জামালপুরে আওয়ামী লীগের একাধিক নেতার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক জমি দখলের অভিযোগ

জামালপুর পৌর শহরে জোরপূর্বক জমি দখল করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। জবর দখলের এ ঘটনায় আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা সরাসরি নেতৃত্ব দিয়েছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।

প্রধামন্ত্রী বরাবর জামালপর পৌরসভার ১২ নং ওয়ার্ডের বামুনপাড়া গ্রামের নুরুল ইসলামের কন্যা মোছাঃ আমেনা খাতুন লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেছেন, অভিযোগকারী আমেনা খাতুনের পিতা নুরুল ইসলাম পৈতৃক ও ক্রয় সূত্রে জমির মালিক হয়ে ৫২ বছর যাবত ১৫ শতাংশ জমি ভোগ দখল করছেন।

১৯ অক্টোবর (শনিবার) বেলা ১১ টায় এম এইচ এস শামসুদ্দৌহা, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ জামালপুর শহর শাখার সাধারণ সম্পাদক বিজন কুমার চন্দ, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাফর ইকবাল জাফু, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সারোয়ার হোসেন শান্ত, সাবেক প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম এমপির বাসার কেয়ারটেকার শাহীন মিয়া সহ ২০/২৫ জন লোক মিলে দেশীয় অস্ত্র স্বসজ্জিত অবস্থায় জোরপূর্বক জমিটি বেদখলে নেন। এছাড়াও অভিযোগকারীর পরিবারের উপর হামলা ও নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে।

অভিযোগ সূত্রে আরো জানা যায় যে, বহিরাগত লোকের মাধ্যমে জমির চারপাশে সীমানা প্রাচীর নির্মাণের জন্য নির্মাণ সামগ্রী নিয়ে আসা হয়েছে। নিরিহ পরিবারকে অন্যায়ভাবে উচ্ছেদ এবং তাদের সব মালামাল আসবাবপত্র একটি পিক আপ ভ্যানে করে ভূমিদস্যুরা নিয়ে যায়।

এসময় পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলেও তাৎক্ষণিক কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। ভূমিদ্যুদের সাথে কথা বলে ফিরে যায় পুলিশ। জবরদখর শেষ হলে পুলিশ একদিন পর রোববার বিকালে দুই পক্ষকে থানায় ডেকেছেন
দিনভর বিভিন্নস্থানে ঘুরে প্রতিকার না পেয়ে শনিবার সন্ধ্যায় প্রধামন্ত্রী বরাবর আবেদন করেন। আবেদনের অনুলিপি শনিবার রাতেই জেলা প্রশাসকের বাসভবনে পৌছে দেন পরিবারটি।

এ বিষয়ে জামালপুর এর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হক জানান, আমি বিষয়টি এখনো দেখিনি। দেখে আগামীকাল রোববার জানাবো।

জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাফর ইকবাল জাফু বলেন, আমি দুপুর ২ টার দিকে ঘটনার স্থানে উপস্থিত হই। আমি একটি সমবায় সমিতির সদস্য। সমবায় সমিতির পক্ষ থেকে জমিটি ক্রয় করা হয়েছে। কোন মারধর এর ঘটনা ঘটেনি।

সাবেক প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম এমপি এর বাসার কেয়ারটেকার শাহীন মিয়া বলেন, আমি কোন মারধর করিনি।সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ। সেই সাথে সংবাদ পরিবেশন থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করেছেন তিনি।

এ বিষয়ে এই জমি দখলের নেতৃত্বদানকারী জামালপুর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিজন কুমার চন্দ এর মুঠোফোনে বার বার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভড করেন নি।

নিরিহ নির্যাতিত পরিবারটি জমি ফেরত পেতে প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

বার্তাবাজার/ডব্লিওএস

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর