কড়া পাহারায় আদালতে খালেদ

রাজধানীর ফকিরেরপুলের ইয়ংমেন্স ক্লাবের অবৈধ ক্যাসিনো মালিক যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূইয়াকে আদালতে নেয়া হয়েছে।

এছাড়া খালেদের বিরুদ্ধে গুলশান ও মতিঝিল থানায় চারটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গুলশান থানা থেকে কড়া প্রহরায় তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে (সিএমএম) নেয়া হয়েছে।

অস্ত্র ও মাদক মামলায় খালেদকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য আদালতে ১৪ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হবে। এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুরে গুলশান থানা পুলিশের কাছে খালেদকে হস্তান্তর করে র‌্যাব। এরপর সেখানে তিনটি মামলা দায়েরের পর সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে খালেদকে আদালতে পাঠায় র‌্যাব।

ডিএমপির গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) সুদীপ কুমার চক্রবর্তী বলেন, গুলশান থানায় খালেদের বিরুদ্ধে অস্ত্র, মাদক ও মানি লন্ডারিং আইনে পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা নম্বর যথাক্রমে ২৩, ২৪ ও ২৫।

এর মধ্যে অস্ত্র ও মাদক আইনে মামলা দুটির তদন্ত করবে পুলিশ। দুই মামলায়া সাতদিন করে মোট ১৪ দিনের রিমান্ড চেয়ে খালেদকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। মানি লন্ডারিং সংশ্লিষ্ট মামলার নথি সিআইডিতে পাঠানো হচ্ছে, সেটি তারা তদন্ত করবে।

আসামীকে আদালতে পাঠাতে দেরী হওয়ার কারণ জানতে চাইলে ডিসি বলেন, তথ্য উপাত্ত ও আইনের ধারা বিবেচনায় এজাহার সাজাতে দেরী হয়েছে। সে কারণে আসামীকে আদালতে পাঠাতে একটু সময় লেগেছে।

ডিএমপির মতিঝিল বিভাগের ডিসি আনোয়ার হোসেন জানান, মতিঝিল থানায় দুইটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। একটি খালেদের নামে এবং আরেকটি ওয়ান্ডার্স ক্লাব সংশ্লিষ্ট।

বুধবার রাতে গুলশানের বাসা থেকে অবৈধ অস্ত্র ও মাদকসহ খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে আটক করে র‍্যাব। এ সময় তার বাড়ি থেকে তিনটি অস্ত্র, গুলি, ৫৮৫ পিস ইয়াবা, ১০ লাখ ৩৪ হাজার ৫৫০ টাকা এবং ৬-৭ লাখ টাকা মূল্যের সমমান বিদেশী মুদ্রা জব্দ করা হয়েছে। অস্ত্রগুলোর একটি লাইসেন্সবিহীন, অপর দু’টি লাইসেন্সের শর্তভঙ্গ করে রাখা হয়েছিল।

বার্তাবাজার/কেএ

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর