রিয়ালকে উড়িয়ে দিল পিএসজি

শক্তি খসে যাওয়া দল নিয়ে ঘরের মাঠে রিয়াল মাদ্রিদের মুখোমুখি হয় প্যারিস সেন্ট জার্মেইন (পিএসজি)। এপাশে নেইমার নিষেধাজ্ঞায়। এমবাপ্পে-কাভানি ইনজুরিতে। ওপাশে চোট জর্জরিত রিয়াল মাদ্রিদ। মদ্রিরিচ-মার্সেলোরা খেলতে পারেননি। ছিলেন না সের্গিও রামোসও। তারপরও দু’দলের শক্তির কমতি ছিল না।

এডেন হ্যাজার্ড, করিম বেনমেজা, গ্যারেথ বেলদের নিয়ে শক্ত আক্রমণভাগ জিনেদিন জিদানের দলের। ওপাশে ডি মারিয়া, মাউরো ইকার্দি-মুনিয়েররা ছিলেন। তবে দিনটা ছিল আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড ডি মারিয়ার।এদিন তিনি দেখা পান জোড়া গোলের।নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষে যোগ হওয়া সময়ে মুনেরের গোলে ব্যবধান ৩-০ তে গিয়ে দাঁড়ায়। ফলাফল— ম্যাচে বারবার গোলের সুযোগ নষ্ট করা রিয়াল মাদ্রিদ চ্যাম্পিয়নস লিগ মৌসুমটা শুরু করল বাজেভাবে হেরে। রিয়ালকে উড়িয়ে দুর্দান্ত শুরু হলো পিএসজির।

ম্যাচের শুরুটা কিন্তু রিয়াল মাদ্রিদের ভালোই হয়েছিল। পিএসজির মাঠে স্বাগতিকদের একরকম চেপে ধরেই খেলা শুরু করেছিল বেল-বেনজেমারা। হঠাৎ করে যেন কী হলো!

খেই হারিয়ে ফেলল জিদান শিষ্যরা। নিজেদের পা থেকে বারবার বল হারিয়ে পাল্টা আক্রমণের শিকার হতে হয়েছে বারবার। দুর্দান্ত সব আক্রমণের শেষ মুহূর্তে নিজেদের ভুলে বল জালে জড়াতে ব্যর্থ হলো বেশ কবার।

শেষপর্যন্ত নেইমার-এমবাপে-কাভানির মতো আক্রমণের মূল খেলোয়াড়দের ছাড়াই রিয়ালের জালে তিনবার বল জড়ালো পিএসজি। এতে অবশ্য ডি মারিয়ার অবদান অনেক। স্বভাবসুলভ দুর্দান্ত শটে জোড়া গোল করে প্রথমার্ধেই দলকে এগিয়ে নিয়েছেন পিএসজির আর্জেন্টাইন এই তারকা।

ম্যাচর ১৪ মিনিটেই প্রথম গোল পায় স্বাগতিকেরা। ডি বক্সের ভেতর হুয়ান বের্নাতের বাড়ানো বলে আড়াআড়ি শটে জালে জড়ান ডি মারিয়া। গোল হজম করেই এলোমেলো হয়ে যায় রিয়াল মাদ্রিদ।

উল্টো তেতে ওঠে টুখেলের শিষ্যরা। এরপর পিএসজির একের পর এক আক্রমণ, পাল্টা আক্রমণ সামলাতেই সময় পার হয় রিয়াল খেলোয়াড়দের।

৩৩তম মিনিটে গোলও পেয়ে যায় ফরাসি জায়ান্টরা। পিএসজির সেনেগালের মিডফিল্ডারের দুর্দান্ত পাসে জোরালো শটে বল জালে জড়ানো ডি মারিয়া। এর আগের মিনিটেই অবশ্য বেলের দুর্দান্ত এক ফ্রি কিক থেকে অল্পের জন্য রক্ষা পায় পিএসজি।

দ্বিতীয় গোল পরিশোধে খুব একটা সময় নেয়নি রিয়াল। বলের দারুণ নিয়ন্ত্রণ নিয়ে অসাধারণ এক ভলি করেন বেল। কিন্তু অহেতুক বল হাতে লাগানোয় ভিএআর-এর সাহায্যে গোল বাতিল করেন রেফারি। এরপরও বেশ কবার গোলের ভালো সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি রিয়ালের আক্রমণভাগ।

ম্যাচের শেষ মুহূর্তে যোগ হওয়া সময়ে রিয়ালের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দেন মুনের।

চ্যাম্পিয়নস লিগের প্রথম ম্যাচে এমন পরাজয়ে জিদানকে বেশ চিন্তিতই দেখাচ্ছিল। রিয়ালের ফরাসি এই গুরুর কপালে চিন্তার ভাঁজ— রক্ষণ আর মাঝমাঠের এমন দশা হলে পুরো মৌসুমেই যে তাকে পুড়িয়ে মারবে।

বার্তাবাজার/এএস

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর