নিবন্ধন জালিয়াতিকারীকে ভ্রাম্যমান আদালতে ৪মাসের কারাদন্ড

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বোড়ারচর বাজারে জালিয়াতির মাধ্যমে জন্ম নিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদানকারী একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে মূলহোতা আবু মুছা(২৪)কে ৪মাসের কারাদন্ড দিয়েছে উপজেলা নির্বাহী অফিসার অভিষেক দাশের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার দারোরা ইউনিয়নের রোড়ারচর বাজারের মা গ্রাফিক্স এন্ড ইন্টারনেট সেন্টারে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।

সাজাপ্রাপ্ত জালিয়াতকারী আবু মুছা উপজেলার দারোরা ইউনিয়নের পুটিয়াজুড়ি গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে।

দারোরা ইউনিয়ন পরিষদের সচিব নাইম সরকার জানান, ২২-২৪শে সেপ্টেম্বর দারোরা ইউনিয়নের ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম চলছিলো, ভোটার হতে আসা অনেকের জন্ম নিবন্ধনের কপি হুবুহু অনলাইন নিবন্ধনের মত দেখতে হলেও এগুলোর নাম্বার এলোমেলো হওয়ার আমাদের সন্দেহ জাগে, পরে আমরা অনলাইনে চেক করলে এসব নিবন্ধন অনলাইনে পাওয়া যায়নি।

মূলহোতা আবু মুছা(২৪)

এসব নিবন্ধন জাল হিসেবে প্রমান হয়। এসব জাল নিবন্ধনের ব্যাপারে জানতে চাইলে ভুক্তভোগীরা বোড়ারচর বাজারের মা গ্রাফিক্স এন্ড ইন্টারনেট সেন্টার থেকে করেছে বলে জানায়।

পরে ইউপি চেয়ারম্যান ও ভুক্তভোগীদের অভিযোগের ভিত্তিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট অভিষেক দাশের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত সেখানে অভিযান চালিয়ে ফটোশপের মাধ্যমে এডিটিং করে বিভিন্ন জাল সনদ ও নিবন্ধন তৈরীকরার আলামত পান। দোকানের মালিক আবু মুছাকে ৪মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন এবং জাল সনদ তৈরীতে ব্যাহৃত দুটি কম্পিউটার জব্দ করেন।

এসময় অন্যান্যের মাঝে আরো উপস্থিত ছিলেন, ইউপি চেয়ারম্যান শাহজাহান বিএসসি, মুরাদনগর থানার এসআই আবদুল গোফরান, ইউপি সচিব নাইম সরকার প্রমুখ।

জানা যায়, এই জালিয়াত সে দীর্ঘদিন যাবত চেয়ারম্যান ও সচিবদের স্বাক্ষর স্কেন করে উপজেলার দারোরা, জাহাপুর, ছালিয়াকান্দি, ও পার্শ্ববর্তী তিতাস উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের জনসাধারনকে জন্ম নিবন্ধন, জাতীয় পরিচয়পত্র, ওয়ারিশ সনদ, চারিত্রিক সনদ, নাগ‌রিক সনদ জাল জা‌লিয়া‌তি ক‌রে তিনশ থেকে পাচঁশ টাকার বিনিম‌য়ে ভূয়া সনদ প্রদান ক‌রে আস‌ছিল।

এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট অভিষেক দাশ, জন্ম নিবন্ধনসহ সকল প্রকার সনদের ব্যাপারে সকলকে সর্তক থাকার অনুরোধ জানিয়ে বলেন কারো মাধ্যমে সংগ্রহ করা থেকে বিরত থেকে যে কোন সনদ প্রয়োজন হলে সরাসরি ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সংগ্রহ করতে হবে।

সনদ সংক্রান্ত ব্যাপারে কারো কোন অভিযোগ থাকলে উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবো।

বার্তাবাজার/এম.কে

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর