স্কুলে না গিয়েই বেতন তুলছেন ১৯ বছর!

প্রায় ১৯ বছর চাকরির বয়সে বছরে গড়ে এক মাসও যাননি কর্মস্থলে। তবে বেতন-ভাতা উত্তোলন করেছেন নিয়মিত। প্রধান শিক্ষকের সাথে যোগসাজশ করে মাসে একবার অফিস কক্ষে গিয়ে স্বাক্ষর করে বেতন তুলছেন। এমন অভিযোগ উঠেছে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার ছোটবাইশদিয়া ফজলুল করিম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কারিগরি শাখার ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্ট সুলতানা পারভীনের বিরুদ্ধে।

জানা গেছে, ২০০১ সালের ২৩ মার্চ ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্ট পদে নিয়োগ পান সুলতানা পারভীন। নিয়োগের পর কয়েক মাস নিয়মিত কর্মস্থলে উপস্থিত ছিলেন। বছর খানেক পার হতে না হতেই বন্ধ করে দেন স্কুলে আসা। প্রভাবশালী পরিবারের পুত্রবধূ হওয়ায় কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা করেননি। বছরের পর বছর কর্মস্থলে না গিয়েই তুলেছেন বেতন-ভাতা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় সুলতানা পারভীনের অনুপস্থিতির সত্যতা। শিক্ষার্থীদের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন, সুলতানা পারভীন নামে কোনো ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্ট আছেন এটা অনেকেই জানে না। আবার কেউ কেউ নাম শুনলেও কখনো দেখেনি বলে জানায়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই কয়েকজন শিক্ষার্থী বলে, শুনেছি আমাদের বিভাগে একজন ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্ট আছে। কিন্তু আমরা তাকে কখনো ক্লাসে দেখিনি। ল্যাবে কোনো লোক না থাকায় প্রতিনিয়ত সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে অভিভাবকরা জানান, সুলতানা পারভীনের পরিবার প্রভাবশালী তাই তিনি কাউকে পরোয়া করেন না। প্রধান শিক্ষকসহ অন্য শিক্ষকরাও তাদের কাছে অসহায়।

বিদ্যালয় গিয়ে না পেয়ে সুলতানা পারভীনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি এখন ছুটিতে আছি। আমার বিষয় আপনাদের জানার দরকার কী?

জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক মো. মজিবুর রহমান বলেন, আমি এ বিষয় কিছু জানি না। আপনারা প্রতিষ্ঠানের সভাপতির সাথে আলাপ করেন।

রাঙ্গাবালী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মোকলেছুর রহমান বলেন, বিষয়টি ইতিপূর্বে আমাদেরকে কেউ অবহিত করেননি। আমরা জানতে পারলে অনুপস্থিত থেকে এতগুলো বছর বেতন-ভাতা তুলতে পারতেন না। এখন যেহেতু জেনেছি, তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর