খাঁসির মাংস বলে খাওয়ানো হতো শেয়ালের মাংস

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলা থেকে শেয়ালের মাংসসহ দুই তরুণকে আটক করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ৩৭ কেজি শেয়ালের মাংস।

পুলিশ জানিয়েছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া মহাসড়কের পাশে বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে খাসির মাংস বলে শেয়ালের মাংস সরবরাহ করা হতো।

সোমবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার খাটিহাতা বিশ্বরোড মোড়ে ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা প্রিয়াঙ্কা আটক দু’জনকে বিভিন্ন মেয়াদের দণ্ডাদেশ দেন।

দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত দুজন হলেন-আরজত আলী (২২) ও সাদ্দাম হোসেন (২০)। তাদের বাড়ি হবিগঞ্জের লাখই উপজেলার মোড়াকুড়ি গ্রামে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া খাটিহাতা হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাইনুল ইসলাম জানান, আটককৃতরা ভারত থেকে শেয়ালের মাংসগুলো সংগ্রহের পর বিশেষভাবে প্যাকেটজাত করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া হাইওয়ের পাশে বিভিন্ন রেস্টেুরেন্টে খাসির মাংস বলে সরবরাহ করে আসছিলেন। সোমবার সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিশ্বরোড মোড় থেকে তাদের আটক করে হাইওয়ে পুলিশ।

ওসি মাইনুল আরও জানান, ভ্রামমান আদালতের মাধ্যমে মাংসের মালিক আরজত আলীকে ছয় মাসের কারাদণ্ড এবং সহযোগী সাদ্দাম হোসেনকে ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়।

পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, “মাংস সরবরাহকারী এই দুই যুবক অপকর্মের সাথে জড়িত বেশ কয়েকজনের নাম বলেছে। আমরা তাদের শিগগিরই আইনের আওতায় নিয়ে আসবো।”

ভ্রাম্যমাণ আদালতের দায়িত্বে থাকা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সরাইল উপজেলার সহকারী কমিশনার ফারজানা প্রিয়াঙ্কা জানান, ভোক্তা অধিকার আইন অনুযায়ী তাদের একজনকে ছয় মাসের কারাদণ্ড এবং অন্যজনকে সহযোগিতা করার দায়ে ৫ হাজার টাকা জরিমানার সাজা দেওয়া হয়েছে। পরে জব্দকৃত শেয়ালের মাংসগুলো স্থানীয় মাছের খামারে ফেলে দেওয়া হয়।

বার্তাবাজার/ডব্লিওএস

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর