আমরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছি। কয়েক লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করে ব্যবসা পরিচালনা করলেও অবৈধ বাস সিএনজির দাপটে ব্যবসা-বাণিজ্য করতে পারছি না।

এনিয়ে বাস মালিক ও সিএনজি কর্তৃপক্ষকে বারবার মৌখিকভাবে অবগত করা হলেও কোনো কথায় কাজে আসছে না। শ্রীবরদী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সাইফুল ইসলাম বলেন, চৌরাস্তা মোড় একটি ব্যস্ততম জায়গা বিশেষ করে পাশেই আমাদের বিদ্যালয়। কিন্তু চৌরাস্তা এলাকাতে যত্রতত্র বাস, সিএনজি ও অটো রিক্সা রাখায় আমাদের স্কুলের শিক্ষার্থীরা স্কুলে যাওয়া আসার পথে বারবার নানাভাবে বাধার সম্মুখিন হচ্ছে। এব্যাপারে আমি ও শিক্ষার্থীরা ইউএনও স্যারের সাথে কথা বলেছি. স্যারও আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন। এ নিয়ে বেশ কয়েকবার উপজেলা আইন-শৃংখলা কমিটিতে আলোচনা করা হলেও কোনো প্রতিকার হয়নি।

এ ব্যাপারে উপজেলা শ্রমিক লীগের আহবায়ক ও জেলা পরিষদের সদস্য আবু জাফর বলেন চৌরাস্তায় ষ্ট্যান্ড করা বাসগুলো জেলা বাস কোচ মালিক সমিতির সভাপতির, তাই আমাদের বলার কিছু নাই। এ প্রসঙ্গে শ্রীবরদীর ইউএনও সেঁজুতি ধর এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে বাস মালিক ও জেলা পরিষদের সদস্যদের সাথে কথা বলেছি। চৌরাস্তায় অবৈধভাবে বাস না রাখার জন্য বার বার নিষেধ করেছি, কে শুনে কার কথা উল্টো তারা বলে, এটা জেলা পরিষদের জায়গা। এছাড়াও অবৈধ্য মাংস দোকানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও তিনি জানান।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর