মধুমতি নদীগর্ভে বিলীন হতে চলেছে চর পুখরিয়া গ্রাম ও মুক্তিযোদ্ধার ইটের ভাটা

গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার পাইককান্দি ইউনিয়নের চর পুকুরিয়া গ্রাম ও এক মুক্তিযোদ্ধার বেঁচে থাকার শেষ সম্বল ইটের ভাটা বিলীন হতে চলেছে মধুমতি নদীর ভয়াল গ্রাসে। একের পর এক ফসলি জমি সহ বিলীন হয়েছে বহু স্থাপনা।

ভয়াবহ এ নদীর ভাঙ্গনে ফসলী জমিসহ ঘরবাড়ি হারিয়ে সর্বস্বান্ত হয়েছে অনেকে। নদী ভাঙ্গার পরও যেটুকু অবশিষ্ট ফসলি জমি সহ বীর মুক্তিযোদ্ধার বেঁচে থাকার একমাত্র অবলম্বন মধুমতি ব্রিকস ইন্ডাস্ট্রি’র স্থাপনা রয়েছে, তাও প্রায় বিলীন হতে চলেছে। এবিষয়ে ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, মধুমতি নদীগর্ভে শুকুর মোল্লার প্রায় ১৫ কাঠা, জমশেদ মোল্লার ১৫ কাঠা, বীরমুক্তিযোদ্ধা ছবেদ আলী ভূঁইয়ার দেড় বিঘা, আমদ আলী মোল্লার ১০ কাঠা, হানিফ মোল্লার ১০ কাঠা, আক্তার মোল্লার ৭ কাঠা, মোতাহার ফকিরের ৭ কাঠা সহ আরো অনেকের ফসলি জমি এই মধুমতি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে।

গণমাধ্যমকর্মীদেরকে বীর মুক্তিযোদ্ধা ছবেদ আলী ভূঁইয়া বলেন তিনি প্রায় দেড় যুগ ধরে এখানে জমি ক্রয় করে মধুমতি নদীর নামানুসারে “মধুমতি ব্রিকস ইন্ডাস্ট্রি” নির্মাণ করে সততার সাথে সরকারি বিধি মেনে যাবতীয় ট্যাক্স / ভ্যাট পরিশোধ করে সুনামের সাথে ইট উৎপাদন করে জীবন- জীবিকা নির্বাহ করে চলেছি। কিন্তু ভয়াবহ মধুমতি নদীর ভাঙ্গনে ইতোমধ্যে আমার দেড় বিঘা জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। নদীর পাড় ভাঙতে ভাঙতে আমার ইটের ভাটার অফিস কক্ষের খুব কাছাকাছি চলে এসেছে। যেকোনো সময় এই ইটভাটা সহ অন্যদের ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

তিনি প্রাথমিক পর্যায়ে নিজ উদ্যোগে অনেক ইট ও খোয়া দিয়ে ভাঙ্গন প্রতিহত করার জোর চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ ঈই গোপালগঞ্জ জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের দপ্তরে গিয়ে ভাঙ্গন প্রতিহতের জন্য কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের অনুরোধ জানিয়ে ও কোনো ফলাফল না পেয়ে স্থানীয় গোপালগঞ্জ ২ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব ড. শেখ ফজলুল করিম সেলিম এমপি -এর হস্তক্ষেপ কামনা করেন। এ বিষয়ে জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী বিশ্বজিৎ বৈদ্য আমাদের প্রতিনিধিকে জানান, আমাদের দপ্তর থেকে ভাঙ্গন কবলিত ওই এলাকা ইতোমধ্যেই পরিদর্শন সম্পন্ন হয়েছে। আমরা ঢাকায় হেড অফিসে ও বিষয়টি অবগত করেছি। অতি দ্রুত ভাঙ্গন ঠেকাতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের বিভিন্ন দিক নির্দেশনা দিবেন বলে আশা রাখছি।

বার্তাবাজার/কে.জে.পি

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর