খালেদের টর্চার সেল ব্যবহার করতেন শামীমও

অবৈধ ক্যাসিনো মালিক যুবলীগের সদ্য বহিষ্কৃত নেতা খালেদ মাহমুদের মালিকানাধীন ভবনে এক বিশেষ কক্ষের খোঁজ পেয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। চাঁদা বা টেন্ডার আদায়ে সেখানে নির্যাতন চালানো হতো বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। জানা সত্ত্বেও অভিযান চালাতে ব্যর্থতার কথা বলছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

রাজধানীর কমলাপুরের ইস্টার্ন কর্মাশিয়াল কমপ্লেক্স। এ ভবনটিতে মালিকানা রয়েছে সাবেক যুবলীগ নেতা খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার। এ ভবনের চারতলায় রয়েছে একটি বিশেষ কক্ষ। যা স্থানীয়রা চেনে টর্চার সেল হিসেবে।

বুধবার গুলশান থেকে আটকের পর র‌্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এ কক্ষের কথাও উঠে আসে। এরপরই সেখানে অভিযান চালায় র‌্যাব। উদ্ধার করা হয় বৈদ্যুতিক শক দেয়ার যন্ত্র, লাঠি, বেসবল ব্যাট, ইয়াবা, মোবাইল, ল্যাপটপসহ বিভিন্ন জিনিস। পরে জানা যায়, যুবলীগের আরেক নেতা জি কে শামীমও এ কক্ষটি ব্যবহার করতেন।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে, ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার এবং শক্তিশালী সিন্ডিকেটের চাপে অনেক সময় অভিযান চালাতে পারেন না তারা।

পুলিশ সদর দফতরের সহকারী মহারিদর্শক সোহেল রানা বলেন, তাদের একটা শক্ত নেটওয়ার্ক থাকে। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানের সামনে সিসিটিভি ক্যামেরাও লাগানো থাকে, তাই কোনোভাবে খোঁজ পেলেই তারা অবৈধ জিনিসপত্র সরিয়ে ফেলেন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ব্যক্তি স্বার্থ হাসিলে এ ধরনের অপরাধমূলক কাজ ন্যক্কারজনক।

সংগঠক মোবাশ্বের হোসেন বলেন, আইনের শাসনের প্রথম পদক্ষেপ হলো ক্ষমতাশীল দলের লোকজনের বিচার হওয়া। অন্যান্য লোকজনের বিচার না হলেও তাদের বিচার হতে হবে।

অপরাধ বিশ্লেষক জিয়া রহমান বলেন, টর্চার সেল থাকা খুবই ঘৃণ্য শাস্তিমূলক একটি অপরাধ।

এ ধরনের অপরাধে জড়িতদের গ্রেফতার এবং সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানান তারা।

বার্তাবাজার/কে.জে.পি

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর