আবদ্ধ ঘরে বৃদ্ধা, বয়স ৮০ পেরোলেও জোটেনি ভাতা!

ফজিরন বেওয়া ,জন্মেছেন ১৯৩৭ সালের ২১ জুলাই,সেই হিসেবে বর্তমান বয়স তেনার ৮২ বছর। বিয়ে হয়েছে তার ১৪ বছর বয়স থাকতে,এরপর বিয়ের দীর্ঘ বছর পর স্বামীকে হারান,১ মাত্র মেয়ে ছিলো,সেই মেয়েও কঠিন অসুখে মারা গেছে আজ ১৫ বছর হলো। বর্তমানে ফজিরন বেওয়া কুড়িগ্রাম জেলা সদরের পাঁচগাছি ইউনিয়নের দক্ষিন চর সিতাইঝড় গ্রামের মিয়াজি পাড়ায় একায় ১টি ঘরে দিন-রাত ২৪ ঘন্টা থাকেন আবদ্ধে। বয়স হয়েছে তাই অনেকটা কানেও শোনেন না,এই বৃৃদ্ধা। ফজিরন বেওয়াকে দেখা-শোনার জন্য নেই কেউ। প্রতিবেশীরা মিলে প্রতিদিন খাবার দিলে খাবার পায় ফজিরন,না দিলে উপোস থাকতে হয় তাকে। বুধবার সরেজমিনে তার বাসায় গিয়ে দেখা যায়,একা একা ঘরের দরজায় বসে গালে হাত দিয়ে রয়েছেন তিনি। সময় তখন দুপুর দেড়টা,জানালেন দুপুরের খাবার এখনো জোটেনি তার কপালে। ১ শতাংশ জমির উপর ২টি ঘর তার,দুটোই মেরামতের অভাবে জীর্ণশীর্ণ হয়ে আছে।

একটিতে থাকেন তিনি,আরেকটি থাকে তালাবদ্ধ। সন্ধা হলেই ঘরে নামে অন্ধাকার,আশ-পাশে বিদ্যূৎ থাকলেও তার ঘরে নেই বিদ্যূৎ এর আলো। প্রতিবেশী বাচ্চু মিয়া বার্তা বাজারকে জানালেন,”স্থানীয় ইউপি সদস্যকে বলা হয়েছিলো তাকে সহযোগীতা করতে,কিন্তু সহযোগীতো দুরের কথা,১টা কার্ড পর্যন্ত সে করে দেয়নি।”সমাজ সচেতন তরুন মেঘরাজ হাসান শ্রাবন বলেন,”তিনি একজন বয়স্ক বৃদ্ধা,সাথে তিনি কানেও শোনেন না,অথচ তার প্রাপ্যটুকু থেকে তিনি বঞ্চিত হচ্ছেন দীর্ঘদিন থেকে।” এ বিষয় পাচঁগাছি ইউনিয়নের ইউপি সদস্য আনোয়ার উদ্দিন বার্তা বাজারকে বলেন,”ঐ মহিলা খুব জেদি,দীর্ঘদিন অন্য জায়গায় ছিলো,তার নাম ওয়েটিং লিস্টে রাখছি,দেখা যাক বরাদ্দ এলে দিবো।

পাচঁগাছি ইউনিয়ন পরিষদ এর চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন মাষ্টার বলেন,”বয়স্ক ভাতা এখন কোথা থেকে পাবো,এখন তো বয়স্কভাতা দিতে পারবো না।” এ বিষয়ে সদর উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার এস এম হাবিবুর রহমান বার্তা বাজারকে বলেন,”আমাদের সামনে একটি বরাদ্দ রয়েছে,তার নিকটতম আত্মীয় আমাদের সাথে যোগাযোগ করলেই,আমার বয়স্ক ভাতার ব্যবস্থা করতে পারবো।”

বার্তাবাজার/কে.জে.পি

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর