‘ওরা ফিরে এলে আমার ছেলের আত্মা কষ্ট পাবে’

বুয়েটের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র নিহত আবরারের মা বলেছেন: আমার ছেলের পা যেমন প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে আর যাবে না, তেমনি যারা আমার ছেলেকে হত্যা করেছে তারাও যেন আর ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পা না দিতে পারে।

তাদেরকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করার দাবি জানাই। অস্থায়ী বহিষ্কার করা হলে তারা আবার ফিরে আসবে, ওরা ফিরে এলে আমার ছেলে আবরারের আত্মা কষ্ট পাবে। আমি তাদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানাই।

বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যায় জড়িতদের বুয়েট থেকে সাময়িক বহিষ্কার করায় এ মন্তব্য করেছেন আবরার ফাহাদের মা। একইরকম প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন আবরারের বাবাও।

আবরারের বাবা বলেন, সিসিটিভি ফুটেজ, একাধিক আসামীর জবানবন্দি এবং এই ঘটনার সাথে যে আসামিরা জড়িত তার যথেষ্ট তথ্য প্রমাণ থাকার পরও বুয়েট কর্তৃপক্ষ তাদের স্থায়ীভাবে বহিষ্কার না করে সাময়িক বহিষ্কার করেছে।

তাদের স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের দাবি জানাই। বিচারকার্য যাতে খুব অল্প দিনের মধ্যে শেষ করে সর্বোচ্চ শাস্তি হয়, সেই দাবি জানাই।হত্যাকাণ্ডটি যাতে রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত না হয় সে ব্যাপারে সকলের প্রতি আহবান জানিয়েছেন আবরারের বাবা-মা।

আবরারের বাবা আরও বলেন, বিভিন্ন গণমাধ্যমে দেখেছেন ফাহাদ হত্যাকাণ্ড নিয়ে অনেকে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের চেষ্টা করছে। যা কোনভাবেই কাম্য নয়।

হত্যাকারীদের অস্থায়ী বহিষ্কারসহ শিক্ষার্থীদের ৫ দফা মেনে নিয়ে আনুষ্ঠানিক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বুয়েট কর্তৃপক্ষ। ছাত্র সংগঠনগুলোর কার্যালয় সিলগালা করারও নির্দেশ এসেছে নির্দেশনায়।

আবরার ফাহাদ বুয়েটের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের (১৭তম ব্যাচ) ছাত্র ছিলেন। তিনি থাকতেন বুয়েটের শেরেবাংলা হলের নিচতলায় ১০১১ নম্বর কক্ষে।

গত রোববার রাত আটটার দিকে তাকে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয় একই হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে। ওই কক্ষে তাকে নির্যাতন করে বুয়েট ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। রাত ৩টার দিকে হল থেকেই তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

বার্তাবাজার/কেএ

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর