থানার ভেতরে আ. লীগরে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, ওসিসহ আহত ১২

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলায় আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের বিরোধের জের ধরে সোনাইমুড়ি থানায় সালিশি বৈঠকের সময় গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে। এ সময় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সামাদ ও তিন পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন।

বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাতে সোনাইমুড়ি থানা প্রাঙ্গণে এ ঘটনা ঘটে।

পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এ সময় পুলিশ তিনজনকে আটক করেছেন। এ ঘটনার পর সোনাইমুড়ী পৌর এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

থানা সূত্রে জানা যায়, গত কয়েকদিন ধরে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে আসছে। গত মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বড় ধরনের সংঘর্ষ ঘটলে সোনাইমুড়ী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সামাদ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে উভয়পক্ষকে বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাতে সালিশি বৈঠক ডেকে সমাধানের আশ্বাস দেন।

বৈঠক শুরু হওয়ার সময় অন্য আরেকটি গ্রুপের ১৫-২০ জন এসে কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই এলোপাতাড়ি ককলেট ও বোমা বিস্ফোরণ ঘটায় এবং গোলাগুলি শুরু করে।

এতে ওসি আব্দুস সামাদ ও কনস্টেবল জসিমউদদীনসহ চার পুলিশ সদস্য আহত হন। একই সঙ্গে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক আবু সায়েমসহ আহত হয়েছেন ১২ জন। এ সময় বিপ্লব (২৫) নামে একজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এ ঘটনায় শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

এ বিষয়ে সোনাইমুড়ী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সামাদ জানান, তিনি হাতে ও পায়ে ব্যথা পেয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ বেশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। বর্তমানে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

বার্তাবাজার/এএস

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর