ইছামতি নদী উদ্ধার ও দখল-দূষণমুক্ত করতে কাফনের কাপড় পড়ে মিছিল করতে হবে

পাবনা শহরের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত ঐতিহাসিক ইছামতি নদী উদ্ধারে সর্বস্তরের মানুষের আন্দোলন চলছে। আন্দোলনের অংশ হিসাবে বুধবার পানি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সভায় বক্তারা বলেন, দখল দুষনের কারণে এক সময়ের পাবনাবাসীর সুখ এই ইছামতি নদী এখন সরু নালায় এবং ময়লার ভাগারে পরিণত হয়েছে। বাস্তবে দেখে বোঝার উপায় নেই যে, এখানে এক সময় ¯্রােতস্বীনী ইছামতি নদী ছিল। এই নদীকে ঘিরে পাবনা সমৃদ্ধ হয়।

২০০৩ সালে জেলা প্রশাসন, পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোর সমন্বয়ে জরিপ রিপের্টে পাবনা শহরের মধ্যে ২৮৫ জন দখলদার চিহ্নিত করা হয়। কিন্ত এরপর আর বিষয়টি এগোয়নি। সর্বশেষ ২০১৭ সালে পাবনা শহরের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত আঁকা বাঁকা ৪৪ কিলোমিটার দীর্ঘ নদীটি উদ্ধার এবং দখল-দূষণমুক্ত করে একে আগের মত প্রবাহমান করতে নতুন করে আন্দোলন শুরু হয়। এরপর নদী সংস্কারসহ আনুসঙ্গিক কাজের সম্ভাব্যতা জরীপের জন্য সাড়ে ৩ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয় সরকার। সে জরিপের রিপোর্ট এখনো প্রকাশ হয়নি। নদী সংস্কারও শুরু হয়নি।

বুধবার জেলা পরিষদের রশিদ হলে বিশ্ব পানি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক যৌথ সভায় বক্তারা ইছামতি নদী অবিলম্বে সংস্কার, দখল, দুষণ মুক্ত করে পুনরায় এটি প্রবাহমান করার জোর দাবি জানান। তারা বলেন, নদী সংস্কারের জন্য প্রয়োজনে পাবনাবাসী কাফনের কাপড় পড়ে রাজপথে আন্দোলন করবেন।

পাবনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো: শাফিউল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য দেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রেজউল রহিম লাল, জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিন,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গৌতম কুমার বিশ্বাস, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী আতিয়ুর রহমান, পাবনা প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সহসভাপতি আখতারুজ্জামান আখতার, ইছামতি নদী উদ্ধার আন্দোলনের আহবায়ক এসএম মাহবুব আলম প্রমুখ।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর