দুই অর্থবছরে বিভিন্ন প্রকল্পে সাভার ইউনিয়নে ৩৫ লক্ষাধিক টাকার কাজ সম্পন্ন

ঢাকার সাভার উপজেলার সাভার ইউনিয়নে ২০১৭-১৮ ইং এবং ২০১৮-১৯ ইং অর্থবছরে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে সরকারী বরাদ্দের ৩৫ লক্ষাধিক টাকার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। সাভার উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার থেকে তথ্য অধিকার আইনে প্রাপ্ত তথ্যের সরেজমিন পরিদর্শনে গিয়ে বিষয়টি জানা যায়।

২০১৭-১৮ ইং অর্থবছরে গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার (কাবিটা-সোলার) সাধারণ (১ম পর্যায়) কর্মসূচির প্রকল্পে এই ইউনিয়নের সিএন্ডবি যাত্রী ছাওনীতে, কলমা-জিঞ্জিরা রোড আক্কাছের বাড়ীর তিন রাস্তার মোড়ে এবং কলমা দক্ষিণপাড়া হাজী রফিকুল ইসলামের বাড়ীর তিন রাস্তার মোড়ে সোলার প্যানেলের মাধ্যমে স্ট্রীট লাইট স্থাপনে মোট সরকারী বরাদ্দের ১,৯৪,১৮৪ টাকা ব্যয় হয়। একই অর্থবছরের গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার (কাবিটা-উন্নয়ন) সাধারণ (১ম পর্যায়) কর্মসূচির প্রকল্পের আওতায় কলমা নবীন সংঘের মাঠ ভরাট কাজটি ১,১৯,১৩৭ টাকা সরকারী বরাদ্দের বিপরীতে সম্পন্ন হয়।

২০১৭-১৮ ইং অর্থবছরের গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টি.আর-উন্নয়ন) সাধারণ (১ম পর্যায়) প্রকল্পে কলমা উত্তরপাড়া তাহেরুন্নেসা মাদ্রাসা উন্নয়ন (৪০,০০০ টাকা) এবং কলমা উত্তরপাড়া মাটির মসজিদ ও কলমা দক্ষিণপাড়া দেওয়ান বাড়ী জামে মসজিদ উন্নয়ন প্রকল্প (৪৬,৬৭২ টাকা) দুইটি মোট ৮৬,৬৭২ টাকা প্রাপ্ত সরকারী বরাদ্দ দিয়ে সম্পন্ন হয়। একই অর্থবছরের গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টি.আর-সোলার) সাধারণ (১ম পর্যায়) কর্মসূচির আওতায় মোট তিনটি প্রকল্পে ২,০৬,৮০৩ টাকা সরকারী বরাদ্দ আসে। সম্পন্ন হওয়া প্রকল্প তিনটি হলো- কলমা নবীন সংঘের সামনে সোলার প্যানেলের মাধ্যমে স্ট্রীট লাইট স্থাপন (৮৪,৯৩৩ টাকা), চাপাইন বাইতুল সালাম জামে মসজিদে সোলার প্যানেলের মাধ্যমে স্ট্রীট লাইট স্থাপন (৬৫,৩৮০ টাকা) এবং রাজাশন মন্ডল পাড়া জামে মসজিদের সামনে সোলার প্যানেলের মাধ্যমে স্ট্রীট লাইট স্থাপন (৫৬,৪৯০ টাকা)।

২০১৭-১৮ ইং অর্থবছরের গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার (কাবিটা-সোলার) সাধারণ (২য় পর্যায়) কর্মসূচির প্রকল্পের আওতায়- সিএন্ডবি যাত্রী ছাওনীর সামনে (৭৭,৪২০ টাকা) এবং কলমা দক্ষিণপাড়া জবেদ আলীর মসজিদে (৩৯,২৫০ টাকা), দেওগাঁ মুসলিম কবরস্থানে (৫৬,৪৯০ টাকা), গেন্ডা পশ্চিমপাড়া জামে মসজিদের সামনে (৫৬,৪৯ টাকা) এবং ডগরমোড়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে (৭১,৭২৮ টাকা) সোলার প্যানেলের মাধ্যমে স্ট্রীট লাইট স্থাপনে মোট ৩,০১,৩৭৮ টাকা সরকারী বরাদ্দ দিয়ে সম্পন্ন করা হয়। একই অর্থবছরে গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার (কাবিটা-উন্নয়ন) সাধারণ (২য় পর্যায়) কর্মসূচির প্রকল্পের আওতায় কলমা পশ্চিমপাড়া নূরজাহানের বাড়ী হতে হেনা বেগমের বাড়ী ভায়া মকবুলের জমির দক্ষিণ পাশ পর্যন্ত রাস্তা মাটি দ্বারা উন্নয়ন কাজটি সরকারী বরাদ্দ হিসেবে আসা ৩ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য (চাল, যার আনুমানিক বাজার মূল্য ১,০৫,০০০ টাকা) দিয়ে শেষ করা হয়।

২০১৭-১৮ ইং অর্থবছরের গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টি.আর- উন্নয়ন) সাধারণ (২য় পর্যায়) কর্মসূচির আওতায় মোট চারটি প্রকল্পে ১,১৬,৬১০ টাকা সরকারী বরাদ্দ হিসেবে আসে। সম্পন্ন হওয়া প্রকল্পগুলি হলো-মধ্য কলমা বায়তুন নুর জামে মসজিদ উন্নয়ন (৩৬,৬১০ টাকা), দেওগাঁও বায়তুল মামুর জামে মসজিদ উন্নয়ন (৫০,০০০ টাকা), দিঘীরপাড়া বায়তুন নুর জামে মসজিদ উন্নয়ন (৪০,০০০ টাকা), চাঁপাইন বায়তুস সালাম জামে মসজিদ উন্নয়ন (৪০,০০০ টাকা)। একই অর্থবছরের গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টি.আর-সোলার) সাধারণ (২য় পর্যায়) কর্মসূচির আওতায় মোট চারটি প্রকল্পে সোলার প্যানেলের মাধ্যমে স্ট্রীট লাইট স্থাপনে মোট ২,০২,৩২০ টাকা সরকারী বরাদ্দ আসে। সম্পন্ন হওয়া প্রকল্পগুলি হলো- মল্লিকারটেক ব্রীজের সামনে সোলার প্যানেলের মাধ্যমে স্ট্রীট লাইট স্থাপন (৬৭,২০০ টাকা), কলমা পশ্চিমপাড়া আদর্শ নগর জামে মসজিদে সোলার প্যানেল স্থাপন (১৭,৬৭৮ টাকা), চাঁপাইন তিন রাস্তায় আব্দুল মজিদের বাড়ীর মোড়ে সোলার প্যানেলের মাধ্যমে স্ট্রীট লাইট স্থাপন (৫৬,৪৯০ টাকা) এবং চাঁপাইন পূর্বপাড়া জামে মসজিদের সামনে স্ট্রীট লাইট স্থাপন (৬০,৯৫২ টাকা)।

২০১৮-১৯ ইং অর্থবছরের গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার (কাবিটা-উন্নয়ন) সাধারণ (১ম পর্যায়) কর্মসূচির আওতায় কলমা স্কুলপাড়া কবরস্থানে মাটি ভরাট প্রকল্পটি সরকারী বরাদ্দ হিসেবে আসা ৩.৩৪৯ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য যার আনুমানিক বাজারদর ১,১৭,২১৫ টাকার বিপরীতে সম্পন্ন হয়। একই অর্থবছরের কাবিটা-সোলার সাধারণ ১ম পর্যায়ে মোট ৬টি প্রকল্পে সোলার প্যানেলের মাধ্যমে স্ট্রীট লাইট স্থাপনে ৩,৪৪,১৫০ টাকা সরকারী বরাদ্দ আসে। উক্ত বরাদ্দে সম্পন্ন হওয়া প্রকল্পগুলি হলো-চাঁপাইন কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ (৬০,০০০ টাকা), কলমা সমির কমলরোড (৫৮,১৯০ টাকা), সাভার ইউনিয়ন পরিষদের মাঠ (৫৬,৪৯০ টাকা), কলমা পূর্বপাড়া কুপা মসজিদের সামনে (৫৬,৪৯০ টাকা), দক্ষিণ পূর্ব চাঁপাইন আওয়াল ভাইয়ের বাড়ীর তিন রাস্তার মোড় (৫৬,৪৯০ টাকা) এবং সুরুজ ভাইয়ের বাড়ীর দুই রাস্তার মোড় (৫৬,৪৯০ টাকা) জায়গাগুলিতে সোলার প্যানেলের মাধ্যমে স্ট্রীট লাইট স্থাপন।

২০১৮-১৯ ইং অর্থবছরের গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টি.আর-সোলার) সাধারণ কর্মসূচির ১ম পর্যায়ে চারটি প্রকল্পে সোলার প্যানেলের মাধ্যমে স্ট্রীট লাইট স্থাপনে মোট ২,৪৬,১৯৭ টাকা সরকারী বরাদ্দ হিসেবে আসে। উক্ত বরাদ্দে সম্পন্ন হওয়া প্রকল্পগুলি হলো- কলমা ইয়াসিনের বাড়ীর সামনে কবরস্থান (৫৬,০০০ টাকা), কলমা দক্ষিণপাড়া মসজিদে কুবা’র সামনে (৩৫,৩৫৭ টাকা), সিটিল্যান্ড মজিবরের বাসায় (৭৭,৪২০ টাকা) এবং ডগরমোড়া উম্মুল কুরা মাদ্রাসার পিছনে তিন রাস্তার মোড় (৭৭,৪২০ টাকা)। একই অর্থবছরে গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টি.আর-উন্নয়ন) সাধারণ কর্মসূচির ১ম পর্যায়ে কলমা ১নং কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ উন্নয়নে (৪৬,৬১০ টাকা) এবং দক্ষিণ কৃষ্ণপুর ইসলামপুর বায়তুল হুদা জামে মসজিদ উন্নয়ন (৪৬,৬১০ টাকা) প্রকল্প দুইটি মোট ৯৩,২২০ টাকা সরকারী বরাদ্দের বিপরীতে সম্পন্ন হয়।

২০১৮-২০১৯ ইং অর্থবছরে সাভার ইউনিয়নে অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচি (ইজিপিপি) ২য় পর্যায়ে মোট দুইটি প্রকল্পে সরকারী বরাদ্দ আসে ১৫,৭৬,০০০ টাকা। উত্তর কলমা নুরুর বাড়ীর রাস্তা হতে মজিবরের বাউন্ডারি পর্যন্ত রাস্তা মাটি দ্বারা উন্নয়ন, উত্তর কলমা মজিবর সিকদারের বাড়ীর রাস্তা হতে খালেকের বাড়ীর শেষ সীমানা পর্যন্ত রাস্তা মাটি দ্বারা উন্নয়ন ও উত্তর কলমা আলী হোসেনের বাড়ীর শেষ সীমানা হতে সেলিমের বাড়ীর শেষ সীমানা পর্যন্ত রাস্তা মাটি দ্বারা উন্নয়ন প্রকল্পটি স্থানীয় ইউপি সদস্য আবুল হোসেনের তত্বাবধানে ৯৭ জন শ্রমিক দ্বারা রোজ ২০০ টাকা মজুরিতে ৪০ দিনে সম্পন্ন হয়। এই প্রকল্পে সরকারী বরাদ্দ আসে ৭,৭৬,০০০ টাকা। এই অর্থবছরের ইজিপিপি (২য় পর্যায়) দ্বিতীয় প্রকল্পটি হলো- কলমা দক্ষিণ সাইফুলের বাড়ী হতে সুমনের বাড়ীর পাশের খালি প্লট পর্যন্ত রাস্তা মাটি দ্বারা উন্নয়ন, কলমা আউকপাড়া রোড হতে নাসিমা মেম্বারের বাড়ী পর্যন্ত রাস্তা মাটি দ্বারা উন্নয়ন ও কলমা দক্ষিণ সবদুল খা এর বাড়ীর পাশের রাস্তা হতে বারেকের বাড়ীর পশ্চিম পাশ পর্যন্ত রাস্তা মাটি দ্বারা উন্নয়ন। এই প্রকল্পটি ৭ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ আরিফের তত্বাবধানে ১০০ জন শ্রমিক দৈনিক ২০০ টাকা মজুরিতে ৪০ দিনে সম্পন্ন করে। এই প্রকল্পটিতে সরকারী বরাদ্দ হিসেবে মোট ৮ লক্ষ টাকা আসে।

সাভার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ সোহেল রানা জানান, গত দুই অর্থবছরে সরকারী বরাদ্দের টাকায় সবগুলি প্রকল্পের কাজ নিয়মানুযায়ী শেষ করেছি। আমি প্রতিটি প্রকল্পের কাজ চলাকালীন প্রত্যক্ষ করেছি এবং আমার পরিষদের ইউপি সদস্যদেরকেও বিধি মেনে কাজগুলি শেষ করার নির্দেশ দিয়েছি, আর তারাও সেভাবে কাজ করেছে।

সাভার উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ একরামুল হক জানান, উপজেলা থেকে যেসব ইউনিয়নে বিভিন্ন প্রকল্পে সরকারী বরাদ্দের টাকা যায়, সেসব প্রকল্পের কাজ চলাকালীন আমি নিজেও এবং আমার কার্যালয়ের প্রকৌশলীগণ নিয়মিত পরিদর্শণ করেন। সাভার ইউনিয়নে গত দুই বছরের সরকারী বরাদ্দের টাকায় বাস্তবায়িত প্রকল্পগুলি বিধি মেনে সম্পন্ন হয়েছে।

বার্তাবাজার/কে.জে.পি

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর