ক্যাসিনো নিয়ে প্রশ্ন করতেই ক্ষেপে গেলেন মেনন

ক্যাসিনো’ চালানোর অভিযোগে বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাতে রাজধানীর ফকিরাপুলে ইয়ংমেন্স ক্লাবে অভিযান নারী-পুরুষসহ ১৪২ জনকে আটক করা হয়েছে। এছাড়াও আনুমানিক ২০ লাখ টাকাসহ বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়েছে।

পরে ক্লাবের সভাপতি যুবলীগ নেতা খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে তার গুলশানের বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়। ‘ক্যাসিনো’ চালানো ইয়ংমেন্স ক্লাবের গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান স্থানীয় সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেনন।

বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) ক্যাসিনোকাণ্ড নিয়ে সময় সংবাদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। তার সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সময় টেলিভিসনের আজহার লিমন।

সময় অনলাইন নিউজের সাক্ষাৎকারটি পাঠকদের উদ্দেশ্যে তুলে ধরা হলো-

সময়: রাজধানীতে বেশ কিছু ক্যাসিনোর খোঁজ পেয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তার মধ্যে একটা আছে ইয়ংমেন্স ক্লাব…

রাশেদ খান মেনন: ‘আমার তো প্রশ্ন, রাজধানীতে র‍্যাবের অভিযান চালানোর পরে আপনারা ক্যাসিনোর খোঁজ পেলেন। মিডিয়ায় এত অনুসন্ধানী সংবাদ হয়, ক্যাসিনোর খোঁজ পাইনি কেন। প্রশ্ন তো এইখানে।

আমি তো উল্টা প্রশ্ন করবো যে, কেন তারা এতদিন ধরে এই সংবাদটা পায়নি। আজকে কেন হঠাৎ করে র‍্যাবের অভিযানের পরে পেল। এটা হলো আসলে আমরা রিয়্যাক্ট করি, কখনো কোনো কিছু নিয়ে অ্যাক্ট করি না। এটা হচ্ছে তার প্রমাণ।

সময়: আমরা একটা ছবি দেখলাম, আপনি ক্লাবের উদ্বোধন করছেন। আপনি এই ক্লাবের চেয়ারম্যান…

রাশেদ খান মেনন: এই ক্লাবের একটা গভর্নিং বডি আছে। আমি তার চেয়ারম্যান। আমিই করেছি (ক্লাবের উদ্বোধন)। আমি কি অস্বীকার করছি? এটা ২০১৬ সালের ১৯ জুন করেছি।

সময়: কি হিসেবে এটা উদ্বোধন করেছেন?

রাশেদ খান মেনন: এটা তো ফুটবল ক্লাব, ক্রিকেট ক্লাব। এরা প্রিমিয়ার লিগে খেলে। এরা প্রিমিয়ার লিগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। ওয়ান্ডারার্স আছে, ভিক্টোরিয়া ক্রিকেট ক্লাব আছে। আছে না?

সময়: ওয়ান্ডারার্স ক্লাবেও অভিযান চালিয়েছে…

রাশেদ খান মেনন: এখন, ওয়ান্ডারার্স ক্লাব তো আজকের ক্লাব না। এটা ফুটবল ক্লাব।

সময়: আপনি দায়িত্বে থাকা অবস্থায় একটা ক্লাবে এরকম….

রাশেদ খান মেনন: আমি কোনো দায়িত্বে নেই। আমি কখনো কোনো দায়িত্বে ছিলাম না, এখনো নেই।

সময়: আপনি জানতেন না যে, এখানে ক্যাসিনো চলছে?

রাশেদ খান মেনন: আমার তো জানার কথা না। আমি যেদিন ওপেন করেছি শুধু সেদিন গেছি। তারপর আর কোনোদিন যায়নি সেখানে। যাওয়ার কোনো স্কোপই নাই। কারণ, খেলার ব্যাপারে আমার সময় দেয়ার অতটা অবকাশ ছিল না।

সময়: আপনার একটা ছবি টাঙানো আছে…

রাশেদ খান মেনন: অসুবিধা কি তাতে। ওখানে বঙ্গবন্ধুর ছবি টাঙ্গানো আছে, শেখ হাসিনার ছবি আছে। অসুবিধা কি আছে?

সময়: হ্যাঁ, কিন্তু এর পাশেই এমন একটা কাজ চলছে…

রাশেদ খান মেনন: ওখানে বঙ্গবন্ধুর ছবি আছে, শেখ হাসিনার ছবি আছে। তা এখন সেটা কি করা যাবে?

সময়: এখন আপনি কি পদক্ষেপ নিবেন?

রাশেদ খান মেনন: কোন ব্যাপারে?

সময়: ক্লাবের গভর্নিং বডি থেকে পদত্যাগ করবেন?

রাশেদ খান মেনন: ওই গভর্নিং কমিটি আছে কিনা তাই তো আমি জানি না। ওটা যে কি আছে সেটাই তো আমি জানি না। এটা হলো তারা যেদিন নতুন কমিটি করলো সেই কমিটি পর্যন্তই, ব্যাস শেষ… আর তো কিছু নেই।

সময়: এখানে আপনি কি নিজের কোনো দুর্বলতা দেখছেন?

রাশেদ খান মেনন: নাহ।

সময়: আমি এই কারণে বলছি যে, একটা ক্লাবকে জুয়ার আসর বানানো হয়েছে। আপনি সেই ক্লাবের গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান। আপনার কি কোনো অনুশোচনা বা কোনো…

রাশেদ খান মেনন: আমার অনুশোচনা হবে কেন? ইট ইজ নট মাই ডিউটি। ইট ইজ ডিউটি অব আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তারা দেখবে ওখানে কি হচ্ছে।

সময়: আপনাকে তো একটা পোস্ট দিয়ে রেখেছে। আপনার নাম ভাঙিয়ে খাচ্ছে…

রাশেদ খান মেনন: আমার নাম তারা কোনো দিন ভাঙায়নি। আমি তো দেখিনি এ পর্যন্ত। আমার নাম ভাঙাবে কেন? এগুলো হচ্ছে আপনারা আমার গায়ে কিছু কালির ছিটা ফেলার জন্য করছেন।

সময়: এই বিষয়ে তো এরই মধ্যে নিউজ হয়েছে।

রাশেদ খান মেনন: আমার তাতে কিচ্ছু আসে যায় না। কোথায় নিউজ হয়েছে তাতে আমার কিছু আসে যায় না। কারণ, আমাদের এই সমাজে বাস করতে হয়, এই ঘরের মধ্যে বাস করতে হয়। এখানে নানা ঘটনা ঘটে।

আমি যেহেতু এখানে এমপি, সেই এমপি হিসেবে আমাকে বহু কাজের সঙ্গে যুক্ত হতে হয়, আমার সঙ্গে বহু লোকের ছবি আছে। সম্রাটের ছবি আছে আমার সাথে, খালেদের ছবি আছে, অন্যদের ছবি আছে। নাই? নির্বাচনের সময় তো সম্রাট মিছিলে আমার সাথে ছিল।

সময়: এমপি হিসেবেও তো আপনার একটা দায়িত্ব আছে, কোথায় কি চলছে এগুলোর খোঁজ খবর নেয়া।

রাশেদ খান মেনন: না না।

সময়: শুধু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর ছেড়ে দিবেন?

রাশেদ খান মেনন: এমপি হিসেবে কি দায়িত্ব আমার! আমার কাছে এখন পর্যন্ত কেউ এসে কি বলেছে যে, এই জায়গায় এটা হচ্ছে। সুতরাং আপনি এটাতে হস্তক্ষেপ করেন। কেউ তো বলেনি আমাকে আজ পর্যন্ত। আমি তো ওই এলাকায় বহুবার যাচ্ছি। আজ পর্যন্ত এলাকার কেউ একজন আমাকে বলেনি।

সময়: যেহেতু আপনি এখনো ক্লাবটির চেয়ারম্যান পদে আছেন। সেখান থেকে পদত্যাগ করবেন কিনা?

রাশেদ খান মেনন: প্রথম কথা হলো, ইট’স এ ক্লাব। এরা প্রিমিয়ার লিগে ফুটবল খেলেছে। এখন কিছু লোক এটাকে ক্যাসিনো বানিয়েছে। এই দায়-দায়িত্ব তো গভর্নিং কমিটির হতে পারে না। আর আমি তো…, বললাম তো যে, ওটা আসলে একটা উপদেষ্টামণ্ডলী।

সময়: উপদেষ্টা মণ্ডলীর কাজ কী?

রাশেদ খান মেনন: কোনো কাজই নাই। এগুলো হচ্ছে, যখন একটা কমিটি হয় তখন একটা নাম দিয়ে দিলো।

সময়: তাহলে এই ব্যাপারে আপনার কোনো রিয়্যাকশন থাকবে না?

রাশেদ খান মেনন: ভালো হয়েছে। ওটা বন্ধ করে দিক। অলরেডি বন্ধ করে দিয়েছে। আই অ্যাম হ্যাপি, এলাকার লোক হ্যাপি।

সময়: আশপাশে আরো কিছু ক্যাসিনোর কথা শোনা যাচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও বলছে। এগুলোর ব্যাপারে আপনার…

রাশেদ খান মেনন: আমার সংসদীয় এলাকায় তো ডাকাত আছে, খুনি আছে, সন্ত্রাসী আছে। এখন তার দায় দায়িত্ব কি আমাকে নিতে হবে! এটা তো এমপির দায়িত্ব না।

সময়: এখানে কি এমপির কোনো দায়িত্ব নেই?

রাশেদ খান মেনন: কি করবে? সে কি খুনি খুঁজে বেড়াবে?

সময়: কিন্তু যারা খুনি খোঁজার কাজ করে তাদের নির্দেশনা দিবেন না?

রাশেদ খান মেনন: আমি সেই কথাটাই তো বললাম। এটা হলো মতিঝিল থানার একেবারেই পাশে। এটা তারা দেখবে না?

সময়: তার মানে এখন আর আপনার পদত্যাগ করার দরকার নেই?

রাশেদ খান মেনন: আমি তো সেখানে এক্সজিস্টই করছি না। স্বাভাবিকভাবে আমার পদত্যাগ করার কোনো প্রশ্নই আসে না। আমার আর কোনো সম্পর্ক ওখানে থাকবে না। আমি এটাকে ফুটবল ক্লাব হিসেবে জানি।

এখানকার সাধারণ সম্পাদক হাজি সাব্বির, তিনি মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, তিনি এই ক্লাবের হয়ে বিদেশে টিম নিয়ে গেছে। আমরা তো সেভাবেই দেখেছি। এখন আমার এই অফিসের মধ্যে যদি কেউ আমাদের অজান্তে কেউ একটা ঘটনা ঘটায় সেটার দায় দায়িত্ব কি আমাকে নিতে হবে?

সময়: আপনি যদি কোনো অফিসের হেড থাকেন বা দায়িত্বে থাকেন…

রাশেদ খান মেনন: আমি তো ওখানকার হেড না।

সময়: যাই হোক, আপনি গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান, আপনি বলছেন, উপদেষ্টামণ্ডলী। সেখানে কি আপনার কোনোই দায়িত্ব থাকবে না? এমন একটা সম্মানিত পোস্টে আছেন। সেখানে কি হচ্ছে সেটা আপনার জানার কথা না?

রাশেদ খান মেনন: আমি তো বার বার বলছি, আমি একটা ফুটবল ক্লাব, ক্রিকেট ক্লাবের সাথে যুক্ত ছিলাম। এরকম ক্রিকেট ক্লাব মোহামেডান আছে, ওয়ান্ডারার্স আছে, ভিক্টোরিয়া আছে।

তাদের সবগুলোই তো এখন প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে গেছে। এখন ওর সাথে যারা যুক্ত সবাই দায়ী হয়ে গেলো? মোহামেডানের সাথে তো বহু নামি-দামি লোক আছে। আপনারা মূল কথা ছেড়ে দিয়ে, ইউ আর ট্রাইং টু…

সময়: আমরা কি ভুল কিছু জানতে চাচ্ছি?

রাশেদ খান মেনন: হ্যাঁ।

সময়: আপনি তো এই এলাকার গার্ডিয়ান?

রাশেদ খান মেনন: হ্যাঁ।

সময়: তাহলে আমাদের প্রশ্নটা ভুল কেনো?

রাশেদ খান মেনন: আপনারা তো চেষ্টা করছেন এটাকে একটা স্টোরি বানাতে। যে স্টোরিটা লোকে খাবে। আমি তো সেই স্টোরির মধ্যে যেতে রাজি না। আমি তো খোলাখুলি কথা বলছি। কিছু তো লুকচ্ছি না। আপনি আমাকে জাজমেন্ট করছেন। সেই জাজমেন্ট তো আমি নেবো না। আমাকে অন্য কেউ জাজমেন্ট করুক। ইউ ক্যান নট জাজ মি।

সময়: না না। আমি আপনাকে জাজ করছি না। জাজ করার জন্য মানুষ আছে…

রাশেদ খান মেনন: শোনেন, কারো ব্যাপারে মতামত দেয়া আপনার দায়িত্ব না। আপনার দায়িত্ব হলো ঘটনাটা বলা। এর বাইরে কিছু না। ইউ আর জাজিং।

সময়: আপনার কি মনে হচ্ছে, আমি আপনাকে জাজ করছি?

রাশেদ খান মেনন: অবশ্যই করছেন।

সময়: আমি তো আপনাকে কিছু প্রশ্ন করেছি যে, এটা আপনার দায়িত্ব কিনা…

রাশেদ খান মেনন: আপনি যে প্রশ্ন করেছেন সেটার উত্তর আমি দিয়েছি। এখন আপনি জাজিং। দেন আপনি আপনার টেলিভিশনে, আমার কিচ্ছু আসে যায় না।

সময়: আচ্ছা, যাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে তারা সংসদ নির্বাচনের সময় আপনার সাথে কাজ করেছে। আমরাও দেখেছি যে, অনেকেরই আপনার সাথে ছবি আছে। তাদের বিরুদ্ধে যে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে সে ব্যাপারে আপনি কি বলবেন?

রাশেদ খান মেনন: নিক। সরকার ব্যবস্থা নিক। নেয়া তো উচিৎ। নেয়নি এতদিন পর্যন্ত সেটাই তো তাদের ত্রুটি।

সময়: আপনার ত্রুটি নেই? আপনিও তো ব্যবস্থা নিতে বলেন নি।

রাশেদ খান মেনন: আমি কেন সুপারিশ করতে যাবো। আমি আবার বলছি, ইউ আর ট্রাইং টু জাজ মি। ইউ আর জাস্ট ক্রসিং ইয়োর লিমিট। আপনার সম্পাদককে আমি ফোন করে বলবো যে, আপনি আমাকে জাজ করার চেষ্টা করছেন। আপনি যান। আমি যা বলেছি, সব দিয়ে দেন। আমার কিচ্ছু আসে যায় না।

সময়: আমি আপনাকে জাজ কেন করবো। আমি শুধু আপনাকে কিছু প্রশ্ন করেছি।

রাশেদ খান মেনন: আপনি আমাকে প্রশ্ন করেছন। আমি উত্তর দিয়েছি। এখন আপনি আমাকে জাজ করছেন।

সময়: আমি কোনোভাবেই আপনাকে জাজ করতে চাই না।

রাশেদ খান মেনন: শোনেন শোনেন, ইয়ংম্যান। ডোন্ট ট্রাই টু বি ভেরি ক্লেভার।

সময়: আমি যদি আপনাকে প্রশ্ন করি যে এটা কি আপনার দায়িত্বের মধ্যে পড়ে কিনা সেটা কি জাজ করা হলো? আমার বলা একটা শব্দ বলেন যেখানে আমি আপনাকে জাজ করেছি।

রাশেদ খান মেনন: আপনি বললেনই তো যে, আপনি এই এলাকার এমপি। আপনি এই দায়িত্ব নেবেন না তা কেমন হয়?

সময়: কেমন হয় সেটা আমি বলিনি। আমাদের ক্যামেরায় সব রেকর্ড আছে।

রাশেদ খান মেনন: সব রেকর্ড আছে। আমিও তো বসে বসে শুনতেছি।

সময়: আচ্ছা, সার্বিকভাবে যদি জিজ্ঞাসা করি, আপনি দেশের একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা, দেশে যে ক্যাসিনোর একটা প্রবণতা শুরু হয়েছে সেটা সামাজিক অবক্ষয়ের কারণ কিনা। আপনার ব্যক্তিগত মত যদি জানতে চাই যে, আসলে কি করা উচিৎ।

রাশেদ খান মেনন: এই সামাজিক অবক্ষয়ের বিরুদ্ধে আমাদের পার্টি সবচেয়ে বেশি সোচ্চার। এই দুর্নীতি, সামাজিক অবক্ষয়, অনাচার, লুট, দখল, খুন…, আমাদের পার্টির লাস্ট রেজুলেশন ভালো করে পড়েন। ওইটাকে এখন আপনারা বাইপাস করার জন্য এই কথাগুলো আনছেন। আমি তো বুঝ এগুলো। আমরা পলিটিক্স করা লোক। বুচ্ছেন? আমরা পলিটিক্স করা লোক।

সময়: আমার ইন্টার্ভিউ শেষ।

রাশেদ খান মেনন: হ্যাঁ। ইন্টার্ভিউ কেনো, আপনি যা ইচ্ছা করেন। শোনেন, আপনি আমার নাতির বয়সী। আপনি আমাকে জাজ করার চেষ্টা করছেন। আমি কিছুই বলিনি আপনাকে। আমি খুব ভদ্রভাবে কথা বলেছি।

সৌজন্যে: সময় টিভি

বার্তাবাজার/কেএ

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর