আমরা মরে যাবো তবুও ভিসির পদত্যাগ চাই

নিজের জীবনের বিনিময়ে হলেও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) উপাচার্যের পদত্যাগ চেয়েছেন এক শিক্ষার্থী।আন্দোলনরত ওই শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমি মরে যাবো তবুও এই ভিসির পদত্যাগ চাই।’

এর আগে সকালে উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ঘটনা ঘটে। আহত শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছেন, উপাচার্য পন্থী লোকজন তাদের উপর হামলা করেছেন।

শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন গোবরা এলাকায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর এ হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় আহত এক শিক্ষার্থী আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘ভাই আমি মার খেয়ে আসছি, ভাই একটু চুপ থাকি।

ভাই আমরা গোবরা রোড দিয়ে আসছিলাম, ভাই ভিসির লেলিত বাহিনি আমাদের উপর হামলা চালিয়েছে। ভাই অনিক ভাইয়ের মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে। অনেকে ওখানে আটকা পড়ে আছে। ভাই আমারে মারছে, ভাই আমার পায়ে মারছে, আমার কোমরে মারছে, ভাই আমারে থ্রেট দিছে।

আপনারা কী এখনো চুপ করে থাকবেন। ভাই তাহলে আমরা কি করব, আমরা কি করব? ভাই আমি মরে যাব, আমি মার খাইছি তবুও ভিসির পদত্যাগ চাই। ভাই আর পুলিশ ওখানে চুপ করে আছে, পুলিশ কিছু বলে নাই। কেন পুলিশ বলে নাই।

সন্ত্রাসী কি বেশি শক্তিশালী পুলিশের থেকে। ভাই ভিসির লেলিত বাহিনীর বিচার চাই, এই ভিসির পদত্যাগ চাই। ভাই আমাদের প্রতি প্রত্যেকটা অন্যায়ের বিচার চাই।’

উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ঠেকাতে ২১ সেপ্টেম্বর, শনিবার জোরপূর্বক ক্যাম্পাস বন্ধ ঘোষণা করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আন্দোলনে যোগ দিতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আসছিলেন বাইরে থাকা শিক্ষার্থীরা। পথে বিভিন্ন স্থানে তাদের আটকে মারধর করে সন্ত্রাসীরা।

সকালে আন্দোলনে অংশ নিতে আসা শিক্ষার্থীদের আটকাতে গোপালগঞ্জের সোনাকুড় নামক স্থানে ভিসিপন্থীরা অটোরিকশা আটকে দেয়। পরে একযোগে পায়ে হেঁটে ক্যাম্পাসের উদ্দেশ্যে রওনা হয় আন্দোলনকারীরা।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে জড়ো হতে থাকলে হঠাৎ করে বহিরাগত ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর হামলা চালায়। এসময় প্রায় অর্ধশত শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। গত ১১ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের এক শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। পরে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ফাতেমা-তুজ-জিনিয়া নামের ওই শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে নেয় প্রশাসন।

তবে বশেমুরবিপ্রবি উপাচার্য প্রফেসর ড. খন্দকার নাসির উদ্দিনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, ভর্তি বাণিজ্য, নারী কেলেঙ্কারি, শিক্ষক নিয়োগে বাণিজ্য ও স্বৈরাচারী শাসনের অভিযোগ তুলে গত ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে আন্দোলনে নামে শিক্ষার্থীরা। উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি করে টানা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।

গোপালগঞ্জে হামলার স্বীকার এক শিক্ষার্থীর বক্তব্য

গোপালগঞ্জে হামলার স্বীকার এক শিক্ষার্থীর বক্তব্য

Gepostet von Barta Bazar am Samstag, 21. September 2019

বার্তাবাজার/কেএ

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর