কুড়িগ্রামে দুদকের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসন ও জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি (দুপ্রক) এর সাথে দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি (দুদক) এর মতবিনমিয় অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার বিকেল ৫টায় কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসন সম্মেলন কক্ষে দুদক’র মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) সারোয়ার মাহমুদ এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

জেলা প্রশাসক মোছা: সুলতানা পারভীন এর সভাপতিত্বে মতবিনিময়সভায় বক্তব্য রাখেন সিভিল সার্জন ডা: এসএম আমিনুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) হাফিজুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জিলুফা সুলতানা, জেলা শিক্ষা অফিসার শামসুল আলম, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শহীদুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) রিপন কুমার মোদক, জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ হারুন-অর-রশিদ মিলন, কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি এড.আহসান হাবীব নীলু প্রমুখ।

এসময় দুদক’র মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) সারোয়ার মাহমুদ বলেন, একা দুর্নীতি দমন করা সম্ভব নয়।অন্যান্য সংগঠন ও কমিউনিটি পার্টিসিপেশন ছাড়া দূর করা সম্ভব নয়।তিনি আরো জানান, দুর্নীতি করার প্রবণতা এখনো পুরোপুরী কন্ট্রোল করা সম্ভব হয়নি।তবে ইমপ্রুভ করেছে।

জেলা শিক্ষা অফিসার শামসুল আলম জানান, শিক্ষার্থীদের মধ্যে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সচেতনতা বাড়াতে জেলায় ৩৭৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৩৪০টিতে সততা সংঘ তৈরী করা হয়েছে। এছাড়াও ২২২টি মাদ্রাসার মধ্যে ২০৪টিতে গঠন করা হয়েছে সততা সংঘ। এসব সংগঠনের সদস্যদের নীতি ও নৈতিকতা বিষয়ে সচেতন করা হচ্ছে।

জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ হারুন-অর-রশিদ মিলন জানান, মেয়াদোতীর্ণ সততা সংগঠন পূণর্গঠন করা দরকার। শিক্ষা বিভাগের মাসিক সমন্বয় সভায় দুপ্রক প্রতিনিধি দেয়া, জেলায় আরো গণশুনানীর ব্যবস্থা করা এবং জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির জন্য অফিস বরাদ্দের ব্যবস্থা করার অনুরোধ জানান তিনি।

জেলা প্রশাসক মোছা: সুলতানা পারভীন জানান, প্রশাসনের বিভিন্ন বিভাগের সাথে সমন্বয় করে জেলার উন্নয়নে কাজ করা হচ্ছে। তবে জেলায় কর্মসংস্থানের অভাব রয়েছে। এজন্য জেলায় ইপিজেট ও বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হলে এই জেলার মানুষের জীবন-জীবিকা সম্পূর্ণ পাল্টে যাবে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে দুদক’র মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) সারোয়ার মাহমুদ বলেন, সরকার বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা বাড়িয়ে দিলেও দুর্নীতি করার প্রবণতা এখনো রয়েছে। এজন্য সমাজের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদেরকে নিয়ে সততা সংঘ ও সততা ষ্টোর তৈরি করা হয়েছে। এটি দুদকের কর্মসূচি নয়। এটি রাষ্ট্রের কর্মসূচি।আগামি প্রজন্মরাই পাল্টাতে পারে বাংলাদেশকে।

এজন্য আমাদের আরো কাজ করতে হবে। তিনি আরো বলেন, চলতি বছর ২৯টির মধ্যে ২২টি গণশুনানী অনুষ্ঠিত হবে। দুপ্রক জেলা অফিস স্থাপনের বিষয়ে তিনি জেলা প্রশাসককে এ ব্যাপারে সহযোগিতা করার আহবান জানান। এছাড়াও দুর্নীতি বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দুদককে জানাতে ১০৬ নম্বরে কল কারার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর