‘ইসরো’-কে নিয়ে নাসার নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া!

কৃত্রিম উপগ্রহ ধ্বংস করে মহাকাশে নিজেদের শক্তিবৃদ্ধিতে ভারতীয় গবেষকদের ‘মিশন শক্তি’র সাফল্যের পর নাসার তরফে কিছুটা নেতিবাচক প্রতিক্রিয়াই মিলেছিল৷ নাসার বিজ্ঞানীরা স্যাটেলাইট ছবির উপর ভিত্তি করে অভিযোগ তুলেছিলেন, ভারতের মিশন শক্তি পরীক্ষার জেরে মহাকাশে বর্জ্যের পরিমাণ বেড়েছে৷

টার্গেট স্যাটেলাইট ৪০০ টুকরো হয়ে ছড়িয়ে পড়েছে, যাতে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের কাছে দূষণের মাত্রাও বৃদ্ধি পেয়েছে৷ ভারতের উচিত ছিল, আরও সাবধানে এই পরীক্ষা করা৷ নাসার এই সমালোচনায় ক্ষুব্ধ হয়েছিল ইসরোও৷

কিন্তু এই তিক্ততা সাময়িক ছিল৷ তা ভুলে ফের ইসরোর হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করার বার্তা দিল আমেরিকা তথা বিশ্বের সর্ববৃহৎ মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র নাসা৷ ইসরো চেয়ারম্যান কে শিবনকে চিঠি লিখে নাসার প্রধান জেমস ব্রিডেনস্টাইন জানিয়েছেন, হোয়াইট হাউস চায় আগের মতোই গাইডলাইন মেনে একত্রে কাজ করুক নাসা এবং ইসরো৷ এই মুহূর্তে মহাকাশে নভোচর পাঠানো নিয়ে উভয়ে একত্রে গবেষণা করছে৷

সেই কাজ যাতে ব্যাহত না হয়, সেজন্যই নাসার এই চিঠি বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল৷ ব্রিডেনস্টাইনের কথায়, ‘আমাদের যৌথ কাজের চুক্তি অনুযায়ী, আমরা আপনাদের সঙ্গে নাসা-ইসরো হিউম্যান স্পেস ফ্লাইট ওয়ার্কিং গ্রুপ প্রজেক্টের কাজ চালিয়ে যেতে চাই৷ পাশাপাশি, প্ল্যানেটরি সায়েন্স ওয়ার্কিং গ্রুপ এবং ভারত-মার্কিন ভূবিজ্ঞান ক্ষেত্রে একত্রে গবেষণা কাজও যৌথভাবে হবে বলেই আশা করছি৷’

চিঠিতে নাসা প্রধান ব্রিডেনস্টাইন আরও ব্যাখ্যা করেছেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা ক্ষেত্রে স্পেস স্টেশনের কাছে দূষণের মাত্রা বৃদ্ধির বিষয়টি খুব গুরুত্ব দিয়ে দেখা হয়৷ আর ভারতের মিশন শক্তির পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণে সত্যিই বর্জ্যের পরিমাণ বেড়েছে৷ আমরা মনে করি, মহাকাশ গবেষণায় যুক্ত প্রতিটি দেশেরই এনিয়ে সতর্ক হওয়া উচিৎ৷ তাই ভারতকে সতর্ক করে দিয়েছিলাম৷

আমরা স্পেস স্টেশনের কাছে স্যাটেলাইটের ভাঙা টুকরোগুলোর দিকে নজর রাখছি৷ কিন্তু তার মানে এই নয় যে, পূর্ব নির্ধারিত যেসব প্রকল্প ইসরোর সঙ্গে যৌথভাবে করার কথা, তাকে আমরা কোনওভাবে বিঘ্নিত করছি৷’ চিঠির প্রাপ্তি স্বীকার করে ইসরোর মত, মিশন শক্তির যতই সমালোচনা করুক, মহাকাশ গবেষণায় ভারতের এত বড় সাফল্যের পরই যৌথ প্রকল্পগুলিতে আগ্রহ আরও বেড়েছে নাসার৷

সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর