প্লে-মেকার জিনেদিন জিদান

ফ্রান্সের কিংবদন্তী ফুটবল তারকা জিনেদিন জিদান। বিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে যারা ফুটবল দেখেছেন, তাদের বেশির ভাগের মতে ফুটবল বিশ্বের তৃতীয় সেরা খেলোয়াড় হচ্ছেন জিনেদিন জিদান। ফুটবলপ্রেমীদের মধ্যে জিদানকে চেনে না এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া মুশকিল।

জিদানের ফুটবল ক্যারিয়ারে প্রথম দুটি ফিফা বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার আসে জুভেন্টাসে খেলার সময়। কিন্তু তারপরও জিদানকে বলা হয় তিনি রিয়াল মাদ্রিদের ঘরের ছেলে। কারণ এই ফরাসি প্লে-মেকার যোগ দেয়ার পরেই পাল্টে গিয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদের চেহারা। খেলোয়াড়ি জীবনের পর কোচ হিসেবেও তিনি রিয়ালকে দিয়েছেন দু’হাত ভরে।

পাঠকদের জন্য ফুটবল ইতিহাসের সেরা প্লে-মেকার জিনেদিন জিদানের ফুটবল ইতিহাস তুলে ধরা হলো-

২০০১ সাল

বিশ্ব রেকর্ড ট্রান্সফার ফি ৭৭.৬ মিলিয়ন ইউরো দিয়ে জুভেন্টাস থেকে জিনেদিন জিদানকে কিনে নেয় রিয়াল মাদ্রিদ। প্রথম মৌসুমে তিনি রিয়াল কে জেতান চ্যাম্পিয়ন লিগ। আর ফাইনাল ম্যাচে করেন ইতিহাসের অন্যতম সেরা গোল।

২০০৩ সাল

রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে নিজের দ্বিতীয় মৌসুমের দলকে লা লিগা শিরোপা জেতান জিনেদিন জিদান। সে বছরের তৃতীয়বারের মতো ফিফা বর্ষসেরা পুরস্কার জেতেন এই কিংবদন্তি মিডফিল্ডার।

২০০৬ সালের ৭ মে

ভিয়ারিয়ালের বিপক্ষে রিয়ালের হয়ে বিদায়ী ম্যাচে খেলেন জিদান। সেদিন খেলোয়ারদের জার্সিতে রিয়ালের লোগর নিচে লেখা ছিল ‘জিদান ২০০১-২০০৬’ আর দর্শকদের ব্যানারে লেখা ছিল ‘thanks for the magic’

২০১৬ সাল

রিয়াল মাদ্রিদের কোচ হিসেবে প্রথম মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতান জিদান। তার অধীনে পরের দুই মৌসুমে আরও দুটি চ্যাম্পিয়ন লীগ ও একটি লা লিগা শিরোপা পায় রিয়াল মাদ্রিদ। তিনি চাকরি ছাড়েন ২০১৮ সালের ৩১ মে।

২০১৯ সালের ১১ মার্চ

রিয়াল মাদ্রিদের চরম দূরবস্থার মধ্যে আবারও কোচ হিসেবে চুক্তি করা হয় জিদানের সঙ্গে। ১৬ই মার্চ দ্বিতীয় দফায় কোচ হিসেবে নিজের মিশন শুরু করেন ফরাসি এই প্লে-মেকার।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর