ভোটার অনুপস্থিতির রেকর্ড গড়েছে ইসি

পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চার ধাপে ভোটার অনুপস্থিতির রেকর্ড গড়েছে এবার। এর আগে কোন উপজেলায় এত কম ভোটার অনুপস্থিতি ছিল না। এবার শুধু ভোটার অনুপস্থির রেকর্ড নয়, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করার রেকর্ডও গড়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

ইসি সূত্র জানায়, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চার ধাপে প্রায় ৪৫০ উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। জুনে পঞ্চম ধাপে সর্বোচ্চ অর্ধশত উপজেলায় ভোটগ্রহণের মধ্য দিয়ে পর্দা নামবে স্থানীয় সরকারের এ নির্বাচন পর্বের। আগের তুলনায় এবারের নির্বাচন ছিল শান্তিপূর্ণ। চতুর্থ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে যেখানে শতাধিক নিহত হয় সেখানে এবারের নির্বাচনে নিহতের সংখ্যা শূন্যের কোটায়। তবে এবারের নির্বাচনে রেকর্ড সংখ্যক প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনে সব দল অংশ না নেওয়ায় ভোটার উপস্থিতি কম ছিল।

প্রথম ধাপে সর্বোচ্চ ৪৩ শতাংশ ভোট পড়লেও চতুর্থ ধাপে ছিল সবচেয়ে কম, ৩৬ শতাংশ। বিএনপিসহ অনেক রাজনৈতিক দলের বর্জনের মধ্যে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীদের প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ভোট পড়ার গড় হারকে স্বাভাবিক বলে মনে করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে চার ধাপে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন ২২২ জন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান ১১১ জন, ভাইস চেয়ারম্যান ৫১ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬০ জন বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত ৩১১ জন, স্বতন্ত্র ১৩০ (আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী এবং বিএনপির ৩ নেতা) এবং জাতীয় পার্টির চারজন নির্বাচিত হয়েছেন।

২০১৫ সালে ছয় ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্দলীয় সেই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রায় ১৩০ জন নিহত হয়েছিল। ভোট পড়েছিল ৬১ শতাংশ। এর আগের তিন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৫০ শতাংশের ওপর ভোট পড়ে। ফলে এবার কম ভোটারের রেকর্ড গড়ল। এবার দলীয় প্রতীকে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে তেমন কোন সহিংসতার ঘটনা ঘটেনি। শুধু বাঘাইছড়িতে ভোটগ্রহণ শেষে ফেরার পথে দুর্বৃত্তদের হামলায় আটজন নিহত হয়েছেন। যদিও ইসির ধারণা, এটি আঞ্চলিক প্রতিহিংসার সংঘাত।

পঞ্চম ও শেষ ধাপে ১৮ জুন প্রায় ৪০টি উপজেলায় ভোট। জানা যায়, সর্বশেষ ২০১৪ সালে পাঁচ ধাপে ভোট হয়। আওয়ামী লীগ-বিএনপির হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয় দুই ধাপে; শেষে ব্যবধান বাড়িয়ে বেশিরভাগ উপজেলায় জয় পায় আওয়ামী লীগ। ২০০৯ সালের ২২ জানুয়ারি একদিনেই দেশের সব উপজেলায় ভোট হয়। তাতে ১২ জন বিনাপ্রতিন্দ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। এর আগে ১৯৮৫ ও ১৯৯০ সালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হয়।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর