নব্য জেএমবির দুই সদস্য ৪ দিনের রিমান্ডে

পল্টন থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনে করা মামলায় নব্য জেএমবির দুই সদস্যকে চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। রাজধানীর গুলশানসহ সারাদেশে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় পল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় তাদের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। জেএমবির দুই সদস্য হলেন-ফরিদ উদ্দিন রুমি ও মিশুক খান মিজান।

মঙ্গলবার তাদের ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় পল্টন থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনে করা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য দশ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম সরাফুজ্জামান আনছারী চার দিনের করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

পল্টন থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মোতালেব হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) যাত্রাবাড়ী ও নারায়ণগঞ্জের জঙ্গি আস্তানা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

আজ মঙ্গলবার ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম বলেছেন, নব্য জেএমবির প্রধান তামীম চৌধুরী মারা যাওয়ার পর মূসা নব্য জেএমবিকে শক্তিশালী করার চেষ্টা করেছিল। মূসার ইচ্ছা ছিল বিস্ফোরক সংগ্রহ করা। সিলেট-চাঁপাইনবাবগঞ্জে তাদের আস্তানা পাওয়া যায়। সেগুলো ধ্বংস হওয়ার পর তারা নতুন করে আবারও সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করে। নব্য জেএমবির একজন আমির আছে। সেই আমিরের তথ্য আমাদের কাছে রয়েছে।

মনিরুল ইসলাম বলেন, রাজধানীর গুলিস্তানসহ পুলিশের ওপর পাঁচটি বোমা হামলার সঙ্গে নব্য জেএমবির পাঁচজনের এটি সেল জড়িত ছিল। তাদের পরিকল্পনায় হামলা হয়েছে। এদের বাইরে এই দুজনের ভূমিকা আছে। নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় একটি অভিযান পরিচালিত হয়েছে। সেখান থেকে তিনজনকে আটক করা হয়। তিনজনের মধ্যে দুজনকে আমরা গ্রেফতার করেছি। তারা হলেন- ফরিদ উদ্দিন রুমী ও মিশুক খান ওরফে মিজান।

চলতি বছরের ২৯ এপ্রিল পুলিশের ওপর আইইডি (ইমপ্রোভাইসড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস) হামলা হয়েছিল। ওই হামলায় আমাদের তিনজন পুলিশ সদস্য আহত হন। সেই ঘটনার সঙ্গে তারা জড়িত। পাশাপাশি গতকাল যে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক পাওয়া গেছে- এ ঘটনায় তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

গ্রেফতারদের পরিচয় উল্লেখ করে মনিরুল ইসলাম বলেন, ফরিদ উদ্দিন রুমী একজন ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার এবং তিনি একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। মিশুক খান ওরফে মিজান মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা বেশকিছু তথ্য দিয়েছেন। তাদের আস্তানা থেকে একে ৭৪ খেলনা রাইফেল, খেলনা পিস্তল, ইলেক্ট্রিক্যাল ডিভাইস, তিনটি আইইডি উদ্ধার করা হয়েছে।

তারা এ তিনটি আইইডি পুলিশের ওপর হামলার জন্য তৈরি করেছিল। প্রতি মাসের শেষ দিকে পুলিশের ওপর হামলা করা হয়। এবারও তারা সেই পরিকল্পনা করেছিল।

বার্তাবাজার/ডব্লিওএস

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর