ভোলার বোরহানউদ্দিনে পুলিশ-এলাকাবাসীর সংঘর্ষে চার জন নিহতের ঘটনার প্রতিবাদে মুসলিম ঐক্য পরিষদের ডাকা সমাবেশ হচ্ছে না। সোমবার (২১ অক্টোবর) সকাল ১১টায় ভোলা সরকারি স্কুল মাঠে এই প্রতিবাদ সমাবেশ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পুলিশের অনুমতি না পাওয়ায় তারা সমাবেশ করছে না। সংগঠনের অন্যতম নেতা মাওলানা মিজানুর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন।
সংগঠনের নেতারা জানান, প্রতিবাদ সমাবেশ করতে না পারায় তারা সকাল সাড়ে ১০টায় ভোলা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে তাদের কর্মসূচি জানাবেন।
প্রসঙ্গত, ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলা সদরের ঈদগাহ মসজিদ চত্বরে ফেসবুকে মহানবী (সা.)-কে কটূক্তির অভিযোগে তৌহিদি জনতার ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ ডাকা হয়। তবে পুলিশের হস্তক্ষেপে সকাল ১০টার মধ্যেই সংক্ষিপ্ত মোনাজাতের মধ্য দিয়ে কর্মসূচি শেষ করা হলে পরে আসা লোকজন মোনাজাত পরিচালনাকারী দুই ইমামের ওপর চড়াও হয়। এতে বাধা দিতে গেলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয় গ্রামবাসী। প্রাণ বাঁচাতে পুলিশ গুলি ছুড়লে ৪ জন নিহত ও ১০ পুলিশসহ দেড়শতাধিক আহত হন। আহতদের বোরহানউদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ভোলা সদর হাসপাতাল ও বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে এ ঘটনার জেরে রবিবার বিকালে ভোলা প্রেস ক্লাবের সামনে মুসলিম ঐক্য পরিষদের নেতারা সোমবারে প্রতিবাদ সভা ঘোষণার পাশাপাশি ৬ দফা দাবি তুলে ধরেন।
দাবিগুলো হচ্ছে- ধর্ম অবমাননা করায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বিপ্লব চন্দ্র শুভর ফাঁসি কার্যকর, নিহতদের লাশ বিনা পোস্টমোর্টেমে পরিবারের কাছে হস্তান্তর, আহতদের সরকারি খরচে চিকিৎসা, ভোলার পুলিশ সুপার ও বোরহানউদ্দিনের ওসিকে প্রত্যাহার, নিহতদের ক্ষতিপূরণ প্রদান ও গ্রেফতারদের বিনাশর্তে মুক্তি দেওয়া।