সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য সুখবর

নতুন মেয়াদে ক্ষমতা গ্রহণের পরে থেকেই একের পর এক উন্নয়নমূলক প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে চলেছে আওয়ামী লীগ সরকার। ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর গত ১০ বছরে সরকারি চাকরিজীবীদের নানা সুবিধা দিয়ে এসেছে। এ তালিকায় সর্বশেষ সংযোজন হতে যাচ্ছে স্বাস্থ্য বীমা। এ ক্ষেত্রে সরকারের সাড়ে ১৩ লাখ কর্মচারীর জন্য ‘গোষ্ঠী মেয়াদি বীমা’ করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এছাড়া গর্ভবতী মায়েদের দেওয়া হবে বিশেষ সুবিধা।

প্রেগন্যান্সি কাভারেজে নরমাল ডেলিভারির ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৩০ হাজার টাকা দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। অ্যাবরশন বা মিসকারেজের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ২০ হাজার টাকা ধরা হয়েছে। আর সিজারিয়ান ও অন্যান্য ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৬০ হাজার টাকা দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে বৈঠকে।

হাসপাতাল চিকিৎসা খরচ বাবদ সর্বোচ্চ তিন লাখ টাকা দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছ বৈঠকে। এ খরচ দেওয়া হবে সর্বোচ্চ ২০ দিনের জন্য। রুম ভাড়া হিসেবে ২০ দিনের জন্য ছয় হাজার টাকা দেওয়ার প্রস্তাব এসেছে বৈঠকে। কনসালটেন্সি ফি বাবদ সর্বোচ্চ ৯ হাজার টাকার দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। তবে ওষুধ সংক্রান্ত খরচ ধরা হয়েছে সর্বোচ্চ ৩০ হাজার টাকা। বিভিন্ন টেস্ট করার জন্য সরকারি চাকুরেদের তিন হাজার টাকা পর্যন্ত পাওয়ার কথা বলা হয়েছে বৈঠকে। সার্জারি ফি বাবদ সর্বোচ্চ ৯০ হাজার টাকা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এ ছাড়া অক্সিজেন, থেরাপি, অ্যাম্বুল্যান্স সার্ভিসসহ অন্যান্য সার্ভিসের জন্য ৪৭ হাজার টাকা দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, বীমার দাবির ক্ষেত্রে হাসপাতালের কাভারেজ ছাড়া প্রেগন্যান্সি সংশ্লিষ্ট কোনো দাবি এর আওতায় পড়বে না। প্রথম দুই বছরের মধ্যে হার্নিয়া, গল ব্লাডারের পাথর অপসারণসহ বেশ কিছু রোগের ক্ষেত্রে কোনো অর্থ দেওয়া হবে না। ইচ্ছাকৃত ইনজুরি, মাদকদ্রব্য নেওয়া, অ্যালকোহল, এইডসের টেস্ট ও অন্যান্য খরচ এর আওতায় পড়বে না। এগুলোসহ আরো বেশ কিছু শর্ত দেওয়া হয়েছে বৈঠকে উপস্থাপিত স্বাস্থ্য বীমার রূপরেখায়।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর