যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের বহিষ্কৃত সভাপতি ক্যাসিনো সম্রাট খ্যাত ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট রিমান্ডে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। মাদক ও অস্ত্র মামলায় ৫ দিন করে গত ১৫ অক্টোবর সম্রাটকে মোট ১০ দিনের রিমান্ডে দেন ঢাকা মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেনের আদালত।
মাদক মামলার পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষ হলো আজ। রিমান্ডে শেষে আদালতে একটি অবহিতপত্র দাখিল করেছেন এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র্যাব-১ এর উপ-পরিদর্শক আব্দুল হালিম।
এই অবহিতপত্রে তিনি লিখেছেন, রিমান্ডে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন সম্রাট; যা তদন্তের স্বার্থে গোপন রাখা হচ্ছে এবং যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। অবহিতপত্রে তিনি আরও উল্লেখ করেছেন, অস্ত্র মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শেখর চন্দ্র মল্লিক সম্রাটকে এখন রিমান্ডে পাবেন।
ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরুর পর সম্রাটের নাম আসার পর থেকেই তাকে নিয়ে নানা গুঞ্জন শুরু হয়। অভিযান শুরুর পর হাইপ্রোফাইল কয়েকজন গ্রেফতার হলেও খোঁজ মিলছিল না সম্রাটের।
এসবের মধ্যে তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞাও জারি করা হয়। এরপর ৫ অক্টোবর রাত থেকেই তার গ্রেফতার হওয়ার খবর এলেও পরদিন সকালে তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়।
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের আলকরা ইউনিয়নের কুঞ্জুশ্রীপুর গ্রামে আত্মগোপনে থাকা সম্রাটকে গ্রেফতার করা হয়। তার সঙ্গে আরমানকেও আটক করা হয়। পরে ঢাকায় এনে তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদও করে র্যাব।
৬ অক্টোবর দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলমের নেতৃত্বে র্যাবের একটি দল কাকরাইলে ভূঁইয়া ট্রেড সেন্টারে তালা ভেঙে সম্রাটের কার্যালয়ে ঢুকে অভিযান শুরু করে। নিজ কার্যালয়ে পশুর চামড়া রাখার দায়ে তার ছয় মাসের জেল দিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম।
বার্তাবাজার/এম.কে