ইবি ছাত্রলীগের সাবেক-বর্তমান ৬ নেতার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলা

মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান ছয় নেতার নামে চাঁদাবাজি মামলা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শামসুজ্জামান তুহিন ঝিনাইদহ আদালতে মামলাটি দায়ের করেন বলে জানা গেছে।

মামলার আরজি থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী,বাদী শামসুজ্জামান তুহিন গত রোববার বিকেলে ক্যাম্পাস-পার্শ্ববর্তী শেখপাড়া বাজারের হাজী মার্কেটে অফিসে বসে ছিলেন। তখন ইবি ছাত্রলীগের সাবেক বর্তমান ছয় নেতা এসে তার কাছে চাঁদা দাবি করে এসময় মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। এতে প্রাণভয়ে তিনি তার প্যান্টের পকেট থেকে ৫০ হাজার টাকা বের করে দেন।ঐসময় আসামীরা বাকি টাকা সাত দিনের ভেতর না দিলে হত্যার হুমকি দেয় তাকে।তিনি বাকি টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে আসামীরা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে ঠিকাদারি করে চাঁদার টাকা না দিলে কাজ করতে দেবো না।

এ মামলার ৬ আসামি হলেন- বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি আল আমিন জোয়ার্দ্দার, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মোহাম্মাদ আলী শিমুল, নাজমুল, সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক জুয়েল রানা হালিম, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শিশির ইসলাম বাবু এবং সাবেক ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক মিজানুর রহমান লালন।

উল্লেখ্য মামলায় ছয়জনের নাম উল্লেখসহ বেশ কয়েকজনকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়,মামলার বাদী শামসুজ্জামান তুহিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ষষ্ঠ তলা সম্প্রসারণের কাজ দেখাশোনা করছেন। এ কাজটি করছে সনেপ ইন্টারন্যাশনাল নামের একটি প্রতিষ্ঠান। আসামিরা এ কাজেরই চাঁদা দাবি করেছেন।

এদিকে মামলার বিষয়টি জানাজানি হলে এর প্রতিবাদে মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেয় ছাত্রলীগের একাংশ। এসময় তারা ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করে এবং পরবর্তীতে প্রধান ফটকের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে। পরে উপাচার্য অধ্যাপক হারুন-উর-রশিদ আসকারীর সঙ্গে তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় উপাচার্য তাদের বলেন, ‘ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরীণ কোনো উন্নয়নমূলক কাজে যদি কেউ চাঁদা দাবি করে, তাহলে অবশ্যই আগে কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে। ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মামলা হলে বিষয়টি আমরা দেখব।’

মামলার আসামি ছাত্রলীগের সাবেক ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক এবং বর্তমান ছাত্রলীগের একাংশের নেতা মিজানুর রহমান লালন “বার্তাবাজার” কে বলেন, মামলার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। প্রক্টর অপসারণের আন্দোলনে সফলতা লাভ করায় এ মামলা করানো হয়েছে।মামলার সময় এবং দিন যেটা উল্লেখ করা হয়েছে একই সময়ে আমি আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছিলাম প্রশাসন ভবনের সামনে, সিসি ক্যামেরা দেখলেই বুঝা যাবে।

মামলার বাদী শামসুজ্জামান তুহিন “বার্তাবাজার” কে বলেন,আমি ছাত্রলীগের কারো বিরুদ্ধে মামলা করিনি।যারা আমার কাছে চাঁদা চাইতে এসেছিলো তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছি।

বার্তাবাজার/কে.জে.পি

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর