জাবির সেই ৫ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিস্কার!

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে এক কর্মচারীর জামাতাকে তুলে নেওয়ার সময় হাতেনাতে আটক করে গণধোলাই দেওয়া সেই ৫ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিস্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। রবিবার বিকেলে অনুষ্ঠিত শৃঙ্খলা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

শৃঙ্খলা কমিটির সভায় ঘটনাটি আরো অধিকতর তদন্তের জন্য সাময়িক বহিস্কারের পাশাপাশি ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. আতিকুর রহমানকে প্রধান করে ৪ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটিকে আগামী ৭ কর্মদিবসের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান।

বহিস্কৃতরা হলেন- নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের সঞ্জয় ঘোষ (৪৪ ব্যাচ), সরকার ও রাজনীতি বিভাগের মোহাম্মদ আর রাজি (৪৫ ব্যাচ), ভূতাত্ত্বিক বিজ্ঞান বিভাগের রায়হান পাটোয়ারি (৪৫ ব্যাচ), কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইন্জিনিয়ারিং বিভাগের শাহ মোস্তাক সৈকত (৪৫ ব্যাচ) এবং দর্শন বিভাগের মোকাররম শিবলু (৪৫ ব্যাচ)।

বহিস্কৃত ৫ শিক্ষার্থী কোন ক্লাস-পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। অন্যদিকে অপরাধের বিষয়টি তাদের পরিবারকে অবহিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান।

এদিকে বহিস্কৃত সবাই ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। এদিকে রায়হান পাটোয়ারীকে গত ৩১ অক্টোবর ২০১৮ তারিখে অপর এক ছিনতাইয়ের ঘটনায় ২ বছরের জন্য বহিষ্কার এবং ক্যাম্পাসে অবাঞ্চিত ঘোষনা করেছিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। যা এখনও বহাল আছে।

তবে সে এখনো ছাত্রলীগের ছত্রছায়ায় শহীদ রফিক জব্বার হলে থাকনে বলে হল সূত্রে জানা যায়। ছিনতাইয়ের ঘটনায় বহিস্কৃত হওয়ার পরেও সেসময় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ তার বিরুদ্ধে কোন ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করে নি।

যে ঘটনায় এ সাময়িক বহিস্কারাদেশ :

গত ৩০ মার্চ, শনিবার ভোরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী (ড্রাইভার) আলমগীর হোসেনের জামাতা মোঃ মনির সরদার কর্মস্থলে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বিশমাইল এলাকার রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে তাকে আটক করে বহিস্কৃত ৫ জন।

এসময় তার কাছে থাকা নগদ অর্থ সহ মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনতাইয়ের চেষ্টা করা হলে তিনি প্রতিবাদ জানান। ফলে অভিযুক্তরা তাকে সড়ক থেকে জিম্মি করে ইজিবাইক যোগে বোটানিক্যাল গার্ডেনের পানির পাম্প সংলগ্ন ঝোঁপে নিয়ে যায়। সেখানে তারা তাকে ইয়াবা ব্যবসায়ী বানানোর চেষ্টা করেন এবং বেধড়ক মারধর করেন। পরে তারা মনিরের স্ত্রীর কাছে মুঠোফোনে ১ লাখ টাকা দাবি করেন।

এরপর সেই ইজিবাইক চালকের সহায়তায় মনিরের শ্বশুর বাড়ির লোকজন সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন কর্মচারী ঘটনাস্থলে যান।

এসময় তাদের উপস্থিতি বুঝতে পেরে অভিযুক্তদের ২ জন পালিয়ে যেতে পারলেও অন্য ৩ জনকে আটক করে গণধোলাই দিয়ে নিরাপত্তা অফিসে নিয়ে যান কর্মচারীরা।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর