ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) সরকারী কর্মব্যবস্থাপনা পদ্ধতির আওতায় বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার প্রশাসন ভবনের সভাকক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের এপিএ টিমের আহবায়ক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ শাহিনুর রহমান-এর সভাপতিত্বে সভায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ হারুন-উর-রশিদ আসকারী বলেন, আমাদের দক্ষ শিক্ষক-শিক্ষার্থী রয়েছেন। এখন দরকার সুন্দর ব্যবস্থাপনা। বিভিন্ন বিভাগ, হল, দপ্তরগুলো কর্মপরিকল্পনা উল্লেখ করে আমাদের সঙ্গে যে চুক্তি সম্পাদন করল, মাস শেষে সেগুলোর মূল্যায়ন করা হবে। তিনি বলেন, দেশের লক্ষ্য রূপকল্প-২০২১ আর আমাদের লক্ষ্য ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিকীকরণ।
এজন্য আমাদের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের এপিএ টিমের আহবায়ক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ শাহিনুর রহমান বলেন, আমরা যে যে জায়গায় আছি, সে জায়গার কাজটা ঠিকমতো করার কমিটমেন্ট আমাদের থাকতে হবে। স্ব-স্ব অবস্থানে আমরা যদি দায়িত্বশীল থাকি তাহলে কোন ক্ষেত্রেই ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় আর পিছিয়ে থাকবে না।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোঃ সেলিম তোহা বলেন, রাষ্ট্র আমাদেরকে অর্থ দিচ্ছে কিন্তু বিনিময়ে আমরা কী দিচ্ছি সে বিষয়ে নিজেকে পরীক্ষায় নেবার সুযোগ আমাদের এসেছে। লিডারশীপ এবং টিমওয়ার্ক-এর সুন্দর সমন্বয়েই কেবল সফলতা সম্ভব।
বার্ষিক কর্মসম্পদন চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন কলা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোঃ সরওয়ার মুর্শেদ, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. নাসিম বানু, প্রফেসর ড. এম. এয়াকুব আলী, প্রফেসর ড. মোঃ আতিকুর রহমান প্রমুখ।
এছাড়া সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এস. এম. আব্দুল লতিফ, ডিনবৃন্দ, সভাপতিবৃন্দ, হল প্রভোস্টবৃন্দ এবং অফিস প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।
বার্তাবাজার/ডব্লিওএস