প্রতিশ্রুতির সবই ছিল রাজনৈতিক বক্তৃতা

দুই বাসের রেষারেষিতে মারা যাওয়া শিক্ষার্থী রাজিব হাসানের মৃত্যুতে কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ প্রদান প্রশ্নে জারিকৃত রুলের শুনানির জন্য ১০ এপ্রিল দিন ধার্য করেছে হাইকোর্ট।

রিটকারী আইনজীবীর আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ গতকাল বুধবার শুনানির জন্য এই দিন ধার্য করেন।

পরে রিটকারী আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, অর্থ দিয়ে রাজিবের মৃত্যুর ক্ষতি মাপা যাবে না। কিন্তু তার ছোট দুই ভাইয়ের জন্য ক্ষতিপূরণের টাকা পাওয়া খুবই প্রয়োজন। রুল শুনানির মাধ্যমে এ বিষয়টা নির্ধারণ হওয়া উচিৎ। নতুন সড়ক পরিবহন আইন করা হলেও সড়কে মৃত্যুর মিছিল থেমে নেই।

গত বছরের ৩ এপ্রিল কাওরানবাজারে বিআরটিসি ও স্বজন পরিবহনের রেষারেষিতে তিতুমীর কলেজের ছাত্র রাজিবের ডান হাত কনুইয়ের ওপর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

এদিকে রাজিবের খালা জাহানারা বেগম বলেন, কি বলব, কিছু বলার ভাষা নাই। এক বছরে আমরা তো আসলে কোনো কিছুই পাই নাই। না ড্রাইভারের শাস্তি হইছে, না ক্ষতিপূরণ পাইছি। ঘটনার তদন্ত করতে বলেছিল, তদন্ত রিপোর্ট দিছে। এখন পর্যন্ত শুনানি হয় নাই।

তিনি আরো বলেন, কি হবে জানি না। এক বছরে যেহেতু কিছুই হয় নাই অনেকে তো আমাদের অনেক কথা দিছিল। বাউফলের উপজেলা চেয়ারম্যান বলছিল আমাদের যে সড়কটা আছে সেইটা পাকা করে রাজিবের নামে নামকরণ করবে। এগুলা আসলে এক বছরে কিছুই হয় নাই। এতিম সন্তান, ওর লাশের সামনে দাঁড়ায়া অনেকে অনেক কথা দিছে। আসলে কেউই কোনো কথা রাখে নাই।

আমাদের কিছুই তো বলার নাই। মানুষ তো অনেক কিছুই বলে অনেকে রাজনৈতিক বক্তৃতা দেয়। ওর লাশের সামনে যে কথাগুলো হইছিল, এখন বোঝা গেল এইগুলা সবই রাজনৈতিক বক্তৃতা। রাজিবের ভাইরা যদি ক্ষতিপূরণের কিছু টাকাও পায়, তাও তো ওদের জীবনটা কিছুট হইলেও চলবে। গতকাল একটি অনলাইনকে দেয়া এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এসব কথা বলেন। জাহানারা বেগম বলেন, আমরা চাই বিচার হোক।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর